এটিএম শামসুজ্জামানকে বাংলাদেশের সিনেমার দর্শকরা ভিলেন হিসেবেই চিনেন। তাঁকে বেছে বেছে সেরকম চরিত্রই দেয়া হতো, কিংবা তাঁর কথা মাথায় রেখেই সেরকম চরিত্র তৈরি করা হতো। আমাদের দেশের মেইনস্ট্রিম সিনেমার সংলাপ আর অভিনয়ে অতিনাটকীয়তা থাকেই। এটিএম শামসুজ্জামানও সেক্ষেত্রে খুব বেশি ব্যতিক্রমী ছিলেন না। তাঁকে পর্দায় দেখলেই দর্শক বুঝে ফেলতেন যে তিনি ঋণাত্মক ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তাঁর মতো শক্তিমান অভিনেতাকে বাংলা সিনেমার পরিচালকরা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেননি, যেটা পেরেছিলেন টেলিভিশনের নাটক নির্মাতারা - সিনেমাযুগের প্রায় অন্তদশা হবার পর। এটিএম শামসুজ্জামান যে প্রতিভাবান লেখক ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন তার পরিচয় পেয়েছিলাম 'সীমার' সিনেমায়। সিনেমাটি খুব একটা ব্যবসাসফল হয়নি, কিন্তু কী চমৎকার কাহিনি। রাজনৈতিক নেতাদের টোপে পড়ে কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ পরিণত হয় ভয়ানক গুন্ডায়। আবার যখন ভালো মানুষের সংস্পর্শে এসে ভালো হতে চেষ্টা করে - তখন কীভাবে নেতারা তাকে ভালো হতে দেয় না। প্রকৃত শিল্পী কখনোই আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন না। এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন প্রকৃত শিল্পী। প্রতিভার পূর্ণ-প্রকাশের সুযোগ পাননি বলে আক্ষেপ নিয়ে চলে গেলেন।
২১/২/২০২১
No comments:
Post a Comment