বুদ্ধিমতী মাশা
This is a personal blog of
Dr Pradip Deb.
Our everyday sciences,
hobbies,
literature,
travel
and
many other human issues
are discussed here.
প্রদীপ দেবের ব্লগ।।
Pages
- Home
- About Me
- আমার বইগুলি
- কবিতাপাঠ
- গল্পপাঠ
- শিশুদের জন্য গল্পপাঠ
- ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী
- স্বপ্নলোকের চাবি
- বিজ্ঞান বক্তৃতা
- Science Talks
- ENGLISH BLOG
- শিশুদের গণিত
- বিজ্ঞান
- Science
- বিজ্ঞানী
- Scientists
- ব্যক্তিত্ব
- বিবিধ প্রসঙ্গ
- Miscellaneous
- পাঠ প্রতিক্রিয়া
- সিনেমা
- ভ্রমণ
- গল্প
- প্রবাস
- শিক্ষা
- স্মৃতিচারণ
- Memoirs/Remembrance
Monday, 21 December 2020
Tuesday, 1 December 2020
এইসব দিনরাত্রি
“আশা ও আনন্দের
যে অপরূপ দিন, তার উল্টো পিঠেই দুঃখ ও বেদনার
দীর্ঘ রজনী। আশা-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা নিয়েই আমাদের এইসব দিনরাত্রি।“ - বিটিভিতে যখন এইসব
দিনরাত্রি ধারাবাহিক শুরু হয়, তখন আমি চট্টগ্রাম কলেজে পড়ি। থাকি হোস্টেলে – শেরে বাংলা
বি ব্লকে। এক পর্ব দেখার পর পরের পর্বের জন্য দুই সপ্তাহের অধীর অপেক্ষা। দর্শকদের
মন জয় করতে একটুও সময় লাগেনি নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদের। কী চমৎকার সব সংলাপ, কী সূক্ষ্ম
রুচিশীল হিউমার, আর ভালোবাসা-আনন্দ-বেদনার কী অপূর্ব সমন্বয়। বিটিভি আর্কাইভের কল্যাণে
এই ধারাবাহিকের সবগুলি পর্ব আবার দেখার সুযোগ হলো। শুনেছি ইদানীং অনেকেই ভারতীয় সিরিয়ালে
নিয়মিত বুঁদ হয়ে থাকেন। জানি না সেইসব মোটাদাগের অতিনাটকীয় উৎকট সংলাপ ও প্রসাধনসর্বস্ব
সিরিয়ালের দর্শকদের ক্ল্যাসিক শিল্পবোধের কিছুটাও
অবশিষ্ট আছে কি না। যদি থাকে, তাহলে এইসব দিনরাত্রির সামান্য অংশও যদি দেখেন, বুঝতে
পারবেন টিভি নাটকের গুণগত মান কী হতে পারে। সামান্য কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছাড়া একথা
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নাটকগুলির ক্ষেত্রেও খাটে। এমনকি স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদও শেষের
দিকে তাঁর নিজের কিছু নাটকের মান নিজেই নামিয়ে নিয়ে এসেছিলেন অনেকটা, কিন্তু সেটা অন্য
প্রসঙ্গ।
লেখক হুমায়ূন
আহমেদকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত তাঁর নাটকগুলি।
তাঁর রচিত উপন্যাসগুলির জনপ্রিয়তা অন্যসব লেখকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এইসব
দিনরাত্রি উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে, ধারাবাহিক নাটক প্রচারের বেশ
কয়েক বছর পরে। নাটক ও উপন্যাসের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। এইসব দিনরাত্রি উপন্যাসের
ঘটনাতেও কিছুটা পার্থক্য আছে। তবে নাটক দেখার পর উপন্যাসটি পড়লে পাঠকের কল্পনাশক্তি
অনেকটাই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। কারণ গল্পের শফিক আর রফিকের কথা এলেই চোখে ভাসে বুলবুল আহমেদ
ও আসাদুজ্জামান নূরের মুখ। এইসব দিনরাত্রি ধারাবাহিকের শেষের পর্বগুলিতে সারা দেশের
দর্শক কেঁদেছে টুনীর জন্য। নাট্যকার চাইলেই টুনীকে বাঁচিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু হুমায়ূন
আহমেদের যুক্তিবোধ প্রবল। তিনি বলেছেন, টুনীকে জার্মানিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসায় সুস্থ
করে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলে দর্শকদের অনেকের মনে একটা ধারণা তৈরি হতে পারতো যে – বিদেশে
নিয়ে যেতে পারলেই ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তাতে যাদের সামর্থ্য নেই – তারা ভাববেন,
শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কারণে তাদের প্রিয়জনকে বাঁচানো গেল না।
এইসব দিনরাত্রিতে
হুমায়ূন আহমেদ কবীর মামার চরিত্রটি তৈরি করেছিলেন যুক্তিবাদী হিসেবে। নাটকের কোথায়
উল্লেখ করেননি, কিন্তু উপন্যাসে সরাসরিই বলেছেন – কবীর মামা নাস্তিক। অথচ মানুষের জন্য
কী নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তাঁর। টুনীর অসুখের সময় কবীর মামার মুখে তিনি অত্যন্ত দরকারি
একটি প্রশ্নের অবতারণা করেছিলেন – আমাদের দেশের ধনীরা সহজেই ভালো চিকিৎসার জন্য বিদেশের
হাসপাতালে চলে যেতে পারেন। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই – তাদের জন্য বিশ্বমানের কোন
হাসপাতাল কি দেশে তৈরি করা সম্ভব নয়? আশির দশকের সেই প্রশ্ন – তিরিশ বছর পরেও আজো প্রশ্নই
রয়ে গেছে।
হুমায়ূন আহমেদ
খুব অল্প শব্দে এমন কিছু কথা বলেন – যা মানুষের মনের ভেতর ঢুকে বসে থাকে। যেমন - ভালোবাসার
মানুষ পাশে থাকাটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাজিক। আমরা ভালোবাসাময় ম্যাজিকের জগতে বাস
করতে পারছি আমাদের ভালোবাসার মানুষ আমাদের পাশে আছে বলেই।
“কিছু কিছু
গল্প আছে যা কখনো শেষ হয় না। এইসব দিন-রাত্রির গল্প তেমনি এক শেষ না হওয়া গল্প। এই
গল্প দিনের পর দিন বৎসরের পর বৎসর চলতেই থাকে। ঘরের চার দেয়ালে সুখ-দুঃখের কত কাব্যই
না রচিত হয়। কত গোপন আনন্দ কত লুকানো অশ্রু। শিশুরা বড় হয়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা যাত্রা করে
অনির্দিষ্টের পথে। আবার নতুন সব শিশুরা জন্মায়।“
নতুন প্রজন্মের দর্শকদের বলবো – যদি হাতে সময় থাকে, কোরিয়ান সিরিয়াল, জাপানী
কার্টুন ইত্যাদি দেখার পরেও যদি কিছুটা সময় ম্যানেজ করা যায় – তাহলে ‘এইসব দিনরাত্রি’
দেখার জন্য। ধ্রুপদী শিল্প কখনো পুরনো হয় না।
Sunday, 29 November 2020
Saturday, 28 November 2020
বিদায় আলী যাকের
বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার এক সময় অত্যন্ত উঁচুমানের ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত ছিল গ্রুপ থিয়েটারের স্বর্ণযুগ। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে স্বৈরাচারী সরকারের দমনপীড়নের মধ্যেই বাংলাদেশে রচিত এবং মঞ্চায়িত হয়েছিল অত্যন্ত উঁচুমানের অনেকগুলি নাটক। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নুরলদীনের সারাজীবন, দেওয়ান গাজীর কিস্সা, গ্যালিলিও -এসব নাটকের প্রধান অভিনেতা আলী যাকের ছিলেন আমার আদর্শ মঞ্চাভিনেতা। সিনেমা কিংবা টেলিভিশনের নাটকে অভিনয় করা আর মঞ্চে অভিনয় করার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সিনেমা বা টিভির নাটকে একটি শট অসংখ্যবার দেয়া যায় - যতক্ষণ না পরিচালকের পছন্দ হচ্ছে। কিন্তু মঞ্চ এমন একটা জায়গা - যেখানে ভুল করার কোন সুযোগ নেই। এক সংলাপ দু'বার বলার সুযোগ নেই, ক্যামেরার কারসাজি নেই, সংলাপ ভুলে যাবার সুযোগ নেই। মঞ্চেই বোঝা যায় একজন অভিনেতার সত্যিকারের প্রতিভা। আলী যাকেরকে অনেকেই মনে রাখবেন টিভি নাটকের অভিনেতা হিসেবে, হুমায়ূন আহমেদের আজ রবিবার কিংবা বহুব্রীহি নাটকের অত্যন্ত জনপ্রিয় চরিত্রের মাধ্যমে। কিন্তু মঞ্চে তাঁর অভিনয় যাঁরা দেখেছেন - তাঁরা জানেন কী শক্তিমান বহুমাত্রিক অভিনেতা ছিলেন তিনি।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় কিছুদিন গ্রুপ থিয়েটারের কর্মী ছিলাম। সেই সময় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে আলী যাকের মঞ্চস্থ করেছিলেন শেক্সপিয়ারের আলোকে রচিত 'দর্পণ'। মঞ্চের আলো নিয়ে কাজে হাত লাগানোর একটা ছোট্ট সুযোগ আমার হয়েছিল। তখন কাছ থেকে দেখেছি নাট্যনির্দেশক আলী যাকেরের কাজের প্রতি নিষ্ঠা। তাঁর একটি কথা এখনো মনে পড়ে - গ্রুপ থিয়েটার হলো এমন একটি জায়গা - যেখানে সবাই সমান, যেখানে সবার কাজই সমান গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সবাই অভিনেতা - আলাদা করে নায়ক বা নায়িকা বলে কিছু নেই। সবাই সমান ভালো অভিনয় করলেই একটা নাটক সফল হয়, সব কলাকুশলীরা সমান দক্ষতায় কাজ করলেই সাফল্য আসে।
Saturday, 14 November 2020
যে গ্রহে সূর্য উঠে পশ্চিম দিকে - পর্ব ১৫
দশম অধ্যায়
শুক্র গ্রহের ভবিষ্যৎ
মানুষ পৃথিবীর
আকাশে চোখ মেলেই সূর্য ও চাঁদের মতোই তৃতীয় উজ্জ্বল যে বস্তুটি আকাশে দেখেছিল সেটা
শুক্র। পুরো সত্যিটা না জেনেই নাম দিয়েছিল শুকতারা এবং সন্ধ্যাতারা। গ্রহ জানার
পরও তার নাম হয়েছে সৌন্দর্য ও ভালোবাসার দেবী
ভেনাসের নামে। কম্পনায় ভেনাসের যে রূপ - আক্ষরিক অর্থেই সেরকম আগুনঝরা রূপ ভেনাস
তথা শুক্র গ্রহের। সেই প্রথম যখন মহাকাশে অভিযান চালাতে শুরু করলো মানুষ, আমাদের
সবচেয়ে কাছের গ্রহ শুক্রকেই লক্ষ্য করেছিল। এত বছর ধরে ক্রমাগত বৈজ্ঞানিক মিশনের
পর আজ মানুষ সৌরজগতের সবগুলো গ্রহতেই কোন না কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক স্যাটেলাইট
পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। অন্য কোন গ্রহে এখনো মানুষ যেতে না পারলেও পৃথিবীর একমাত্র
উপগ্রহে মানুষ সশরীরে উপস্থিত হয়েছে অনেক বার। মঙ্গল গ্রহে অভিযান নিয়ে মানুষ
অনেকদূর এগিয়েছে। কিন্তু শুক্রের ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি কল্পিত
চিত্র। উড়ন্ত নভোযানে করে মানুষ শুক্রের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। উড়ন্ত নভোযানের
চারপাশে গ্যাসের মেঘ। নভোযানটি এমনভাবে তৈরি যে কোন বিষাক্ত গ্যাসই তার কোন ক্ষতি
করতে পারছে না। এমন যদি হতো তবে বেশ ভালোই হতো তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু ওটা এখনো
কল্পনা।
শুক্র গ্রহের পরিবেশ মানুষ শুধু নয়,
মানুষের তৈরি আধুনিক যন্ত্রের জন্যও উপযোগী নয়। আমরা দেখেছি অত্যাধুনিক
যন্ত্রপাতিগুলোও ঘন্টাখানেকও সচল থাকতে পারছে না শুক্রের তাপ ও চাপে। সেক্ষেত্রে
শুক্রের ভূমিতে কোন একদিন মানুষের পা পড়বে - এটা যদি বিশ্বাস করো তাহলে বলতে হবে
সেই দিন আসতে এখনো অনেক দেরি।
আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্রহ শুক্রকে নিয়ে
বিজ্ঞানীদের অনেক পরিকল্পনা আছে। সবচেয়ে আগে যেটা বাস্তবায়িত হবার সম্ভাবনা আছে
সেটা হলো শুক্রের বৈরি পরিবেশে দীর্ঘ সময় টিকে থাকার মতো টেকসই যন্ত্রপাতি তৈরি
করা, ইলেকট্রনিক্স উদ্ভাবন করা। তারপর শুক্রের পিঠে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচল করতে
পারে এরকম রোবট পাঠানো। বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু ডিজাইনও করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। শুক্রের বায়ুমন্ডলের অনেক উপরে ভাসমান মহাকাশযান থেকে
রোবট নামিয়ে দেয়া হবে শুক্রের ভূমিতে। সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করে রোবটের মাধ্যমে
প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হবে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে এরকম
হবার সম্ভাবনা আছে।
চিত্র শুক্র গ্রহের
ভবিষ্যৎ
আর সুদূর ভবিষ্যতে পাঁচ শ কোটি
বছর পর আমাদের সূর্যের মৃত্যু হবে এটা নিশ্চিত। সূর্যের জ্বালানি - হাইড্রোজেন শেষ
হয়ে যাবে। তখন সূর্য রেড জায়ান্ট বা লাল দৈত্যে পরিণত হবে। কিন্তু তার আগেই
সূর্যের কাছের চারটি গ্রহ - বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল উধাও হয়ে যাবে। এসব নিয়ে
আপাতত খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ এসব ঘটবে আজ থেকে আরো প্রায় পাঁচ শ
কোটি বছর পর। পাঁচ শ কোটি বছর তো অনেক বছর - তাই না? সুতরাং চিন্তা বাদ দিয়ে চটপট
হিসেব করে বলো দেখি পৃথিবীর পাঁচ শ কোটি বছরে শুক্রের কত বছর হবে?
______
তথ্যসূত্র
1. Clare Gibson, the Solar
System, King Books, UK, 2012
2. Giles
Sparrow, Planets and Moons, Hinkler Books, Australia, 2006.
3. Colin
Ronan, The Universe Explained, Ken Fin Books, Australia, 1997.
4. David A Rothery, Planets a very short introduction, Oxford
University Press, Great Britain, 2010.
5. Chris Cooper, Pam Spence,
Carole Stott, Stars + Planets an illustrated guide, Star Fire, London,
2007.
6. Gerard Cheshire, The Solar
System and Beyond, Evans, London, 2006.
7. Steve Parker, Solar System,
Ticktock Media Ltd, Great Britain, 2006.Clare
8. Heather Couper and Nigel
Henbest, Encyclopedia of Space, DK Publishing, UK, 2003.
9. Robin Kerrod & Carole
Stott, Hubble the Mirror on the Universe, Third Edition, David and
Charles, London, 2008.
10. Patrick Moore, Mission to
the Planets, Cassell, New York 1995.
11.https://nssdc.gsfc.nasa.gov/planetary/education/schoolyard_ss/sss_venusm.html
12.https://nssdc.gsfc.nasa.gov/planetary/factsheet/venusfact.html
13. NSSDC Master Catalog,
http://nssdc.gsfc.nasa.gov/nmc/
14. https://nssdc.gsfc.nasa.gov/planetary/chronology_venus.html
15. National Space Science Data Center,
http://nssdc.gsfc.nasa.gov/
16. Solar System Log by Andrew Wilson, published
1987 by Jane's Publishing Co. Ltd.
17. L. T. Elkins-Tanton, Sun, Mercury, and Venus,
Broomall: Infobase Publishing, 2010.
18. প্রশান্ত প্রামাণিক, গ্রহ তারক চন্দ্র তপন, জ্ঞান বিচিত্রা
প্রকাশনী, আগরতলা, ২০১৩।
19.http://www.isas.jaxa.jp/en/missions/spacecraft/current/akatsuki.html
20. প্রদীপ
দেব, অর্ক ও সূর্যমামা: সূর্যের বিজ্ঞান, মীরা
প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৫।
21. প্রদীপ
দেব, পৃথিবী: সূর্যের
তৃতীয় গ্রহ, মীরা প্রকাশন, ঢাকা,
২০১৬।
22. প্রদীপ দেব, চাঁদের নাম লুনা, মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৭।
23. প্রদীপ দেব, বুধ
যে গ্রহে একদিন সমান দুই বছর, মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৮।
24. Patrick Moore, Venus, Cassell
Illustrated, London, 2002.
Thursday, 12 November 2020
যে গ্রহে সূর্য উঠে পশ্চিম দিকে - পর্ব ১৪
নবম
অধ্যায়
শুক্র গ্রহের ভূমি
শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়েও শুক্রের ভূমি দেখার কোন উপায় নেই। কারণ শুক্রের বায়ুমন্ডলের ঘন মেঘ শুক্রকে ঘিরে রেখেছে সবসময়। শুক্র গ্রহের ভূমির সবগুলো ছবি তোলা হয়েছে শক্তিশালী র্যাডারের মাধ্যমে। শুরুতে পৃথিবীতে স্থাপিত র্যাডারের মাধ্যমে শুক্রের ভৌগোলিক অবস্থার কিছুটা জরিপ করা হয়েছিল। তবে আমেরিকান স্যাটেলাইট ম্যাগেলান শুক্রের চারপাশে বছরের পর বছর ধরে ঘুরে ঘুরে শুক্রের ভূমি জরিপ করেছে। ম্যাগেলানের র্যাডার সিস্টেম শুক্রের হাজার হাজার ছবি তুলেছে। শুক্রের 98% ভূমির ম্যাপ বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছে সেইসব ছবি থেকে।
শুক্রের ম্যাপে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হয়েছে যেন আমাদের বুঝতে সুবিধা হয় কোন্টা কী। নীল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে নিচু ভূমি বোঝাতে, উঁচু ভূমিগুলো দেখানো হয়েছে হলুদ আর লাল রঙে। র্যাডারে এবড়োখেবড়ো অঞ্চলকে উজ্জ্বল দেখায়, আর মসৃণ অঞ্চলকে দেখায় অনুজ্জ্বল। ম্যাপের নীল রঙ অনেক সময় পৃথিবীর সমুদ্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু শুক্রে কোন নদী বা সমুদ্র নেই। বিজ্ঞানীরা মনে করেন কোন এক সময় হয়তো পানির সমুদ্র ছিল শুক্রে। কিন্তু সেসব শুকিয়ে গেছে কত আগে। এখন শুক্রে কোন তরল পানি নেই। শুক্রের বেশিরভাগ অঞ্চল সমতল।
নারীদের গ্রহ
শুক্রের ভূমির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অংশ - যেমন পাহাড়, খাদ, গহ্বর, সমতল,
ঢাল ইত্যাদির বিবরণ দেয়ার জন্য এবং জরিপের সময় বিভিন্ন স্থানের নাম দিতে হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্র গ্রহের
সবগুলো জায়গার নাম দেয়া হয়েছে নারীদের নামে। ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শুধুমাত্র
তিনটি নাম দেয়া হয়েছিল যেগুলো নারীদের নাম নয়। সেগুলো বদলানো হয়নি। যেমন
পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েলের নামে শুক্রের সবচেয়ে উঁচু এবং বিস্তৃত পর্বতমালার
নাম দেয়া হয়েছিল। সে নাম রয়ে গেছে। তেমনি রয়ে গেছে আলফা রেজিও (alpha regio) এবং বিটা রেজিও (beta regio) নামে দুটো বড় অঞ্চল যেগুলোর
নাম দেয়া হয়েছিল গ্রিক অক্ষর আলফা ও বিটা অনুসরণে।
এই তিনটি নাম ছাড়া শুক্র গ্রহের ভূমির বিভিন্ন অঞ্চলের যেসব নাম দেয়া হয়েছে
সেগুলো সবই বিখ্যাত নারীদের নামে। তাদের মধ্যে পৃথিবীবিখ্যাত নারী যেমন আছেন,
তেমনি আছে বিভিন্ন সংস্কৃতির দেবীদের নামও। আছেন ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতি, আছেন
অন্নপূর্ণা, আছেন লক্ষ্মী, চন্ডী, আছেন মোনালিসা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, পদার্থবিজ্ঞানী
আইরিন জুলিও-কুরি, ফ্রেন্স পিয়ানিস্ট নাদিয়া বুলেঙ্গার, আমেরিকান লেখক পার্ল বাক,
ব্রিটিশ লেখক আগাথা ক্রিস্টি, আছেন ক্লিওপেট্রা। এপর্যন্ত ২০৩০ জন নারীর নামে
শুক্রের ২০৩০টি জায়গার নাম রাখা হয়েছে।[1]
শুক্রের ম্যাপ
শুক্র গ্রহকে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করে ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তার
মধ্যে দুই মেরু এবং বিষুবীয় অঞ্চলের তিনটি বিশাল অংশের নাম দেয়া হয়েছে টেরা। বিশাল
মহাদেশের আকারের ভূমিকে বলা হয় টেরা (terra)। শুক্র গ্রহের তিনটি টেরা হলো: ইশতার টেরা, লাডা টেরা ও আফ্রোদিতি টেরা।
ইশতার টেরা: শুক্র গ্রহের উত্তর মেরুর নাম দেয়া হয়েছে ইশতার টেরা। ব্যাবিলনিয়ান
ভালোবাসার দেবী ইশতারের (Ishtar) নামে রাখা হয়েছে এই মেরুর নাম। এর ব্যাস 5610 কিলোমিটার। পুরো অস্ট্রেলিয়ার সমান এই ইশতার টেরা।
লাডা টেরা: শুক্রের দক্ষিণ মেরুর নাম দেয়া হয়েছে লাডা (Lada) টেরা।
স্ল্যাভিকদের[2] ভালোবাসার দেবী লাডার নামে এই মেরুর নামকরণ করা হয়েছে। এর ব্যাস 8615 কিলোমিটার।
চিত্র 54: ইশতার টেরা (উত্তর মেরু)
চিত্র 55: লাডা টেরা (দক্ষিণ মেরু)
আফ্রোদিতি টেরা: শুক্রের নিরক্ষীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জায়গার নাম আফ্রোদিতি টেরা। গ্রিক
ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতির নামে রাখা হয়েছে এই টেরার নাম। এর ব্যাস দশ হাজার কিলোমিটার।
শুক্রের দক্ষিণ গোলার্ধের এই জায়গার ক্ষেত্রফল প্রায় আফ্রিকা মহাদেশের সমান।
চিত্র 56: আফ্রোদিতি টেরা
শুক্র গ্রহের অপেক্ষাকৃত নিচু সমতল ভূমিকে বলা হয় প্ল্যানিটিয়া (planitia)। শুক্র গ্রহের
প্ল্যানিটিয়াগুলো সৃষ্টি হয়েছে আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতের ফলে। ছোট বড় মিলিয়ে
এপর্যন্ত একচল্লিশটি প্ল্যানিটিয়া চিহ্নিত করা হয়েছে শুক্র গ্রহে। তাদের মধ্যে
কয়েকটি প্ল্যানিটিয়ার অবস্থান দেখানো হলো শুক্রের ম্যাপে।
গুইনেভিয়ের প্ল্যানিটিয়া: বহু শতাব্দী আগের ব্রিটিশ রাজা আর্থারের স্ত্রী গুইনেভিয়ের। গুইনেভিয়ের
প্ল্যানিটিয়ার ব্যাস 7520 কিলোমিটার।
নিওবি প্ল্যানেটিয়া: গ্রিক লোকগাথার চরিত্র সিপাইলাসের রাজা টানটালাসের
কন্যা। নিওবি প্ল্যানেটিয়ার ব্যাস 5008 কিলোমিটার।
হেলেন প্ল্যানিটিয়া: গ্রিক লোককাহিনির হেলেন - হেলেন অব ট্রয় নামে চিনি
আমরা। হেলেন প্ল্যানেটিয়ার ব্যাস 4360 কিলোমিটার।
সেডনা প্ল্যানেটিয়া: এস্কিমোদের রূপকথার চরিত্র যার আঙুলগুলো হয়ে
গিয়েছিল সিল আর তিমি। সেডনা প্ল্যানেটিয়ার ব্যাস 3570 কিলোমিটার।
তাহমিনা প্ল্যানিটিয়া: ইরানের লোকগাথার চরিত্র বীর রুস্তমের স্ত্রী তাহমিনার নামে রাখা হয়েছে এই
প্ল্যানিটিয়ার নাম। এর ব্যাস 3000 কিলোমিটার।
লাভিনিয়া প্ল্যানিটিয়া: রোমানদের পৌরাণিক কাহিনির একটি বিখ্যাত চরিত্র লাভিনিয়া। 2820 কিলোমিনার ব্যাস এই প্ল্যানিটিয়ার।
চিত্র 57: গুইনেভিয়ের প্ল্যানিটিয়া
চিত্র 58: নিওবি প্ল্যানেটিয়া
চিত্র 59: হেলেন প্ল্যানিটিয়া
চিত্র 60: সেডনা প্ল্যানেটিয়া
চিত্র 61: তাহমিনা প্ল্যানিটিয়া
চিত্র 62: লাভিনিয়া প্ল্যানিটিয়া
শুক্রের ভূমি বিন্যাস
শুক্রের ভূমির বৈচিত্র্য আমাদের পৃথিবীর ভূমির তুলনায় অনেক কম। পৃথিবীর মোট ক্ষেত্রফলের প্রায় 71% ভূমি দখল করে আছে পানি। শুক্রে কোন তরল পানি নেই। শুক্রের ভূমির পুরোটাই দখল করে আছে প্রাণহীন কঠিন পদার্থ। ভূমিতে বেশ কিছু পাহাড়পর্বত আছে - যাদের উচ্চতা আমাদের পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্টের চেয়েও বেশি। শুক্রের মোট ভূমির শতকরা আটভাগ পাহাড়ী অঞ্চল। শুক্রে আছে প্রচুর সুপ্ত অথবা মৃত আগ্নেয়গিরি।[3] আগ্নেয়গিরির ফলে সৃষ্টি নিচু সমতুল ভূমির পরিমাণ মোট ভূমির 27%। বাকি 65% সমতল ভূমি। আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতের প্রমাণ আছে প্রায় সবখানে। চলো
দেখা যাক শুক্রের কিছু প্রধান প্রধান পাহাড়, খাদ, গহ্বর, আগ্নেয়গিরির রূপ।
গহ্বর (Craters): শুক্রের ভূমিতে প্রায় 900 ছোট-বড় গহ্বরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সাধারণত বিভিন্ন গ্রহের পিঠের উপর
বিভিন্ন গ্রহাণুর আঘাতের ফলে এসব গহ্বরের সৃষ্টি হয়। শুক্রের ক্ষেত্রফল অনুযায়ী শুক্রে আরো অনেকবেশি
গহ্বরের চিহ্ন থাকার কথা। কিন্তু শুক্রের উপরিস্তরের প্রায় সবখানে লাভার আস্তরণ
থাকাতে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আগের গহ্বরগুলোর অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। তাই বিজ্ঞানীরা
ধারণা করছেন বর্তমান গহ্বরগুলোর বয়স 500 মিলিয়ন বছর বা 50 কোটি বছরের বেশি নয়। সৌরজগতের
অন্যান্য গ্রহগুলোর ভূমির স্তরের বয়সের তুলনায় এই 50 কোটি বছর খুবই কম। তার মানে দাঁড়ায় শুক্র গ্রহের বড় ধরনের বিবর্তন হয়েছে 50 কোটি বছর আগে।
চিত্র 63: মিড গহ্বর - শুক্র গ্রহের সবচেয়ে বড় গহ্বর
শুক্রের বড় বড় গহ্বরগুলোর আকৃতি প্রায় একই রকম সরল হলেও ছোট গহ্বরগুলোর
আকৃতি বেশ জটিল। ধারণা করা হচ্ছে শুক্র গ্রহের পুরু বায়ুমন্ডল ভেদ করে আসার সময়
গ্রহাণুগুলো ভেঙেচুরে বিকৃত আকার ধারণ করে ভূমিতে আঘাত করার ফলেই বিচিত্র জটিল
আকৃতির ছোট ছোট গহ্বরগুলো সৃষ্টি হয়েছে। শুক্র গ্রহের সবচেয়ে বড় গহ্বরের নাম মিড (Mead)।
আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী (anthropologist) মার্গারিট মিডের নামে এই গহ্বরের নাম দেয়া হয়েছে। এর গড় ব্যাস ২৮০
কিলোমিটার।
পর্বতমালা
(Montes): শুক্র গ্রহে ছোট বড় 122টি পর্বতের (mons) অবস্থান
চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্র গ্রহের সবচেয়ে বড় দুটো পর্বতের নাম আটানুয়া (Atanua) ও ভার (Var) এদের গড় ব্যাস প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। তবে
সবচেয়ে উঁচু পর্বতের নাম ম্যাক্সওয়েল। পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ম্যাক্সওয়েলের নামে
রাখা হয়েছে এই পর্বতের নাম। এর উচ্চতা প্রায় এগার কিলোমিটার, যা পৃথিবীর
এভারেস্টের চেয়েও অনেক বেশি।
চিত্র
64: ম্যাক্সওয়েল পর্বতশৃঙ্গ
মালভূমি (planum): শুক্র গ্রহের বিশাল দুটো
মালভূমির নাম আফ্রোদিতি ও ইশতার। এগুলোকে টেরাও বলা হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় মালভূমি
ইশতার টেরা পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত। আকারে পুরো আমেরিকার চেয়েও বড়।
ইশতার টেরায় ম্যাক্সওয়েল পর্বতমালা ঘেঁষে আছে লক্ষ্মী মালভূমি (Lakshmi Planum)। লক্ষ্মী মালভূমির উচ্চতাও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। আকারে পৃথিবীর তিব্বতের সমান।
চিত্র 65: লক্ষ্মী মালভূমি
আগ্নেয়গিরি (volcanoes): শুক্রের সমস্ত পিঠজুড়ে রয়েছে হাজার খানেক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ। এগুলোর বেশিরভাগই এখন মৃত। কিন্তু মাত্র পঞ্চাশ কোটি বছর আগেও এখান থেকে যে লাভা বের হয়েছে তার প্রমাণ আছে শুক্রের সবখানে। প্রায় 170টি বড় আগ্নেয়গিরি আছে শুক্রে যাদের উচ্চতা প্রায় চার কিলোমিটার এবং বিস্তৃতি কয়েক শ কিলোমিটার। প্রায় হাজার খানেক ছোট ছোট আগ্নেয়গিরির আছে যাদের আকৃতি বিচিত্র ধরনের। দূর থেকে দেখতে কোন কোনটাকে লাগে প্যানকেকের মত, আবার কোন কোনটাকে লাগে মাকড়শার মতো।
শুক্র গ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরির নাম রাখা হয়েছে মিশরের সত্য ও ন্যায়ের দেবী মাটের (Ma'at) নামে।
আগ্নেয়গিরি
থেকে সৃষ্ট এই পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় আট কিলোমিটার।
চিত্র 66: মাট
মন্স (Maat Mons) শুক্রের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি
চিত্র 67:
প্যানকেক ডোম্স
শুক্রের আলফা রেজিও অঞ্চলে দেখা গেছে অনেকগুলো ছোট ছোট আগ্নেয়গিরি যাদের গড় ব্যাস প্রায় বিশ কিলোমিটার এবং উচ্চতা প্রায় 750 মিটার। এসব ছোট ছোট পাহাড়ের চারপাশ খুব খাড়া এবং উপরটা
খুব সমতল বলে এগুলোকে দেখতে অনেকটা প্যানকেকের মতো লাগে। তাই এগুলোর নাম প্যানকেক
ডোমস (Pancake domes)।
আবার কতগুলো আগ্নেয়গিরির ঢালু পথ
এমনভাবে খাঁজকাটা এবং এবড়োখেবড়ো যে দেখতে মাকড়শার পায়ের মত লাগে। এগুলোকে বলে
অ্যারাকনয়েডস (Arachnoids)। এগুলো প্রায় 200 কিলোমিটার পর্যন্ত
বিস্তৃত হতে পারে। শুক্র গ্রহে এ ধরনের প্রায় নব্বইটি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পাওয়া
গেছে।
চিত্র 68: অ্যারাকনয়েডস
আগ্নেয়গিরি
শুক্রের আগ্নেয়গিরি
কি জীবন্ত? এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ কিংবা না দুটোই হতে পারে। শুক্র গ্রহের বাতাসে
সালফার ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ার অর্থ হচ্ছে আগ্নেয়গিরির লাভা নির্গমন হচ্ছে।
শুক্রের আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে কোন কোনটা এখনো জীবন্ত হলেও হতে পারে।
[1] এই সবগুলো
জায়গার পূর্ণ বিবরণ আছে এই ওয়েবসাইটে: https://planetarynames.wr.usgs.gov/Page/VENUS/target
[2] বেলারুশ, রাশিয়া, ইউক্রেন, চেক, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, বুলগেরিয়া ইত্যাদি
[3] কোন গ্রহে আগ্নেয়গিরি কীভাবে উৎপন্ন হয় তা আমরা পৃথিবী
গ্রহ সম্পর্কে আলোচনা করার সময় বিস্তারিত বলেছি। দেখো প্রদীপ দেবের 'পৃথিবী: সূর্যের তৃতীয় গ্রহ', মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৬, পৃষ্ঠা: ৭২।
Latest Post
কৃত্রিম স্নায়ুতন্ত্র ও যন্ত্রের লেখাপড়া
মানুষ যখন থেকে বুঝতে পেরেছে যে তাদের মগজে বুদ্ধি আছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধির পরিমাণ এবং তীক্ষ্ণতা বাড়ানো যায় – তখন থেকেই ...
Popular Posts
-
I am not exactly sure how donkeys drink water. However, since childhood, I have heard that they drink muddy water. Even if they are provid...
-
মানুষ যখন থেকে বুঝতে পেরেছে যে তাদের মগজে বুদ্ধি আছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধির পরিমাণ এবং তীক্ষ্ণতা বাড়ানো যায় – তখন থেকেই ...
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতার চোখ সম্পর্কে তেমন কোন অভিযোগ কড়া সমালোচকদের পক্ষ থেকেও আসেনি। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একচক্ষুবিশিষ্ট ছিল – এমন ব...