Showing posts with label মাসুদ রানা. Show all posts
Showing posts with label মাসুদ রানা. Show all posts

Wednesday, 13 October 2021

মাসুদ রানা ০০৬ - দুর্গম দুর্গ

 



১৯৬৭ সালে প্রথম প্রকাশিত। মাসুদ রানা সিরিজের ষষ্ঠ বই। এখনো মাসুদ রানা পাকিস্তানের স্বার্থরক্ষা করার কাজে ব্যস্ত দেশপ্রেমিক স্পাই হিসেবে।

ভারতের এক দুর্গম দুর্গে গিয়ে চারটি কামান ধ্বংস করে দেয়ার কাজ দেয়া হয় মাসুদ রানাকে। চারজন দুর্ধর্ষ সঙ্গী নিয়ে সমুদ্রপথে কিছুটা জেলেদের ছদ্মবেশে বেশ পুরনো ছোটখাট ইঞ্জিনের নৌকা নিয়ে রওনা হয় তারা। পথে কত রকমের বীরত্ব দেখানো। অতপর নৌকা ডূবতে ডুবতে সেই দ্বীপে পৌঁছে যাওয়া যেখানে আছে এই দুর্গ। সেখানে পাহারায় আছে ভারতীয় সৈন্যরা। ধরাও পড়ে তাদের হাতে। বীরত্ব আর কৌশল দেখিয়ে নিজেদের মুক্ত করে আনে, দুর্গম দুর্গও ধ্বংস করে দেয়। সেখানে পুরুষের ছদ্মবেশে একজন নারী সৈনিকের সাথে দেখা হয়ে যায় মাসুদ রানার। নারীর নাম ইশরাত জাহান।


Thursday, 7 October 2021

মাসুদ রানা ০৫ - মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা

 



মাসুদ রানা সিরিজের পঞ্চম বই – প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। তখনো মাসুদ রানা পাকিস্তানের দুর্ধর্ষ স্পাই। পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষাই তার ব্রত। ভারত পাকিস্তানের শত্রু দেশ। তাই এই বইতেও ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। 

মৃত্যুর সাথে পাঞ্জার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে মূলত কাশ্মিরের মুসলমানদের উপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর বন্দীদশা থেকে পাকিস্তানের বিজ্ঞানী সেলিম খানকে উদ্ধার করে নিরাপদে পাকিস্তানে নিয়ে আসার মধ্যে। 

মাসুদ রানা একাই এই মিশন নিয়ে কাশ্মীরের শ্রীনগরে রওনা হয় ছদ্মবেশ। পথে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে তার পরিচয় হয় জিঞ্জির এবং তার দলের সাথে। তারা কাশ্মীরের মুসলমানদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। জিঞ্জির আগে সেনাবাহিনীতে ছিলেন। জিঞ্জিরের মেয়ে রুবিনা। সুন্দরী, অভিনেত্রী। অবধারিতভাবে রানার প্রেমে পড়ে যায়। ফজল মাহমুদও রুবিনাকে ভালোবাসে অনেকদিন থেকেই। কিন্তু মাহমুদের ক্যান্সার। 

অবশেষে অনেক বীরত্ব মারপিট উত্তেজনা ইত্যাদির শেষে রানার জয়লাভ। 

এই বইটি পড়লাম ঘরের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে। 




Monday, 27 September 2021

মাসুদ রানা ০৪ - দুঃসাহসিক

 



আশি পৃষ্ঠার একটি ছোট্ট বই – পড়তে অনেকদিন লাগলো। আসলে সেভাবে একটানা পড়া হয়নি এটা। বাইরে ঠান্ডার কারণে ঘরের ভেতর হেঁটে হেঁটে বই পড়ার একটা পদ্ধতি কাজ করে কি না দেখছিলাম। মাসুদ রানা পড়া যায় সেভাবে। মোবাইলে পড়া। যদিও মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম দিকের এই বইগুলি যখন লেখা হয় – তখন মোবাইল ফোন তো দূরের কথা – ইলেকট্রনিক্সেরও তেমন কোন উন্নতি হয়নি। 

চতুর্থ বই – দুঃসাহসিক। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। আমার সমান বয়স এই বইটির। আমি আগে এই সিরিজের অনেকগুলি বই পড়েছিলাম। কিন্তু এখন কিছুই মনে নেই। মনে না থাকার ফলে মনে হচ্ছে সেই সময় পড়া কিংবা না পড়া একই ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। 

এই বইটি সিরিজের খুব একটা সবল বই নয়। মাসুদ রানা বিশেষ এক মিশন নিয়ে ছদ্মবেশে হংকং যান। সেখান থেকে ম্যাকাও। হংকং-এর হোটেলে, শিপে, রাস্তায় মারামারি চলে। শেষে সে-ই জয়ী হয়। এবার তার চায়নিজ বান্ধবী জোটে। ঘটনায় খুব বেশি থ্রিলিং ছিল না। 

অবশ্য বইটি পড়তে পড়তে আমার নিজের দেখা হংকং-এর কিছুটা মনে পড়ে। হংকং রেসকোর্স, জাহাজঘাটা ইত্যাদি। 


Saturday, 24 July 2021

মাসুদ রানা ০৩ - স্বর্ণমৃগ

 



মাসুদ রানা সিরিজের ৩য় বই  স্বর্ণমৃগ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই বইটাও প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিল বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে।




স্বর্ণ চোরাচালানীর মূল হোতাকে ধরার জন্য দায়িত্ব দিয়ে মাসুদ রানাকে পাঠানো হয় করাচিতে। সেখানে গিয়ে যে হোটেলে ওঠে – সেখানেই পরিচয় হয় জিনাত সুলতানার সাথে। যথারীতি সুন্দরী এবং কিছুটা ডিস্টার্বড জিনাতের সাথে নানা ঘটনার মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা হয়। জিনাতের বাবা খান মোহাম্মদ জান একটা উপদলের সর্দার হিসেবে অনেক ক্ষমতার অধিকারী। জিনাতকে মানসিক সমস্যা থেকে প্রেম-ভালোবাসার ওষুধে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিনিময়ে রানাকে সাহায্য করতে রাজি হন জিনাতের বাবা। তবে খুব বেশি কিছু তিনি করতে পারেননি।

মূল ভিলেন ওয়ালী আহমেদের অনেক ক্ষমতা। তার পোষা শক্তিশালী মানুষ গুঙ্গা’র সাথে অনেক মারপিট করতে হয় রানাকে। শেষ পর্যন্ত রানা ধরে ফেলে ওয়ালী আহমেদের নেটওয়ার্ক। একোয়ারিয়ামের মাধ্যমে সোনা চালান হয়। শত্রুকে শেষ করার জন্য ওয়ালী পিরানহা মাছ চাষ করেছিল। শেষ পর্যন্ত অনেক মারপিট শেষে পিরানহা মাছের কবলেই পড়তে হয় ওয়ালী আহমেদকে। রানাকে সাহায্য করেছে ওয়ালীর এক সময়ের কর্মচারী অনীতা গিলবার্ট। থ্রিলারের নিয়ম অনুযায়ী অনীতাও অনেক সুন্দরী।

সেই সময় সোনার দাম ছিল প্রতি ভরি ১৩০ টাকা। 

থ্রিলার হিসেবে মাসুদ রানা পড়ার সময় প্রায়ই মনে হয় জেমস বন্ডের কোন সিনেমা দেখছি। হবেই তো। কারণ এই থ্রিলার জেমস বন্ডের ছায়া অনুসারে লেখা।


Tuesday, 29 June 2021

মাসুদ রানা ০২ - ভারত নাট্যম



ভরতনাট্যম বলে ভুল করেছিলাম, আসলে বইয়ের নাম হলো ভারত নাট্যম। মাসুদ রানা সিরিজের এই দ্বিতীয় বইটিও কাজী আনোয়ার হোসেন প্রকাশ করেছিলেন বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে।

সেই সময় পাকিস্তানী হিসেবে ভারতবিদ্বেষ সম্ভবত খুব কাজ করছিল। প্রথম বইতে ভারতীয়দের সাহায্যে কাপ্তাই বাঁধ ভেঙে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলো পাকিস্তানী এক নৃশংস পাগল বিজ্ঞানী। সিরিজের দ্বিতীয় বইতেও দেখা যায় – পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে ভারতীয়রা। শান্তি মিশনের নামে সাংস্কৃতিক দলের ছদ্মবেশে পূর্ব পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে ভারতীয় গুপ্তচররা। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে। নৃত্যশিল্পী মিত্রা সেন – সুন্দরী। ভারতীয় গুপ্তচর। অথবা টোপ। তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে ষড়যন্ত্রের কাজে। জানা যায় – মিত্রা সেনের মামা আবার ভারতীয় মন্ত্রী।


পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রাহাত খান মাসুদ রানাকে দায়িত্ব দেন এই মিশনের কাজে নজর রাখতে। রানা সাংবাদিকের ছদ্মবেশে তার কাজ করে। যথারীতি – মিত্রা সেনের কাছে চলে আসে রানা। মিত্রা রানার প্রেমে পড়ে।

ঘটনাক্রমে পাকিস্তানের নব্য ধনীদের বখাটে ছেলেদের কথা আসে – যারা ইয়ং টাইগার্স ক্লাব গড়ে তোলে – মদ ড্রাগ আর নারীচর্চা করে। যা অনেকটা এখনকার সময়েরও প্রতিনিধিত্ব করে।

রানা পূর্ব-পাকিস্তানের কাজ কিছুটা গুছিয়ে চলে যায় ব্যাংকক। সেখানে পরিচয় হয় ক্যাথি ডেভনের সাথে। ক্যাথিকে সাহায্য করার জন্য জুয়া খেলায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই তুলে দেয় ১২ হাজার ডলার। কিন্তু ক্যাথি তা জানতো না। টাকার জন্য সে বিশ্বাসঘাতকতা করে রানার পরিচয় জানিয়ে দেয়। রানা ইন্ডীয়াতে এসে ধরা পড়ে। সেখানে তাকে সাহায্য করে ক্যাথির বোন।

ইন্ডিয়ানরা পূর্ব-পাকিস্তানে লক্ষ লক্ষ পতঙ্গ পাঠিয়ে সব খাদ্যশস্য ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা করে। রানা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তা বাঞ্চাল করে দেয়।

মাসুদ রানার সংলাপে মাঝে মাঝেই নারীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য উঠে আসে। এগুলি সম্ভবত সেই সময় খুব স্বাভাবিক ছিল – যেমন ক্যাথি গাড়ি চালানোর সময় রানা মন্তব্য করে – বেশিরভাগ মেয়ে ড্রাইভার একদিকে সিগনাল দিয়ে অন্যদিকে টার্ন নেয়। অর্থাৎ মেয়েরা খারাপ ড্রাইভার!!


Thursday, 3 June 2021

মাসুদ রানা ০১ - ধ্বংসপাহাড়

 



মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই – ধ্বংসপাহাড় প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালের মে মাসে। কাজী আনোয়ার হোসেন সম্ভবত খুব একটা নিশ্চিত ছিলেন না এই সিরিজের সাফল্যের ব্যাপারে। তাই সিরিজের প্রথম কয়েকটি বইতে লেখকের ছদ্মনাম ‘বিদ্যুৎ মিত্র’ ব্যবহার করা হয়েছিল।



পাকিস্তান আমলের বই। সেই সময় বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানকে নিজের দেশ হিসেবে অনেক পছন্দ করতো। পাশের দেশ ভারতের সাথে পাকিস্তানের শত্রুভাবাপন্নতার অনেক কারণ ছিল তখন। তাই মাসুদরানা সিরিজের প্রথম বইতে ভারতকে বাংলাদেশের সাফল্যের শত্রু হিসেবে দেখানো হয়েছে।

কাহিনি আবর্তিত হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সদ্যনির্মিত বাঁধকে নিয়ে। পাকিস্তানের কিছু মানুষ ভারতীয়দের সাহায্য নিয়ে  উদ্বোধনের দিনেই কাপ্তাই বাঁধ ধ্বংস করে দেয়ার প্ল্যান করে। সেই প্ল্যানের কথা ফাঁস হয়ে যায় পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর ঢাকা অফিসে। তারা মাসুদ রানাকে পাঠায় এই পরিকল্পনা বাঞ্চাল করতে। সুন্দরী ভারতীয় এজেন্ট সুলতা রায়ের সাথে কাজ করতে গিয়ে যা হয় – প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদিও হয়ে যায়।

এই বইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বিজ্ঞানী কবীর চৌধুরি। কাপ্তাই-এর জঙ্গলের মধ্যে তিনি গড়ে তুলেছিলেন বিরাট গবেষণাগার। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান। সেই ১৯৬৬ সালেই অ্যান্টি-ম্যাটার, অ্যান্টি-গ্র্যাভিটি, আর সুপারসাউন্ড নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু এত মেধাবী মানুষ – শুধুমাত্র বাঁধের কারণে ল্যাব ডুবে যাচ্ছে বলেই এতটা নৃশংস হয়ে উঠতে পারেন – ভাবা যায় না। কাপ্তাই বাঁধ তৈরি করার সময় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, কিন্তু সরকার সবাইকেই যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। 

সে যাই হোক – এই সিরিজটি এত বেশি জনপ্রিয় হয়েছে যে ৫৫ বছর পরেও এখনো এর পাঠকসংখ্যা কমেনি।

যে সময় আমার অনেক বন্ধু সেবা প্রকাশনীর বই পড়ছিল বুঁদ হয়ে, আমি তখন পড়েছি দস্যু বনহুর। এত বছর পরে মাসুদ রানা পড়ছি। হাহাহা।


Latest Post

ফ্ল্যাশ রেডিওথেরাপি: ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা

  যে রোগের কাছে পৃথিবীর মানুষ সবচেয়ে বেশি অসহায় – তার নাম ক্যান্সার। প্রতি বছর ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। ধারণা করা হ...

Popular Posts