This is a personal blog of
Dr Pradip Deb.
Our everyday sciences,
hobbies,
literature,
travel
and
many other human issues
are discussed here.
প্রদীপ দেবের ব্লগ।।
Pages
- Home
- About Me
- আমার বইগুলি
- কবিতাপাঠ
- গল্পপাঠ
- শিশুদের জন্য গল্পপাঠ
- ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী
- স্বপ্নলোকের চাবি
- বিজ্ঞান বক্তৃতা
- Science Talks
- ENGLISH BLOG
- শিশুদের গণিত
- বিজ্ঞান
- Science
- বিজ্ঞানী
- Scientists
- ব্যক্তিত্ব
- বিবিধ প্রসঙ্গ
- Miscellaneous
- পাঠ প্রতিক্রিয়া
- সিনেমা
- ভ্রমণ
- গল্প
- প্রবাস
- শিক্ষা
- স্মৃতিচারণ
- Memoirs/Remembrance
Monday, 30 April 2018
Sunday, 29 April 2018
বাঙালি নারীরা তাদের ঐতিহ্য হারাচ্ছে
বাংলাদেশের
দৈনিক সংবাদপত্রগুলোতে একটা পাতা থাকে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য - মহিলাদের পাতা।
সপ্তাহে একদিন সেখানে শুধুমাত্র মেয়েদের লেখা প্রকাশিত হয়। দৈনিক পূর্বকোণ-এর
মহিলাদের পাতায় অ্যানি একসময় লিখতে শুরু করেছিল। তার তখনকার লেখাগুলো আমি দেখে
দিতাম। পূর্বকোণের মহিলাদের পাতায় একটা সিরিজ আলোচনা শুরু হয়েছিল 'বাঙালি নারীরা
তাদের ঐতিহ্য হারাচ্ছে' শিরোনামে। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট লেখকদের মধ্যে যাঁরা মহিলা তাঁদের
অনেকেই লিখলেন সেখানে। অ্যানিরও একটা লেখা প্রকাশিত হলো। তার লেখার সমালোচনা করে
একটি লেখা প্রকাশিত হলো। অ্যানির লেখার পক্ষে একটি লেখা তৈরি করে নিয়ে গেলাম
পূর্বকোণ অফিসে। পত্রিকা অফিসের কারো সাথে, কোন সম্পাদকের সাথে আমার ব্যক্তিগত
পরিচয় ছিল না। কারো সাথে আমার নিজের লেখা নিয়ে আলোচনা করতেও আমার স্বস্তি হয় না।
আমি সাধারণত পত্রিকা অফিসের চিঠির বাক্সে লেখা ফেলে দিয়ে আসতাম। সেদিন এই লেখাটা
নিয়ে ভেতরে গেলাম। তখন মহিলাদের পাতা সম্পাদনা করতেন সাংবাদিক বিশ্বজিত চৌধুরি।
তিনি লেখাটি হাতে নিয়েই বললেন, মহিলাদের পাতায় তো পুরুষ লেখকের লেখা প্রকাশ করা হয়
না। তাহলে? লেখাটা নিয়ে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই তিনি বললেন, "একজন
মহিলার নামে লেখাটি প্রকাশ করা যাক। একটা নাম দেন।" সেই মুহূর্তে যে নামটা
মনে এসেছিল - সেই নামেই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ৯ জানুয়ারি।
একালের দেবদাস
বিংশ
শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে রচিত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবদাস' পুরো বিংশ
শতাব্দী জয় করে এ
শতাব্দীতেও নতুন রূপে ফিরে এসেছে বিভিন্ন সিনেমা ও নাটকে। সেই
নির্বাক যুগের সিনেমা থেকে শুরু করে এবছরের ঈদের টেলিফিল্মেও বার বার ফিরে এসেছে
দেবদাস-পার্বতী-চন্দ্রমুখীর কাহিনি।
১৯৫৫ সালে বিমল রায় পরিচালিত দেবদাসের পোস্টার |
চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত দেবদাস
|
সঞ্জয় লীলা বনশালির দেবদাস |
চাষী নজরুল ইসলামের রঞিন দেবদাস |
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবদাস'
উপন্যাস নিয়ে গত প্রায় এক শ' বছর ধরে অনেকগুলো নাটক সিনেমা তৈরি হয়েছে। সেই ১৯২৮
সালে নির্বাক সিনেমার যুগে পরিচালক নরেশ মিত্র তৈরি করেছিলেন প্রথম 'দেবদাস'।
তারপর ১৯৩৫ সালে প্রমথেশ বড়ুয়া'র দেবদাস বাংলা সিনেমার জগতে চিরায়ত চলচ্চিত্রের
মর্যাদা পায়। পরের বছর প্রমথেশ বড়ুয়া হিন্দিতে দেবদাস তৈরি করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি
আবার দেবদাস তৈরি করলেন অহমিয়া ভাষায়। তারপর থেকে কয়েক বছর পর পর দেবদাস সিনেমা
তৈরি হচ্ছে তো হচ্ছেই। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে সঞ্জয় লীলা বনশালী শাহরুখ খানকে
নিয়ে যে দেবদাস বানালেন তাতে শরৎ চাটুয্যের আসল দেবদাসের কিছু থাকুক বা না থাকুক -
ভারত বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম দেবদাসকে সম্পূর্ণ জমকালো রূপে দেখতে পেলো। ব্যর্থ প্রেমের
এই সাদামাটা কাহিনিটি মানুষ কেন এত পছন্দ করে তা গবেষণার বিষয়।
শফিক রেহমান সাহেব তাঁর যায় যায় দিন
ম্যাগাজিনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন করার ব্যাপারে মানুষকে
উদ্যোগী করে তুলেছিলেন। তিনি যায় যায় দিন সাপ্তাহিকে পাঠকের লেখা নিয়ে ভালোবাসা
সংখ্যা প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন।
আমার
'একালের
দেবদাস' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ভালোবাসা সংখ্যায়।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Latest Post
কৃত্রিম স্নায়ুতন্ত্র ও যন্ত্রের লেখাপড়া
মানুষ যখন থেকে বুঝতে পেরেছে যে তাদের মগজে বুদ্ধি আছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধির পরিমাণ এবং তীক্ষ্ণতা বাড়ানো যায় – তখন থেকেই ...
Popular Posts
-
I am not exactly sure how donkeys drink water. However, since childhood, I have heard that they drink muddy water. Even if they are provid...
-
মানুষ যখন থেকে বুঝতে পেরেছে যে তাদের মগজে বুদ্ধি আছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধির পরিমাণ এবং তীক্ষ্ণতা বাড়ানো যায় – তখন থেকেই ...
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতার চোখ সম্পর্কে তেমন কোন অভিযোগ কড়া সমালোচকদের পক্ষ থেকেও আসেনি। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একচক্ষুবিশিষ্ট ছিল – এমন ব...