বিয়ের এগারো বছরের মাথায় দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়ে ছোট ছোট দুটো মেয়েকে নিয়ে নিজের যোগ্য সম্মান ও অধিকার অর্জনের জন্য ধরতে গেলে সারাজীবনই সংগ্রাম করতে হয়েছে মেরি কুরিকে। ফ্রান্সের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেরির নামে কলংক রটিয়েছে - আর মেরি তখন তাঁর একক গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছেন দ্বিতীয় নোবেল পুরষ্কার। গবেষণা আর দুটো মেয়েকে বুকে ধরে এগিয়ে গেছেন নীরবে। গড়ে তুলেছেন বিশ্ববিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান - রেডিয়াম ইনস্টিটিউট। মৌলিক বিজ্ঞানের গবেষণায় মেয়েদের অংশগ্রহণের অগ্রদূত মেরি কুরি। তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বপ্রথম নারী যিনি বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনিই প্রথম নারী যিনি নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন এবং একমাত্র নারী বিজ্ঞানী যিনি দু’বার নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। শুধু তাই নয় - নিজের মেয়ে আইরিনকে গড়ে তুলেছেন বিজ্ঞানী হিসেবে। আইরিন কুরি ও তাঁর স্বামী ফ্রেদেরিক জুলিও রসায়নে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রিতে তাঁদের মৌলিক অবদানের জন্য। ক্যান্সার চিকিৎসায় তেজষ্ক্রিয়তার ব্যবহারের পথিকৃৎ মেরি কুরি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কিশোরী মেয়েকে সাথে নিয়ে মেরি ছুটে গিয়েছিলেন যুদ্ধাহত সৈনিকদের চিকিৎসায়। এক্স-রে ও রেডিয়াম ব্যবহার করে তাঁরা প্রাণ বাঁচিয়েছেন শত শত মানুষের। তাঁর সম্মানে তাঁর জন্মদিনে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মেডিকেল ফিজিক্স দিবস।
আজ মেরি কুরির জন্মদিন। শুভ জন্মদিন প্রিয় বিজ্ঞানী।
৭/১১/২০২০
No comments:
Post a Comment