Sunday 13 June 2021

মিশন মঙ্গল

 


আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গল। এই গ্রহে এপর্যন্ত অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকান মিশনের আধিপত্য সেখানে। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তারপর রাশিয়ান স্যাটেলাইট গেছে মঙ্গলে। ১৯৯৮ সালে এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম জাপান চেষ্টা করেছিল মঙ্গলে স্যাটেলাইট প্রেরণ করতে। কিন্তু মঙ্গলে পৌঁছাবার আগেই তার জ্বালানি শেষ হয়ে প্রকল্প ব্যর্থ হয়ে যায়। তারপর এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চীন চেষ্টা করেছিল ২০১১ সালে। সেটাও মঙ্গলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। ২০১৩ সালে ভারত প্রথমবার চেষ্টা করেই মঙ্গলে সফল ভাবে পৌঁছে দেয় তাদের স্যাটেলাইট - মঙ্গলায়ন। ২০১৪ সালে সেটা মঙ্গলের কক্ষপথে পোঁছে যায়। তারপর গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত ছবি তুলে পাঠাচ্ছে মঙ্গলের। মাত্র সাড়ে চারশ কোটি রুপি বা ৭৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করে মঙ্গল গ্রহে স্যাটেলাইট পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। তারা পেরেছে - কারণ যারা এই মিশনে কাজ করেছে - তারা নয়টা-পাঁচটার চাকরি করেননি, ভালোবেসে নিজেদের সমস্ত যোগ্যতা ঢেলে দিয়ে নিজের দেশকে নিয়ে গেছেন উচ্চতম যোগ্যতার স্থানে। 

এবছর তাদের চলচিত্র "মিশন মঙ্গল" মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি দেখে আবারো বুঝতে পারলাম তাদের শক্তি। তারা কাজ জানে। মাত্র ৩২ কোটি রুপি খরচ করে তারা যে সিনেমাটি তৈরি করেছে সেটাও মঙ্গলায়নের মত মাস্টারপিস। এই ছবি দেখে অনেক শিক্ষার্থীই, বিশেষ করে মেয়েরা, মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চাইবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। 

আমার মাঝে মাঝে দুঃখ হয় এই ভেবে যে - তাদের সরকারি গবেষণা-সংস্থাগুলোতে এরকম বিশ্বমানের কাজ হয়, আমাদের হয় না কেন? নিদেনপক্ষে একটা ভালো সিনেমাও কেন আমরা তৈরি করতে পারি না?

২৪ আগস্ট ২০১৯

No comments:

Post a Comment

Latest Post

নিউক্লিয়ার শক্তির আবিষ্কার ও ম্যানহ্যাটন প্রকল্প

  “পারমাণবিক বোমার ভয়ানক বিধ্বংসী ক্ষমতা জানা সত্ত্বেও আপনি কেন বোমা তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন?” ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের ‘কাইজো’ ম্য...

Popular Posts