Tuesday 1 June 2021

অরিন্দম শীলের সিনেমা - আবর্ত


 

পরিচালক অরিন্দম শীলের প্রথম ছবি আবর্ত মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। প্রথম ছবিতেই স্বকীয় সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন অরিন্দম। আবর্ত ছবির গল্পে শংকর এর সীমাবদ্ধ উপন্যাসের এবং সত্যজিৎ রায়ের 'সীমাবদ্ধ' সিনেমার ছায়া রয়েছে। সীমাবদ্ধ সিনেমার চরিত্র শ্যামলেন্দু এবং শ্যামলেন্দু চরিত্রের মূল অভিনেতা বরুণ চন্দ-কে নিয়ে আসা হয়েছে একটি চরিত্রে। হঠাৎ মনে হয়েছিল এটা সীমাবদ্ধ সিনেমার পুনরাবর্তন। 

কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মিস্টার সেন এবং তার নিঃসঙ্গ স্ত্রী চারু। কোম্পানির চাকরির সিঁড়ি বেয়ে যতই উপরে উঠা, ততই একা হয়ে যাওয়া। ততই জড়িয়ে পড়া কোম্পানির পলিটিক্সে। সেন - ছোটবেলা থেকেই উচ্চাভিলাসী।  নিজের বড়ভাইয়ের ভালো রেজাল্ট সে সহ্য করতে পারেনি কৈশোরে। ভাইয়ের সব সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিয়েছিল সে। তার বড়ভাইয়ের চরিত্রে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অনবদ্য। সিনেমার বিবেকের মতো তার মুখ দিয়ে বের হয় - সুখের চাবিকাঠির কিছুটা সন্ধান। জীবনে এত ছুটাছুটির দরকার কী? আস্তে আস্তে গায়ে রোদ লাগিয়ে, বাতাসের গন্ধ গায়ে মেখে - জীবনে চললে জীবন যাপন করা যায়, জীবন উপভোগ করা যায়। 

জীবনের আবর্তে কত কিছু আসে। সেন  তার  ব্যক্তিগত সহকারীর সাথে প্রেমবিহীন শরীরে আসক্ত হয়ে পড়ে।  সহকারীও উপরে উঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে তার শারীরিক মোহময়তা। এদিকে চারুর সাথে ক্রিকেটার হরির একটা সম্পর্ক তৈরি হয় - তাকে ঠিক প্রেম বলা যায় না, আবার অস্বীকারও করা যায় না। প্রয়োজনে এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে চারু তার স্বামীর সংকট্মোচনে সাহায্য করে। 

টোটা রায়চৌধুরি, জয়া আহসান, আবির চ্যাটার্জি, শ্বাশ্বত চ্যাটার্জি সবাই চমৎকার। 

সিনেমাটি ইউটিউবের নিচের লিংক থেকে দেখা যেতে পারে। 





No comments:

Post a Comment

Latest Post

নিউক্লিয়ার শক্তির আবিষ্কার ও ম্যানহ্যাটন প্রকল্প

  “পারমাণবিক বোমার ভয়ানক বিধ্বংসী ক্ষমতা জানা সত্ত্বেও আপনি কেন বোমা তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন?” ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের ‘কাইজো’ ম্য...

Popular Posts