Sunday 13 June 2021

করোনা ভাইরাস - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ

 

উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়াতেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে।

হাত না ধুয়ে নিজের নাক মুখ স্পর্শ করবেন না। অন্যের কাছ থেকে কমপক্ষে ২ মিটার দূরে থাকুন। ঘরের ভেতরও এই দূরত্ব বজায় রাখুন।


প্রচন্ড ঠান্ডাতেও করোনা ভাইরাস টিকে থাকতে পারে। বাইরের তাপমাত্রা যত গরম বা ঠান্ডা হোক না কেন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিকই থাকে। করোনাকে কিছুতেই আমাদের শরীরে ঢুকতে দেয়া যাবে না। তার জন্য পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজের হাত পরিষ্কার রাখুন। নাকে-মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।


গরম পানিতে গোসল করলেই করোনা ভাইরাস আর শরীরে ঢুকতে পারবে না ভাবার কোন কারণ নেই। আপনার হাত দিয়েই করোনা ভাইরাস আপনার শরীরে ঢুকবে। তাই স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন। হাত পরিষ্কার রাখুন। স্যানিটাইজার আর সাবান সমান কার্যকরী।  অন্যের কাছ থেকে কমপক্ষে দুই মিটার দূরে থাকুন। ঘরের ভিতরও এই দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনার আপনজনকে ভালো রাখতে চাইলে - তাদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখুন।


মশার কামড় থেকে করোনা ছড়ায় না। তবে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার কথা ভুলে যাবেন না।




হাত না ধুয়ে শুধুমাত্র আগুনে গরম করলেও হাত ধোয়ার সমান ফল পাবেন না। গরমে করোনা ভাইরাস মরে না। করোনা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।



শরীর থেকে করোনা ভাইরাস দূর করার জন্য অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করবেন না। অতিবেগুনি রশ্মি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ক্যান্সার হতে পারে।



এয়ারপোর্টের  থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা যায় না। থার্মাল স্ক্যানারে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তা নির্ণয় করা যায়। করোনা থেকে জ্বর হলে তা থার্মাল স্ক্যানারে ধরা পড়ে। অন্য কোনভাবে জ্বর হলে তাও ধরা পড়ে। জ্বরের কারণ কী তা থার্মাল স্ক্যানার থেকে বোঝা যায় না।  করোনার ফলে জ্বর হতে প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই সন্দেহ হলে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আলাদা থাকা জরুরি।



সারা শরীরে এলকোহল বা ক্লোরিন ছিটিয়ে দিলে করোনা ভাইরাস মরে যাবে ভাবার কোন কারণ নেই। শরীরে যদি ভাইরাস ঢুকে যায় তাহলে সেগুলোকে বাইরে থেকে মারা সম্ভব নয়। ক্লোরিন বা এলকোহল সেক্ষেত্রে অন্য ক্ষতি করতে পারে। শরীরে ভাইরাস ঢুকে গেলেই আপনি মারা যাবেন না। ঠান্ডা জনিত অন্যান্য ভাইরাসের মতই আপনার জ্বর হবে। আপনার রোগপ্রতিরোধক্ষমতা ভাল থাকলে আপনি সাধারণ চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যেন অন্যের মধ্যে এই ভাইরাস না ছড়ান সেজন্য আপনাকে অবশ্যই আলাদা থাকতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখুন, সুস্থ থাকুন।



নিউমোনিয়া কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দিয়ে কি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। করোনা ভাইরাস নতুন ধরনের ভাইরাস। পুরনো টিকায় কাজ হবে না। সুতরাং কোন টিকা নেবেন না।



নাকে গরম পানির বাষ্প নিলে বা লবণ পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ভাবার কোন কারণ নেই।



রসুন খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে - একথা বিশ্বাস করবেন না। রসুনের অনেক গুণ আছে ঠিক। কিন্তু রসুন করোনা ভাইরাস ঠেকাতে পারে না।



করোনা ভাইরাস সব বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারে। তবে বয়স্ক মানুষ এবং যাদের শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ আছে - তাদের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। তাই আক্রান্ত হলে তাদের সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের রক্ষা করার জন্য তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন - যেন আপনার মাধ্যমে তারা করোনা-আক্রান্ত না হন।



অ্যান্টিবায়োটিক করোনা ভাইরাসের উপর কোন কাজ করে না। শুধু করোনা কেন - কোন ভাইরাসের উপরই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে ব্যাকটেরিয়ার উপর। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।



করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখনো কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই কারো কথায় প্রলুব্ধ হয়ে করোনা ভাইরাসের জন্য কোন ওষুধ খাবেন না।

২৮ মার্চ ২০২০

No comments:

Post a Comment

Latest Post

Dorothy Crowfoot Hodgkin

  Look closely at the fingers of the person in the picture. Her fingers had not bent in this way due to age; she had been suffering from chr...

Popular Posts