Sunday, 30 April 2023

মারিয়েটা ব্লাউ – প্রথম যুগের কণাপদার্থবিজ্ঞানী

 


বিজ্ঞানের জগতকে আমরা যতটা বস্তুনিষ্ঠ বলে ভাবি, আসলে কিন্তু তা নয়। বিজ্ঞানের জগতে বিজ্ঞানীরা সবাই প্রচন্ড স্বার্থপর। নিজেদের কৃতিত্বের এতটুকু ছাড় দিতে তাঁরা রাজি নন, কিন্তু অন্যের কৃতিত্ব প্রায়ই তারা অস্বীকার করেন, এবং সুযোগ থাকলে নিজের বলে চালিয়ে দিতে পিছপা হন না। সে কারণেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে নিজেদের ভাবনা, যেকোনো ছোটখাট আবিষ্কার ঘটা করে প্রচার করার সংস্কৃতি চালু আছে। উদ্ভাবনের প্যাটেন্ট পাবার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। সেখানে যাদের প্যাটেন্ট জোগাড় করার পদ্ধতিগত টাকা খরচ করার মতো সামর্থ্য থাকে না, তাদের প্যাটেন্ট চলে যায় সামর্থ্যবান কোম্পানির দখলে। প্যাটেন্ট অ্যাটর্নিদের ফি অনেক। বিজ্ঞানীদের মধ্যেও আছে প্রাতিষ্ঠানিক জাতপ্রথা। বাংলাদেশের অখ্যাত কোন কলেজের কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর পক্ষে কোন একটি গবেষণাপত্র কোন নামী জার্নালে প্রকাশ করতে যে পরিমাণ বেগ পেতে হবে, হার্ভার্ড কিংবা এম-আই-টির কোন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তার শতাংশ কষ্ট করতে হবে না। বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর পক্ষেও আইনস্টাইনের সাহায্য ছাড়া গবেষণাপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। এই জাতপ্রথা উচ্ছেদ করার জন্য গবেষণা সাময়িকীগুলো অনেক ধরনের ডাবল ব্লাইন্ড রিভিউ ব্যবস্থার প্রচলন করেছে – যেখানে রিভিউরাররা গবেষণাপ্রবন্ধের লেখকবিজ্ঞানীদের নাম পরিচয় জানতে পারেন না। কিন্তু রেফারেন্স লিস্ট থেকেই মোটামুটি বোঝা যায় – কোন্‌ প্রবন্ধ কোত্থেকে এসেছে। তাছাড়া ইদানীং যেকোনো নামী গবেষণাসাময়িকীতে প্রকাশনার জন্য গৃহীত হবার পরেও যে পরিমাণ পাবলিকেশান ফি দিতে হয়, তা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। যেমন নেচার সাময়িকীতে একটি প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য প্রায় সাত-আট হাজার ডলার দিতে হয়। এই পরিমাণ টাকা একজন দরিদ্র অথচ মেধাবী বিজ্ঞানীর পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হয় না। তখন তাঁর খুব যুগান্তকারী আবিষ্কার হয়তো কোন ফ্রি জার্নালে প্রকাশিত হয় – যা নামী বিজ্ঞানীদের কারো চোখেই পড়ে না। 

এত কথা মনে হলো অস্ট্রিয়ার কণা পদার্থবিজ্ঞানী মারিয়েটা ব্লাউর কথা স্মরণ করে। তাঁর আবিষ্কৃত  ফটোগ্রাফিক প্লেটের মাধ্যমে পারমাণবিক কণা শনাক্ত করার পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজ্ঞানী সিসিল পাওয়েল নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৫০ সালে, অথচ মারিয়েটার অবদানের কথা তিনি স্বীকারই করেননি। 

মারিয়েটা ব্লাউ জন্মেছিলেন অস্ট্রিয়ার এক মধ্যবিত্ত ইহুদি পরিবারে ১৮৯৪ সালের ২৯ এপ্রিল। ১৯১৯ সালে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করার পরেও তিনি কোনো চাকরি পাননি অস্ট্রিয়ার কোথাও। গবেষণা ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। তাই গবেষণা করার সুযোগ আছে এরকম কোন চাকরি খুঁজছিলেন তিনি। ১৯২১ সালে বার্লিনের একটি এক্স-রে টিউব তৈরি করার কারখানায় যোগ দেন। সেখানে তিনি অনেক কাজ শেখেন, কিন্তু রুটিন কাজের বাইরে স্বাধীনভাবে গবেষণার সুযোগ খুব একটা ছিল না। তাই ১৯২৩ সালে ভিয়েনায় ফিরে এসে বিনাবেতনে গবেষণা শুরু করলেন ভিয়েনার রেডিয়াম রিসার্চ ইন্সটিটিউটে। সেখানেই তিনি পরবর্তী আট বছর ধরে গবেষণা করে ফটোগ্রাফিক ইমালশানের মাধ্যমে নিউক্লিয়ার কণা শনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি শনাক্ত করেন মহাকাশের নক্ষত্র থেকে ছুটে আসা কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মি। অথচ ১৯৫০ সালে এই পদ্ধতির সাহায্যে মেসন কণা শনাক্তকরণের জন্য নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সিসিল পাওয়েলকে। 

১৯৩৮ সালে মারিয়েটা ব্লাউকে কাজ থেকে শুধু নয়, দেশ থেকেও তাড়িয়ে দেয়া হয় শুধুমাত্র ইহুদি হবার অপরাধে। এদেশ থেকে ওদেশে পালাতে পালাতে শেষপর্যন্ত আইনস্টাইনের সুপারিশ এবং সহায়তায় তিনি মেক্সিকোতে একটি চাকরি পান। অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে যাবার সময় তিনি তাঁর গবেষণার কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হামবুর্গ এয়ারপোর্টে জার্মান সৈনিকেরা তাঁর সব কাগজপত্র কেড়ে নেয়। পরে তাঁর এই গবেষণার অনেককিছুই হারথা ওয়ামবাখার ও জর্জ স্টেটার নিজেদের নামে প্রকাশ করেন। অথচ এই দুইজন ছিলেন মারিয়েটা ব্লাউর সহকারি। হারথা ছিলেন তাঁর সরাসরি ছাত্রী। নাৎসি সমর্থক এই দুজন হিটলারের জার্মানিতে নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী হিসেবে অনেক নাম করেছিলেন।

মারিয়েটা ব্লাউয়ের মতো অনেকেই এখনো বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।  এই বঞ্চনার কথা অনেক সময় কেউ জানতেও পারে না। 


Tuesday, 18 April 2023

মাসুদ রানা ০০৭ - শত্রু ভয়ঙ্কর

 




এই বইটি একটু একটু করে পড়তে দীর্ঘদিন লেগেছে। থ্রিলার একটানে পড়ে ফেলার কথা। টানটান উত্তেজনা থাকার কথা। ক্লাস নাইন-টেন-ইলেভেনে যেভাবে দস্যু বনহুর পড়তাম, এখনো সেভাবে পড়তে পারলে বেশ লাগতো। এখন যে ভেতরের পাঠক মরে গেছে তা নয়, কিন্তু এখন কেমন যেন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে অনেক। কাজও বেড়েছে, একসাথে অনেক কাজ করার মাল্টি টাস্কিং নামে এক অভ্যাস তৈরি হয়েছে। তাতে যে খুব কাজ হয়ে যায় তা নয়। তবে অনেক কাজই শুরু হয়, কোনোটাই ঠিকমতো শেষ হয় না। পল ডিরাক যে একসাথে একটির বেশি কাজ কখনোই করতেন তা – তার সুফল তিনি হাতে হাতে পেয়েছিলেন। 

মাসুদ রানা সিরিজের সপ্তম বই ‘শত্রু ভয়ঙ্কর’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। হয়তো আমার জন্মেরও আগে। ক্লাস টেনে পড়ার সময় সুশান্ত যখন কাঞ্চন নগর থেকে পটিয়ায় এসে মাসুদ রানার বই কিনে নিয়ে যেতো, তখন আমি পটিয়াতে ছিলাম। ইচ্ছে করলে মাসুদ রানা পড়তে পারতাম। কিন্তু আমি সেসময় দস্যু বনহুরই শুধু পড়েছি। কেন যে মাসুদ রানা তখন পড়িনি জানি না। এখন এই বয়সে যখন মানুষ ভারী ভারী বই পড়ে বিজ্ঞজনোচিত আচরণ করে, আমি তখন কৈশোরের স্মৃতিকাতরতা নিয়ে মাসুদ রানা পড়ি। তাতে মাসুদ রানার আরোপিত বীরত্বে যতটা যা আমোদিত হই, তার চেয়েও বেশি ফিরে আসে আমার কৈশোরের স্মৃতি। 

শত্রু ভয়ংকর কবে পড়তে শুরু করেছিলাম মনে নেই। শেষ করলাম কুবার পিডিতে গিয়ে। মেলবোর্ন থেকে এডেলেইড যাবার পথে এয়ারপোর্ট আর প্লেনে বসেও পড়েছি। ফোনে গাদা গাদা বই থাকে, এটা যে কী পরিমাণ সুবিধা দেয়!

এবার আসি শত্রু ভয়ঙ্করের কথায়। পাকিস্তানের স্পাই মাসুদ রানাকে ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয় মূলত রাশিয়ার আণবিক বোমা এম-৩১৫ – যা চুরি হয়ে গেছে তা খুঁজে বের করার জন্য। সেজন্য নানারকম নাটকীয় ঘটনা ঘটায়। ইস্তাম্বুলে খুনের অপরাধে বিচার হবার সময় যে সুন্দরী যোহরা হাসানকে সাথে নিয়ে পালায়। যেরকম ধারণা করা হয়, সেরকমই ঘটে – যোরা রানাকে ভালোবেসে ফেলে। স্বাভাবিক। এদিকে যোরার বাবাকে জিম্মি করে ফেলে ইস্তাম্বুলের মাফিয়া চিফ ইয়াকুব বে। 

মাসুদ রানা, জাহাজ, জাহাজের ভেতর যুদ্ধ যুদ্ধ, এবং সবশেষে মধুরেন সমাপয়েৎ। আলাদা করে কেমন লেগেছে বলার কোন মানে হয় না। 


Monday, 17 April 2023

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি

 



যে দুটি চিত্রকর্মকে সর্বকালের সেরা চিত্রকর্ম বলে মনে করা হয় তাদের প্রথমটি হলো ‘মোনালিসা’, আর দ্বিতীয়টি ‘দ্য লাস্ট সাপার’। দুটোরই চিত্রকর ছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। শুধু চিত্রশিল্পী নন, তিনি ছিলেন শিল্পকলার নতুন প্রথার তাত্ত্বিক পথপ্রদর্শক, স্থপতি, মঞ্চসজ্জাবিদ, প্রকৌশলী, গণিতজ্ঞ, পদার্থবিদ, ভূগোলবিদ, ভূতত্ত্ববিদ, শরীরতত্ত্ববিদ। চতুর্দশ শতাব্দীর ইওরোপের রেনেসাঁ যুগের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাশালী মানুষ ছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। 

ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের কাছাকাছি ভিঞ্চি নামক উপশহরে জন্ম বলেই লিওনার্দোর নাম হয়ে গেছে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। ইওরোপে নামের সাথে পারিবারিক নাম যোগ করার নিয়ম তখনো চালু হয়নি। সুনির্দিষ্ট পরিচিতির উদ্দেশ্যে অনেকে নামের সাথে জন্মস্থানের নাম জুড়ে দিতেন – যেমন ভিঞ্চি শহরের লিওনার্দো হলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। অনেকে নামের সাথে যোগ করে নিতেন তাঁদের পেশা; যেমন মাইকেল শুমেইকার – অর্থাৎ জুতার কারিগর মাইকেল ইত্যাদি। 

ভিঞ্চি শহরের তরুণ নোটারি পাবলিক  পিয়েরো  ভালোবেসেছিলেন এক চাষীর মেয়ে ক্যাটেরিনাকে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধানের কারণে পিয়েরো ও ক্যাটেরিনার প্রণয় পরিণয়ে গড়ায়নি। কিন্তু তাদের ভালোবাসার সন্তান লিওনার্দোর জন্ম হয়েছে ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল। বিবাহবহির্ভূত সন্তানের সামাজিক মর্যাদা খুব একটা ছিল না তখন। লিওনার্দোর শৈশব ছিল গ্লানিকর। ক্যাটারিনার বিয়ে হয়ে যায় একজন চাষীর সাথে, যিনি লিওনার্দোর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। পিয়েরোও বিয়ে করেছেন অন্য একজন সম্ভ্রান্ত রমণীকে। শিশু লিওনার্দোকে আদর দেয়ার কোন দায়িত্বই তাঁর ছিল না। পিয়েরো তাঁর সন্তান লিওনার্দোকে কিছু মাসোহারা দিয়ে পিতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হাতের কাজ শেখার ব্যবস্থা করেছিলেন যেন কাজ করে খেতে পারে লিওনার্দো। 

সারাজীবন নতুন নতুন কাজ শিখেছেন এবং কাজ করেছেন লিওনার্দো। পনের বছর বয়সে ফ্লোরেন্সের নামকরা চিত্রশিল্পী আন্দ্রিয়া ডেল ভেরোচ্চিওর সহকারী নিযুক্ত হয়ে পরবর্তী দশ বছর ধরে কাজ শেখেন তাঁর কাছে। শিখলেন কীভাবে ছবি আঁকতে হয়, মূর্তি বানাতে হয়, শিখলেন ধাতু গলিয়ে বিভিন্ন ধরনের অলংকার প্রস্তুতির কাজ, আর নতুন নতুন স্থাপত্যবিদ্যা। 

১৪৭৭ সাল থেকে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করার পর মিলান শহরের ডিউক লুদোভিকো স্ফোরজার নজরে আসেন। স্ফোরজা লিওনার্দোকে শহরের অনেক কাজ দেন। ১৪৮২ থেকে ১৪৯৯ পর্যন্ত লিওনার্দো অনেকগুলি ছবি আঁকেন, যেগুলি পরবর্তীতে খুবই বিখ্যাত হয়েছে। এসময় তিনি অনেক মঞ্চ, সরকারি ভবন, নগর পরিকল্পনা, সামরিক অস্ত্র, কলকারখানার যন্ত্রপাতি ইত্যাদি অনেককিছুর বিস্তারিত নকশা তৈরি করেন। শতাধিক নোটবইয়ের পাতার পর পাতা ভরে ওঠে তাঁর করা নকশায়। এর বেশিরভাগই লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায় পরবর্তী চারশ বছর। 

মিলানের ডিউকের জন্য কাজ করার সময়েই তিনি আঁকেন ‘দ্য লাস্ট সাপার’ – যা আঁকতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। লিওনার্দো অনেক ধরনের কাজ শুরু করতেন একই সাথে, যার বেশিরভাগই শেষ করা হতো না। 

১৪৯৯ সালে ফ্রান্স মিলান দখল করে নিলে মিলানের ডিউক লুদোভিকো ক্ষমতা হারালো, ফলে লিওনার্দোও কর্মহীন হয়ে পড়েন। পরবর্তী সতেরো বছর ধরে তিনি ইতালির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন কাজের সন্ধানে এবং বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালীর অধীনে। প্রভাবশালী শাসক, নির্মম মিলিটারি শাসক, পোপ, ব্যবসায়ী অনেকের জন্যই নানারকম কাজ তাঁকে করতে হয়েছে। ১৫০৩ সালে তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর মোনালিসা ছবির কাজ। ১৫০৬ সালে এই ছবির কাজ শেষ হয়। লিওনার্দো অবশ্য ভাবতেও পারেননি যে এই ছবিটি একদিন পৃথিবীবিখ্যাত হবে। ১৫০৬ সালে ৫৪ বছর বয়সে তিনি এনাটমি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং এনাটমিক্যাল স্কেচ করতে শুরু করেন। সেগুলি এতটাই নিখুঁতভাবে এঁকেছিলেন যে পরবর্তী শত বছর ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এই স্কেচগুলি থেকে এনাটমি শিখেছেন। 

১৫১৬ সালে ফ্রান্সের রাজা লিওনার্দোকে ফ্রান্সের প্রধান চিত্রকর, প্রকৌশলী এবং স্থপতির পদে নিয়োগ দেন। এই পদে কাজ করতে করতে ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিসের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন লিওনার্দো। দিনরাত কাজ করতে করতে শরীর ভেঙে পড়েছে লিওনার্দোর। শরীরের ডানভাগ অসাড় হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরেও কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। এভাবে কাজ করতে করতেই ১৫১৯ সালের ২ মে মৃত্যু হয় লিওনার্দো দা ভিঞ্চির। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কখনো বিয়ে করেননি, কারো সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল কি না তাও জানা যায়নি। জীবিত অবস্থায় যতটা পরিচিতি তিনি পেয়েছিলেন – তার চেয়ে হাজারগুণ পরিচিতি তিনি পেয়েছেন তাঁর মৃত্যুর পর। যত দিন যাচ্ছে তাঁর কাজের নতুনভাবে মূল্যায়ন হচ্ছে। সময়ের সাথে তিনি হয়ে উঠছেন আরো প্রাসঙ্গিক।


Latest Post

কৃত্রিম স্নায়ুতন্ত্র ও যন্ত্রের লেখাপড়া

  মানুষ যখন থেকে বুঝতে পেরেছে যে তাদের মগজে বুদ্ধি আছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধির পরিমাণ এবং তীক্ষ্ণতা বাড়ানো যায় – তখন থেকেই ...

Popular Posts