Sunday 15 December 2019

চাঁদের নাম লুনা - ২৯



অ্যাপোলো-১৬

মিশন
অ্যাপোলো-১৬
কমান্ডার
জন ইয়ং (John Young)
কমান্ড মডিউল পাইলট
থমাস ম্যাটিংলি (Thomas Mattingly)
লুনার মডিউল পাইলট
চার্লস ডিউক (Charles Duke)
কমান্ড মডিউলের ডাক নাম
ক্যাসপার (Casper)
লুনার মডিউলের ডাক নাম
অরিয়ন (Orion)
উড্ডয়নের তারিখ
১৬/০৪/১৯৭২
চাঁদে নামার তারিখ
২১/০৪/১৯৭২
প্রত্যাবর্তনের তারিখ
২৭/০৪/১৯৭২
মহাকাশে অতিবাহিত সময়
১১ দিন ১ ঘন্টা ৫১ মিনিট
চাঁদে অবস্থানের সময়
২ দিন ২৩ ঘন্টা ২ মিনিট
মিশনের লক্ষ্য
নিরাপদে নভোচারীদের চাঁদে নামা এবং সেখানে কিছু সময় থেকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসা। চাঁদে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার যন্ত্রপাতি বসানো। চাঁদে ব্যাটারিচালিত গাড়ি নিয়ে যাওয়া।  
ফলাফল
সফল। পৃথিবীর মানুষ পঞ্চমবারের মতো চাঁদে পা রাখলো। গাড়ি করে ঘুরলো চাঁদের পিঠে।
চাঁদে নামার স্থান
দেকার্তে হাইল্যান্ড (Descartes Highlands)


অ্যাপোলো-১৬ এর তিনজন নভোচারী

১৯৭২ সালের ১৬ এপ্রিল অ্যাপোলো-১৬ পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে উড়ে যায় অ্যাপোলো-১৬। একুশে এপ্রিল লুনার মডিউল অরিয়ন জন ইয়ং ও চার্লস ডিউককে নিয়ে নেমে আসে চাঁদের বুকে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ছয় ঘন্টা দেরি হয় অরিয়নের ল্যান্ডিং-এ। কমান্ড মডিউল থেকে লুনার মডিউল আলাদা করার সাথে সাথে প্রচন্ড বেগে কাঁপতে থাকে। এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে এই মিশন পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হতো। কিন্তু ছয় ঘন্টার চেষ্টায় লুনার মডিউল ঠিকমতো কাজ করতে শুরু করে। এই মিশনে অ্যাপোলো-১৫ মিশনে ব্যবহৃত লুনার রোভারের চেয়েও উন্নত রোভার ব্যবহার করা হয়। অ্যাপোলো-১৪ পর্যন্ত লুনার মডিউল ল্যান্ড করেছিল চাঁদের সমতল জায়গায় - মারিয়াতে। অ্যাপোলো-১৫ থেকে চাঁদের পাহাড়ের পর ল্যান্ড করা সম্ভব হয়েছে।
            অ্যাপোলো-১৬ এর লুনার মডিউল ল্যান্ড করে দেকার্তে হাইল্যান্ডে। প্রচুর পাথর সংগ্রহ করা হয় সেখান থেকে। প্রায় বারো কেজি ওজনের একটা পাথর সংগ্রহ করা হয়। চাঁদ থেকে আনা পাথরগুলোর মধ্যে এই পাথরটি সবচেয়ে বড়। চাঁদের অভিকর্ষ পরীক্ষা করে দেখা যায় যে চাঁদের বিভিন্ন জায়গায় অভিকর্ষের মান বিভিন্ন। চাঁদের মাটিতে দেখা গেছে মাঝে মাঝে অভিকর্ষের মান খুবই বেশি। মনে হয় যেন সেই জায়গার ভূমির ভর হঠাৎ বেড়ে গেছে। চাঁদের এরকম ভূমির নাম দেয়া হয়েছে ম্যাস কনসেন্ট্রেশান বা ম্যাসকন। চাঁদের চৌম্বকক্ষেত্র নিয়ন্ত্রিত হয় এই ম্যাসকনের দ্বারা। চাঁদের যে পিঠ সবসময় দেখা যায় তার উত্তর মেরুর কাছে এই ম্যাসকনের পরিমাণ সবচেয়ে  বেশি। চাঁদের সেদিকে সামান্য চৌম্বকক্ষেত্র পাওয়া গেলেও চাঁদের বেশিরভাগ জায়গায় কোন চৌম্বকক্ষেত্র নেই। অর্থাৎ পৃথিবী যেমন একটা বিরাট আকারের চুম্বক, চাঁদ সেরকম নয়।
            ২৭শে এপ্রিল পৃথিবীতে ফিরে আসেন অ্যাপোলো-১৬ এর নভোচারীরা।




No comments:

Post a Comment

Latest Post

নিউক্লিয়ার শক্তির আবিষ্কার ও ম্যানহ্যাটন প্রকল্প

  “পারমাণবিক বোমার ভয়ানক বিধ্বংসী ক্ষমতা জানা সত্ত্বেও আপনি কেন বোমা তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন?” ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের ‘কাইজো’ ম্য...

Popular Posts