Sunday 15 December 2019

চাঁদের নাম লুনা - ২১




অ্যাপোলো-৮

মিশন
অ্যাপোলো-৮
কমান্ডার
ফ্র্যাংক বোরম্যান (Frank Borman)
কমান্ড মডিউল পাইলট
জিম লাভেল (Jim Lovell)
লুনার মডিউল পাইলট
বিল অ্যান্ডার্স (Bill Anders)
উড্ডয়নের তারিখ
২১/১২/১৯৬৮
প্রত্যাবর্তনের তারিখ
২৭/১২/১৯৬৮
মহাকাশে অতিবাহিত সময়
৬ দিন ৩ ঘন্টা
মিশনের লক্ষ্য
চাঁদের কক্ষপথে নভোচারীসহ চন্দ্রযানে ঘুরতে ঘুরতে ছবি তোলা, চাঁদে নামার সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা, পৃথিবীতে ছবি পাঠানো ও যোগাযোগব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখা। 
ফলাফল
চাঁদের কক্ষপথে ১০ বার ঘুরে এসেছে।


চাঁদের কক্ষপথে নভোচারীসহ চন্দ্রযান পাঠানোর প্রথম সফল মিশন অ্যাপোলো-৮। স্যাটার্ন-ফাইভ রকেটে করে চাঁদের উদ্দেশ্যে মানুষ পাঠানোর প্রথম মিশন ছিল এটা। এই রকেট প্রতি সেকেন্ডে বিশ টন জ্বালানি পোড়ায়। ঘন্টায় প্রায় চল্লিশ হাজার কিলোমিটার বেগে তারা চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে ওটাই ছিল সেই সময়ের মানুষবাহী নভোযানের জন্য সর্বোচ্চ বেগ। চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে তারা চাঁদের খুব কাছে চলে যায়।

অ্যাপোলো-৮ এর তিনজন নভোচারী

চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের টানে তাদের কমান্ড মডিউলের বেগ কমে যায়। তারা চাঁদের অন্যপিঠের ছবি দেখতে পায়। সেই সময় চাঁদকে একটা ভেজা দ্বীপের মতো লাগছিলো। তার কিছুক্ষণ পর নভোচারীরা দেখলো এক অত্যাশ্চর্য দৃশ্য যা আগে কখনো দেখেনি পৃথিবীর কোন মানুষ। তারা দেখলো চাঁদের আড়াল থেকে পৃথিবীর উদয় হচ্ছে। সূর্যোদয় চন্দ্রোদয়ের মতো পৃথিবী-উদয়ও যে কী চমৎকার দৃশ্য তা না দেখলে বোঝা যাবে না। পৃথিবী চাঁদের চেয়েও অনেকগুণ উজ্জ্বল।



অ্যাপোলো-৮ পৃথিবীতে ফেরার সময় কমান্ড মডিউলের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় চল্লিশ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এই বেগ এপর্যন্ত সবগুলো মিশনের ফিরতি গতিবেগের চেয়ে বেশি। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে যখন এরকম বেগে কিছু ঢোকে তখন বাতাসের উপাদানের সাথে সংঘর্ষে আগুন ধরে যায়। তাই দেখবে যতগুলো কমান্ড মডিউল মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে সবগুলোর বাইরেই কেমন পোড়া পোড়া দাগ। অ্যাপোলো-৮ এর কমান্ড মডিউল সমুদ্রের পানিতে পড়ার পর ধাক্কা খেয়ে দুইবার শূন্যে ডিগবাজি খেয়েছিল। এজন্য পরের মিশনগুলোর ফিরতি-বেগ অনেক কমিয়ে দেয়া হয়।

ফিরে আসার পর অ্যাপোলো-৮ এর কমান্ড মডিউল

No comments:

Post a Comment

Latest Post

Dorothy Crowfoot Hodgkin

  Look closely at the fingers of the person in the picture. Her fingers had not bent in this way due to age; she had been suffering from chr...

Popular Posts