Saturday, 8 February 2025

রিফাৎ আরার ছোটগল্প - ক্রোধ



__________________________________________

রিফাৎ আরা রচনাসমগ্র

গল্পগ্রন্থ - জীবনের গল্প ।। মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৪

গল্প - ক্রোধ
__________________________________________

ক্রোধ

 

শেফালীকে আমি কখনও অন্যরকম ভাবিনি। আর দশটা কাজের বুয়া যেমন সেরকমই আটপৌরে সাধারণ। চার বছর আগে আমার যখন কাজের বুয়া ছিল না তখন এলাকার সাইদের মা ওকে এনে দিয়েছিল।

          তখন জেনেছিলাম ওর স্বামী জেলে আছে। শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম - চোর ডাকাত ঘরে ঢুকাচ্ছি না তো? সাইদের মাকে বলেছিলাম - "দেখ বাপু, আমি অত সামলে সুমলে জিনিস রাখতে পারি না। চাবিটা আলমারির ডালার সঙ্গেই ঝুলে। চোর-টোর হলে তো বিপদ।"

          সাইদের মা অভয় দিয়েছিল - "না খালা। এমন হইলে কি আপনেরে দিমু?"

          এটা সত্যি। এই এলাকায় বাসা নেবার পর থেকে আমার বাড়িওয়ালি আপা সাইদের মাকে ডেকে পরিচয় করে দিয়েছিল। তারপর থেকে আজ প্রায় এগারো বারো বছর বাসার কাজের বুয়া সাইদের মা-ই জোগাড় করে দিয়েছে। শেফালীকে নিয়ে এ আমার তিন নম্বর বুয়া।

          শেফালী প্রথম এসেই আমাকে বলল - "খালাম্মা, আমারে মাঝে মাঝে ছুটি দেওন লাগব

          মনে মনে একটু রাগ হল। কাজ না নিতেই ছুটি! কিছুটা প্রশ্নবোধক চোখে ওর দিকে তাকাতেই বুঝে নিল।

          "হ খালাম্মা। আমার একটু জেলখানায় যাওন লাগে। আবার মাঝে মাঝে কোর্টে যাইতে হয়। পোলার বাপের মামলার তারিখ থাকে।"

          আমি আর কথা বাড়ালাম না। শুধু বললাম, "সে দেখা যাবে"।

          গত এক মাস কোন মানুষ না পেয়ে যা কষ্ট গেছে তাতে যে কোনরকম শর্তই আমি মানতে রাজি।

          মনে আছে অনেক আগে একবার এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। দেখলাম সকালে নাস্তার পর সে কাজের ছেলেকে দশ পয়সা করে দেয়। আর ছেলেটা বাইরে যায়। জিজ্ঞেস করতে বন্ধু বলেছিল, বিড়ি খাবার পয়সা দেয়। চাকরির শর্তে এটাই ছিল।

          আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম - "এমন শর্ত মানলি?"

          "না মেনে উপায় ছিল না। কাজ করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তখন কেউ এসে যদি বলত - আমাকে মদ খেতে দিলে কাজ করবো আমি তাতেও রাজি হতাম।"

          রান্নাঘরে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওর সাথে আমার টুকটাক কথা হত। তাতে জেনেছিলাম ওর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীর ঘরে ওর একটা ছেলে আছে। এক বছর সংসার করার পর সেই লোক নিখোঁজ।

          তিন বছর তার অপেক্ষায় থেকে তারপর সে দ্বিতীয় স্বামী নিয়েছে। এখানেও কিছু ফাঁকি ছিল। ওর দ্বিতীয় স্বামী - মাবুদ যার নাম তারও আগের সংসারে একটা মেয়ে আছে। কিন্তু সে সেটা গোপন করে গেছে। জানার পর শেফালী এটাকে কাটাকুটি হিসেবে নিয়েছে। কারণ - "আবিতি বেডায় তো আর আমারে বিয়া কইরব না। তাই না খালা?"

          ও যা বলত আমি খুব কমই 'না' বলতাম। কারণ 'না' বললে কথা বাড়ে। আর ও একবার কথা শুরু করলে থামতে চায় না। তবে সাইদের মা'র কথা সত্যি। মানুষটা বিশ্বাসী। যদিও খুব চাওয়ার বাতিক তবু হাত নাড়ে না বলে দিতে খারাপ লাগে না।

          আমি শেফালীর কাছে জেনেছি নারী নির্যাতনের মামলায় ওর স্বামী জেলে আছে। এই মামলা খুবই সাংঘাতিক। একবার প্রমাণ হলে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু এখনো মামলা চলছে। শেফালী বিশ্বাস করে না তার স্বামী এমন কাজ করেছে। কারণ মাবুদ তাকে কসম খেয়ে বলেছে সে এমন কাজ করেনি। আর ওই মেয়ে তাকে মামা ডাকত। মেয়ের বাবা টাকার জন্য তাকে এই ফাঁদে ফেলেছে। বিশ হাজার টাকা দাবি করেছিল কিন্তু মাবুদ দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা।

          এরকম কি ঘটতে পারে? আমি বুঝি না। পত্র-পত্রিকা পড়ে আর রেডিও টেলিভিশনের খবর শুনে শুনে আজকাল বিশ্বাসের ভিত বড় নড়বড়ে হয়ে গেছে। কে যে সত্যি আর কে যে মিথ্যা বলছে বুঝতে পারি না। সব কেমন গোলক ধাঁধার মত লাগে। আগে যেমন চোর-ডাকাত আর ভালমানুষ আলাদা করা যেত এখন তেমনটা নয়। মনে হয় সবাই চোর-ডাকাত আবার সবাই ভাল।

          এই যে শেফালী বলছে তার স্বামী অপরাধ করেনি - এটা সত্যিও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। একই নামের মানুষ হওয়ার কারণে বহু নিরপরাধ লোকও দীর্ঘ মেয়াদে জেল খাটার খবর আমরা পত্রিকায় টিভি-রিপোর্টে দেখি। শেফালীর কথা শুনে আমি তাই সন্দেহের দোলায় দুলি। অনেকে এমন কি আমার ভাইবোনেরা শুনে বলে - 'ধুর! আপা তুমি যে কী! দোষ না করলে এমনি এমনি জেলে যায়?"

          আমি তবু বলি - "যায় তো। মাঝে মাঝেই তো খবরে আসে।"

          "হ্যাঁ আসে। আর তুমিও যেমন শুনে ওটা নিয়ে থাকো। তবু তুমি বাপু সাবধানে থেকো।" - আমার ছোটবোন জুলি আমাকে সতর্ক করে।

          শেফালী যত টাকা আয় করে তার বেশির ভাগ স্বামীর মামলার জন্য খরচ করে। আমার বাসা ছাড়াও আরো দুটো বাসায় সে কাজ করে। এত কাজের খাটুনিতে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন ওর ছোটবোন দুটোর একটাকে পাঠায়। আমি ওদের কাছে অনুযোগ করি - "এভাবে না খেয়ে পয়সা ছড়ালে কি ওর স্বামী ফিরে আসবে? মাঝখান থেকে টাকাগুলো সব জলে যায়।"

          এলাকার আবাসিক পল্লীটা অনেক বড়। ঈদের সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জাকাতও কম পায় না। কিন্তু সব তার যায় উকিল আর মুহুরির পেটে। আর উকিলগুলো কেমন জানি না। দেখছে গরীব মানুষ তবু মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে মামলা চালিয়ে যাবে। ওর ছোটবোন বকুলও বলে - "হ খালা, বুবুরে কত কই। হে কারো কথা শুনে না। জামাই থাকতে কাম করে নাই। সি-এন-জি চালাইত। ভালাই খাইত পরত। এখন ব্যাডায় আশা দেয় হে বাইর অইলে বইনের আর কাম করি খাইতে অইব না। হের লাইগা কষ্ট করে।"

          "আসলে দোষ করেছে কি না এটাও জানা দরকার" - বলতে গিয়েও বলি না। থাক্‌, ওদের ভালমন্দ ওরাই বুঝবে।

          মাঝে মাঝে সকালে এসেই ঘোষণা দেয়, "খালা আইজ একটু ত্বরা কইরা কাম সারমু।"

          আমি বুঝতে পারি আজ সে জেলখানায় যাবে। অথবা কোর্টে উকিলের মুহুরির কাছে। খুব খারাপ লাগে। তিন বাসায় কাজ করে আবার দুপুররোদ মাথায় নিয়ে তাকে ছুটতে হবে কোর্টে।

          আমাদের এই শহরে বাস সার্ভিস নেই। রিক্সাভাড়া দিয়ে যাওয়া ওর পক্ষে সম্ভব নয়। ভরদুপুরে তাই হেঁটে সে একবার কোর্টপাড়ায় যায় আবার আসে।

          তবে যেদিন জেলখানায় যায় তার পরদিন তাকে বেশ চাঙা লাগে। সুযোগ পেলেই গল্প জুড়ে দেয়। আর সবকিছু ছাপিয়ে গল্পে যেটা প্রধান হয়ে ওঠে সেটা হচ্ছে - স্বামী বলেছে সে বের হয়ে এলে তাকে আর কাজ করতে দেবে না। একমাত্র মেয়ে যাকে সে বাপ নেই বলে এতিমখানায় দিয়ে রেখেছে তাকেও নিয়ে আসবে।

          আমি তাগাদা দিই। তাকে আরো দুটো বাসায় কাজ করতে যেতে হবে মনে করিয়ে দিই। এসব গায়ে না মেখেই সে গল্প করে যায়।

          মামলা কোর্টে ওঠার আগে কয়েকদিন শেফালী খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তার স্বামী বলেছে মেয়েটার সাথে দেখা করে একটা আপোস করার চেষ্টা করতে। শেফালী বোঝাতে চেষ্টা করেছে নির্দোষ হলে আপোসের কী দরকার। তবু কদিন থেকে মেয়েটার খোঁজে শহরের বস্তিগুলোতে ঘুরছে শেফালী

          হন্যে হয়ে মেয়েটাকে খুঁজছে সে। তারা আগে যে বস্তিতে ছিল এখন সেখানে থাকে না। ঠিকানা ছাড়া এভাবে মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়? তবু সকালে এসে বড় কাজগুলো করে ছুটি নিয়ে যায়। নাওয়া খাওয়ার ঠিক নেই। এ ক'দিনেই কেমন শুকিয়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য  একেকদিন এক একটা বস্তিতে হানা দিচ্ছে।

          এভাবে মানুষ খুঁজে পাবে? - আমি প্রশ্ন করি।

          "পাইমু। একদিন না একদিন পাইমু। তাছাড়া ওরা নদীভাঙা মানুষ, যাইব কই? বাপটাও ল্যাংড়া-লুলা, আমার মাইয়ার বাপের লগে পরিচয় হওনের পর হেও মাঝে মাঝে সাহায্য করত। ছোড থাকতে আমাগো ঘরেও কয়েকবার আইছে। আমার স্বামীরে মামা ডাকত, আমারে মামী। আমি হেই মাইয়ারে খুঁইজ্যা বাইর করমু আপনে দেইখেন।"

          ওর সাথে সাথে আমিও অপেক্ষায় থাকি একটা ঘটনার পরিসমাপ্তি হবে। শেফালী ওর স্বামীকে ফেরত পাবে। আকন্ঠ ঋণের যে বোঝা বহন করতে হচ্ছে সে ঋণ থেকে মুক্তি পাবে। যদিও সে আমার কাজ করবে না এটা আমার জন্য দুঃসংবাদ তবু আমার ভাল লাগে এই ভেবে যে সমাজে স্বামীর কারণে সে দশজনের কাছে যে হীন হয়ে আছে তার থেকে মুক্তি পাবে।

          সেদিন সকালে যখন শেফালী এল তখন ওর গলায় খুশির আভাস - "মাইয়াডারে পাইছি খালা।"

          "আচ্ছা" - আমিও খুশি হই - "কীভাবে খুঁজে পেলে?"

          "আপনেতো জানেন আমি গত তিন মাস ধইরা সবগুলা বস্তি তন্ন তন্ন কইরা খুঁইজতাছি। কাইল রেললাইনের উত্তরপাশে মেথরপট্টির কাছে বস্তিতে যাইয়া দেখি মাইয়া উঠান ঝাড়ু দিচ্ছে। আমি তো বোরকা পইরা গেছিলাম। চিনতে পারে নাই। তারপরও অচিনা মানুষ দেইখ্যা দৌড় দিয়া ঘরে ঢুইকা গেল। আমি পরিচয় দিই নাই। আইজ আমার ভাইয়েরে নিয়া যামু। সইন্ধাকালে যামু যেন ঘর থেইকা কোন দিকে যাইতে না পারে।"

          শেফালীর ঘটনাটা আমার ভিতরেও কৌতূহল তৈরি করে। একটা রোমাঞ্চকর ঘটনার মত মনে হয়। সন্ধ্যায় বার বার মনে হয় - ও কি পারল মেয়েটাকে ধরতে?

          আমাকে হতাশ করে দিয়ে ও পরদিন এল না। দু'দিন পরে শেফালী যখন এল তখন আমার হবাক হওয়ার পালা। এ দু'দিনেই ও যেন অনেকটা বুড়িয়ে গেছে। এই প্রথম চোখে পড়ল ওর কপালের কাছে দু-তিনটি পাকা চুল।

          এলোমেলো বিধ্বস্ত শেফালী কিন্তু এসেই কাজে হাত দিল। আমার দিকে একবারও তাকাল না। নাস্তা খাওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। অন্যদিন এসময়ে চা খেতে খেতে আমাদের দু'জনের কিছু কথা হয়। দীর্ঘদিন একসাথে কিছুসময় সহাবস্থানের কারণে আমাদের এক ধরণের প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কখনো কখনো আমরা বাজারদর থেকে দেশের রাজনীতি নিয়েও আলাপ করি। এই আবাসিক পল্লীর অনেক মানুষ সম্পর্কে ওর কাছে শুনে শুনে আমি না চিনেও চিনি।

          একটু পরে রান্না-ধোয়ার কাজ গুছিয়ে অন্য বাসায় চলে যাবে। কিন্তু আমার জানা হলো না - কী হল তার মিশনের।

          নিচু হয়ে ফ্রিজ থেকে সবজি নিচ্ছিল আর তখনই আমি ওর পিঠে হাত রাখি - "কী হয়েছে শেফালী? তোমার সেই কাজ কদ্দুর হল? মেয়েটা কি রাজি?"

          হু হু করে কেঁদে ফ্রিজের সামনেই ও বসে পড়ল। আমি ওকে টেনে সামনে নিয়ে আসি। ফ্রিজের ডালাটা বন্ধ করে ওর সামনে মাটিতে বসে হাতটা ধরি।

          শেফালী ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে। এক সময় হাতের পিঠ দিয়ে চোখ মুছে বলে - "ঘটনা সত্য খালা।"

          "কী ঘটনা?"

          "আমার স্বামী মাইয়াডারে নষ্ট করতে চাইছিল।"

          "অ্যাঁ?" - আমার মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে।

          "হ খালা। মাইয়া নিজের মুখে আমারে কইছে। কইল মামী, মামারে আমি ভালামানুষ জানতাম। ছোডো থেইকা দেখছি। মাঝে মাঝে টেক্সি রাইখা আমাগো ঘরে ঘুমাইত। আমার লাইগা এডাসেডা আনত। কিন্তু হেদিন মা যখন কামে গেল আর আব্বায় ভিক্ষা করতে - তখন মামা আইসা ঘরে ঘুমাইতে গেল। আমি বাইরে থেকে আইসা ঘরে ঢুইকা ভাতের চাইল নিতে টিনে হাত দিছি তখন পিছন থেইকা আচমকা আমারে জাপটাই ধরে। মুখ চাইপা ধইরা আমারে বিছানায় নিতে চায়। আমি মামার হাত থেইকা ছুইটা বেড়ায় গোঁজা দাওটা লইয়া আচমকা মামার ডাইন হাতে একটা কোপ মারি। মামা চিৎকার কইরা উঠলে বাইরে থেইকা সবাই ছুইটা আইসা মামারে ধরে।"

          শেফালী চুপ করে। একটানা অনেক কথা বলে হাঁপিয়ে গেছে। আমি বলি "মেয়েটা যে সত্যি বলছে তার কী প্রমাণ?"

          "আছে আছে পরমাণ। অর হাতটা তখন কাটা আছিল। আমারে কইছিল একসিডেন্ট করছে। অখন বুঝতাছি ঘটনা মিল্যা গেছে। হে আমারে মিছা কতা কইছিল। ছি থু!"

          ঘৃণায় শেফালী কুঁচকে যায়। আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জানতে চাই - "তাহলে এখন কী করবে? শেফালী এবার সোজা আমার দিকে তাকায়। "কিচ্ছু করুম না। থাক পঁচুক জেলে। ওর শাস্তি হওনের দরকার। আমি আদালতে জজসাবরে কমু ওরে আরো বেশি শাস্তি দ্যান।"

          "কিন্তু মেয়েটা যে সত্যি বলছে তার প্রমাণই বা কী? তাছাড়া তোমার এতগুলো টাকা -"

          শেফালী আচমকা দাঁড়িয়ে গেল।

          "নিজের ইজ্জত নিয়া কোন্‌ মাইয়া মিছা কতা কইতে পারে? আমার নিজেরও একটা মাইয়া আছে। তারে যদি কেউ এমন করে আমি কি তারে ছাড়ুম! গরীব মানুষগুলান ইজ্জতের ভয়ে বস্তি ছাড়ছে। মাইয়াডা পালাই পালাই বেড়ায়। তারপরেও কইবেন মিছা?"

          আমাকে অবাক করে শেফালী বলে - "আমি অরে তালাক দিমু। আমার আর স্বামীর দরকার নাই।"

          আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি - এ কোন্‌ শেফালী? এই প্রতিবাদী নারীটিকে কি আমি চিনি?


No comments:

Post a Comment

Latest Post

Terry Wogan's "The Little Book of Common Sense"

  What we call common sense in English is not very common at all. If common sense could be learned by reading books, then those who have re...

Popular Posts