সাত সেপ্টেম্বর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন।
লেখক হিসেবে এই মানুষটাকে বেশ আলাদা মনে হয় আমার। রাফ অ্যান্ড টাফ লেখক বলে মনে হয়। মাঝে মাঝে এটাও মনে হয় যে লেখার জন্য তাঁকে ভাবতে হয় না। কাগজ-কলম আর একটু সময় থাকলেই তাঁর লেখা হয়ে যায়। সেই সময়, পূর্ব-পশ্চিম, প্রথম আলোর মতো মহাভারত সাইজের লেখা তিনি লিখে ফেলেছেন তর তর করে। আবার নিজের ভাষায় সত্যিকারের মহাভারতও লিখেছেন তিনি। যখন যেটাই লিখেছেন - সুখপাঠ্য হয়েছে। অথচ তাঁর প্রথম প্রেম - কবিতা। গদ্যে পদ্যে এমন হাতখোলা লেখক খুব বেশি নেই বলেই তিনি আলাদা।
তাঁর সব লেখা পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো। কখন হবে, কিংবা কখনো হবে কি না জানি না। আজ তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতার বই খুলে বসেছিলাম। কবির জন্মদিনে কবির কবিতা পড়ে কবিকে সম্মান জানানো উচিত ভেবেছিলাম। কবিতার বই পড়ার সুবিধা হলো যে কোনো পৃষ্ঠা থেকেই শুরু করা যায়, উপন্যাসের মতো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হয় না।
আজ বই উল্টাতেই যে পৃষ্ঠা খুললো - সেখানে যে কবিতা আছে তা পড়তে গিয়ে মনে হলো - রিচার্ড ফাইনম্যান শুধু শুধুই কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে দুর্বোধ্য বলে অপবাদ দিয়েছিলেন। তিনি যদি কোনোভাবে সুনীলের 'জ্বলন্ত জিরাফ' কবিতা পড়তেন - বুঝতেন দুর্বোধ্যতা কাকে বলে। বিশ্বাস হচ্ছে না? নমুনা দিলাম দুটো লাইন -
"দাঁতের ডাক্তার আমার পায়ে ঘা করে দিয়েছিলো বলে আমি আর কখনও সেই শুয়ারের বাচ্চা বীজাণুসমন্বয়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাইনি। তার বদলে আমি এখন পেচ্ছাপ ও কান্নার সম্পর্ক নিয়ে বই লিখছি।"
হ্যাপি বাড্ডে গুরু!!!
No comments:
Post a Comment