Tuesday, 4 May 2021

অড্রি হেপবার্ন

 


শুভ জন্মদিন অড্রি হেপবার্ন।

১৯২৯ সালের ৪ মে বেলজিয়ামের ব্রাসেল্‌স-এ জন্মেছিলেন অড্রি ক্যাথলিন ভন হিমস্ট্রা রুসটন – আমাদের অড্রি হেপবার্ন। পাঁচ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের কেন্টের বোর্ডিং স্কুলে শুরু হয় তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা। তাঁর বয়স যখন ছয়, তার বাবা জোসেফ তাদেরকে ফেলে আলাদা হয়ে যান। ১৯৩৮ সালে অড্রির মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোন রকমে বেঁচে যান তাঁরা। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ম্যারি র‍্যামবার্ট ব্যালে স্কুলে ব্যালে নাচ শেখার সময় ‘ডাচ ইন সেভেন লেসন্‌স’ ছবিতে ছোট্ট একটা ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৪৯ সালে লন্ডন মিউজিক্যাল থিয়েটারে অভিনয় করার সুযোগ পান। ১৯৫০ সালে প্রথম মঞ্চনাটকে অভিনয়। ১৯৫১ সালে নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে থিয়েটারে মিউজিক্যাল থিয়েটার ‘জিজি’-তে প্রথম মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন অড্রি হেপবার্ন। এসময় তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে ইংরেজ শিল্পপতি জেন্‌স হ্যানসনের সাথে। পরিচয় থেকে প্রণয়। ১৯৫১ সালের ডিসেম্বরে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। কিন্তু পরে বিয়েটা আর হয়নি। ১৯৫৩ সালে অড্রি হেপবার্ন হলিউডে প্রথম ছবি করেন গ্রেগরি পেকের সাথে – রোমান হলিডে। প্রথম ছবিতেই তিনি অর্জন করেন অস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব।

 


১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি বিয়ে করেন হলিউডের নায়ক মেল ফেরারকে। মেল ফেরারের সাথে তিনি অভিনয়ও করেন টলস্টয়ের ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ সিনেমাতে। ১৯৫৫ সালে এই সিনেমাতে অভিনয় করার সময় তিনি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন। কিন্তু তার মিসক্যারেজ হয়ে যায়। ১৯৬০ সালে তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর আরেকটি মাইলফলক সিনেমা ‘মাই ফেয়ার লেডি’। ১৯৬৭ সালে তাঁর স্বামীর প্রযোজিত ছবি “ওয়েট আনটিল ডার্ক’ মুক্তি পায়। সেই সিনেমায় একটি অন্ধ মেয়ের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন অড্রি। সে বছরই মেল ফেরার ও অড্রি হেপবার্ন আলাদা হয়ে যান। পরের বছর ১৯৬৮ সালে ইতালির মনোচিকিৎসক আন্দ্রিয়া ডোট্টির সাথে পরিচয় হয় অড্রির। মেলের সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৬৯ সালে আন্দ্রিয়াকে বিয়ে করেন অড্রি। পরের বছর একটা ছেলে হয় তাদের। ১৯৮২ সালে আন্দ্রিয়া ও অড্রির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৮১ সাল থেকে নেদারল্যান্ডের টিভি অভিনেতা রবার্ট ওয়াল্ডার্স-এর সাথে বন্ধুত্ব হয় অড্রির। ভালোবাসার এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক এরপর সারাজীবন ছিল। তারা বিয়ে করেননি, কিন্তু একসাথেই থাকতেন। ১৯৮৮ সালে অড্রি ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেই সময় তিনি বাংলাদেশেও এসেছিলেন। ১৯৯২ সালে তাঁর কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের বাড়িতে ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।

অড্রি হেপবার্নের রোমান হলিডে দেখেই আমি তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে যাই। এরপর খুঁজে খুঁজে তাঁর সবগুলি সিনেমাই দেখেছি। তাঁর অভিনীত প্রত্যেকটি চরিত্রের মধ্যেই এক ধরনের স্নিগ্ধতা আছে।

আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করছি।

শুভ জন্মদিন অড্রি হেপবার্ন।


No comments:

Post a Comment

Latest Post

Terry Wogan's "The Little Book of Common Sense"

  What we call common sense in English is not very common at all. If common sense could be learned by reading books, then those who have re...

Popular Posts