Thursday 17 May 2018

বাবার মুখ



২০০৬ সালে সাপ্তাহিক ২০০০ এর আহ্বানে একাত্তরের স্মৃতিকথা লিখতে গিয়ে দেখলাম বাবার কথাই শুধু লিখেছি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টাই আমার বাবা তাঁর তিন শিশু-সন্তানকে বুক দিয়ে আগলে রেখে বনে-জঙ্গলে পাহাড়ে-পর্বতে পালিয়ে থেকেছেন, রাজাকারের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়েছেন। নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে সন্তানদের প্রাণ রক্ষা করাই ছিল আমার বাবার মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতার পর সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে একেবারে শূন্য থেকে সবকিছু শুরু করে আমাদেরকে একটা পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। এখন পেছন ফিরে তাকালে অবাক হয়ে ভাবি - এই মানুষটি - যার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত - সারাজীবন কী অমানুষিক পরিশ্রমই না করেছিলেন সন্তানদের মানুষ করার জন্য। ১৯২১ সালের ১৮ মে তিনি জন্মেছিলেন।

সাপ্তাহিক ২০০০-এ প্রকাশিত 'বাবার মুখ' ২০০৭ সালে সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'হৃদয়ে একাত্তর' বইতে স্থান পায়। লেখাটির স্ক্যান কপি এখানে:











2 comments:

  1. তোমার জীবনের এই ঘটনাটা বোধহয় আমিও কখনো ভুলবো না। দাদুর (অর্থাৎ তোমার বাবা) শেষ কথাটা এত অদ্ভুতভাবে সুন্দর যে কি বলবো বুঝতে পারছি না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। আমার বাবা ছিলেন খেটে খাওয়া মানুষ। জীবন থেকে তিনি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। সেখান থেকে আমাদের সাথে কিছু কিছু শেয়ার করেছিলেন।

      Delete

Latest Post

Dorothy Crowfoot Hodgkin

  Look closely at the fingers of the person in the picture. Her fingers had not bent in this way due to age; she had been suffering from chr...

Popular Posts