চতুর্থ অধ্যায়
বিএসসি ও এমএসসি
১৯১১ সালে
প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি ক্লাস শুরু হলো সত্যেন বসুর। সেই সময় বাংলা, বিহার,
উড়িষ্যা ও বার্মার সাত কোটি বিশ লক্ষ মানুষের জন্য ছিল একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় -
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পঞ্চাশটির মতো কলেজ ছিল, সেই
কলেজগুলোতেই মূলত পাঠদান হতো। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ ছিল এই কলেজগুলোর
প্রশাসনিক দিক পরিচালনা করা, পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা এবং রেজাল্ট ও ডিগ্রি
দেয়া। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবার পর
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো শুরু করার উদ্যোগ নেন। সত্যেন বসু যখন
ছাত্র তখনো সে উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি।
যারা বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক পর্যায়ে
পড়াশোনা করতে আগ্রহী, অর্থাৎ যারা বিএসসি পড়তে চায় - তাদের প্রথম পছন্দের কলেজ ছিল
প্রেসিডেন্সি কলেজ। কারণ ওটাই ছিল সেই সময়ের সেরা কলেজ। কিন্তু সবাইকে তো ভর্তি
করানো সম্ভব নয়। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তি করানো হতো। তবে যারা
প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হতো। সে
হিসেবে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক যারা পাস করেছে তাদের সবাই ভর্তি হয়ে
যাবার পর যে ক'টা সিট অবশিষ্ট থাকতো - তাতে ভর্তি করানো হতো বাইরে থেকে। ১৯১১ সালে
প্রেসিডেন্সি কলেজের বাইরের ছেলেদের জন্য মাত্র ত্রিশটি সিট অবশিষ্ট ছিল। এবং
ত্রিশটি সিটের জন্য দরখাস্ত জমা পড়েছিল প্রায় দুই হাজার।
বাইরের কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে
যে ত্রিশ জন ছাত্র প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি পড়ার জন্য ভর্তি হলেন তারা সবাই বেশ
ভালো ছাত্র। সম্মিলিত মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ঢাকা কলেজের ছাত্র মেঘনাদ
সাহা ভর্তি হয়েছেন সত্যেন বসুর ক্লাসে। মেঘনাদ সাহা যে কী পরিমাণ কষ্ট, অধ্যবসায়
এবং সংগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে এসে পৌঁছেছেন সে ব্যাপারে কোন ধারণাই
নেই সত্যেন বসু এবং কলকাতার অন্যান্য ছেলেদের। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত অবস্থায় থেকে
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে পড়াশোনা করতে হয়েছে মেঘনাদ সাহাকে। যে বঙ্গভঙ্গ আইনের
বিরুদ্ধে স্বদেশী সংগ্রামকে বেশ সযত্নে এড়িয়ে চলেছেন, কিংবা শুধুমাত্র 'রাখী
বন্ধন'-এর মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন সত্যেন বসু, সেখানে
ঢাকায় বিপ্লব করার অপরাধে কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল মেঘনাদ সাহাকে।
অভাব-দারিদ্র্য আর সামাজিক বৈষম্যের সাথে দিনরাত সংগ্রাম করতে করতে মেঘনাদ সাহার
ভেতর সত্যেন বসুর মতো মোলায়েম সুখি-সুখি ভাব ছিল না।[1] তাই
ছাত্রজীবনে শুধুমাত্র সহপাঠীর বেশি কোনরকম বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়নি সত্যেন
বসু ও মেঘনাদ সাহার মধ্যে। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে পেশাগত সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি
হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার পর। সেটা আরো পরের বিষয়।
সেই ব্যাচে উড়িষ্যার কটক থেকে এসে
পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হয়েছিলেন আরেকজন তুখোড় ছাত্র শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি ছিলেন
স্বদেশী আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত। ছাত্রাবস্থায় শৈলেন ঘোষের সাথে খুব বেশি
হৃদ্যতা না থাকলেও পরবর্তীতে তার সাথে বেশ বন্ধুত্ব হয়েছিল সত্যেন বসু ও মেঘনাদ
সাহার। তার উদ্যোগেই সত্যেন বসু ও মেঘনাদ সাহা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে পেরেছিলেন।
বিএসসিতে পদার্থবিজ্ঞানের কয়েকটি ক্লাস
নিয়েছিলেন স্যার জগদীশচন্দ্র বসু। তাঁর ক্লাসের জন্য সত্যেন বসুরা অপেক্ষা করে
ছিলেন সেই উচ্চমাধ্যমিক থেকে। জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা সম্পর্কে খবর রাখতেন
সত্যেন।[2] জগদীশচন্দ্র
বসু সম্পর্কে পরে তিনি স্মৃতিচারণ করেছিলেন
এভাবে:
"জগদীশচন্দ্রের কাছে পড়িবার সুযোগ আসিল আরও দুই বৎসর বাদে। ইতিমধ্যে, যাহারা একটু বেশি বাহিরের খবর রাখে, তাহাদের মতো আমিও মাঝে মাঝে লাইব্রেরিতে গিয়া 'Response in Living and Non-Living'-এর পাতা উল্টাই। জগদীশচন্দ্রের গবেষণার তখন Magnetic Crescograph-এর যুগ। জগদীশচন্দ্রের নির্দেশমত সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি প্রেসিডেন্সি কলেজের কারখানাতে তৈয়ারী হয়। আমরা তাঁহার অধ্যাপনার জন্য উদগ্রীব হইয়া অপেক্ষা করি। আচার্য তখন তাঁহার গবেষণায় নিমগ্ন। কাজেই তাহার অবসর কম। তবু তাঁহার কাছে যে কয়দিন পড়িবার সৌভাগ্য হইয়াছিল, সে কয়দিনের কথা সারাজীবন স্মরণে থাকিবে। বিশেষতঃ যখন তাঁহার নিজের যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক ঢেউ এর বিষয় বলিতেন, সে কয়দিনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।"[3]
সত্যেন বসুর
ঘনিষ্ঠ বন্ধু মানিকলাল বিএসসিতে রসায়ন নিয়েছেন, কিন্তু সত্যেন বসু রসায়ন নেননি।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় খুব স্নেহ করতেন সত্যেনকে। সত্যেনও মাঝে মাঝে
'ধুমকেতু'র মত উদয় হতেন কেমিস্ট্রির ক্লাসে। এ প্রসঙ্গে সত্যেন বসু স্মৃতিচারণ
করেছেন এভাবে:
"কলেজ জীবনের প্রথম দু-বছরই ডাঃ রায়ের কাছে পড়বার সুযোগ পেয়েছি। পরে অনেক
সময় তাঁর সান্নিধ্য ও স্নেহ পেলেও তাঁর নিজের ছেলেদের মধ্যে গণ্য হইনি, কোন কালে।
রসায়ন-মন্ডলীতে ছিল আমার ধুমকেতুর মত আসা-যাওয়া - হয়তো বা তাই রসিকতা করতেন আচার্য
আমাকে নিয়ে যে, আমি তাঁর বর্ণিত "বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহারের"
চলমান উজ্জ্বল উদাহরণ।"[4]
আচার্য
প্রফুল্লচন্দ্র রায় মনে করতেন মেধাবীদের সবার রসায়ন পড়া উচিত। রসায়ন না পড়ার অর্থই
হলো 'মস্তিষ্কের অপব্যবহার'।
সেই সময় স্বদেশী আন্দোলন ক্রমেই বেগবান
হচ্ছিল। প্রেসিডেন্সি কলেজের সিনিয়র স্টুডেন্টদের অনেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেই
আন্দোলনে। ছাত্ররা ইংরেজদের প্রতি ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছিলেন। এমনকি নিজেদের
কলেজের ইংরেজ অধ্যাপকদের বিরুদ্ধেও তারা সুযোগ পেলেই ফুঁসে উঠছিলেন। আচার্য
প্রফুল্লচন্দ্র ছাত্রদের মাঝে মাঝে কিলঘুষি মারলেও ছাত্ররা কখনোই অসন্তুষ্ট হয়নি।
অথচ পদার্থবিজ্ঞানের প্রফেসর হ্যারিসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছিল তিনি
ছাত্রদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন এই অভিযোগে।
প্রফেসর হ্যারিসন শিক্ষক হিসেবে খুবই
ভালো ছিলেন। চমৎকার পড়াতেন। একদিন ক্লাসে পড়ানোর সময় তিনি দেখলেন ছাত্ররা লেকচারে
মনযোগ দিচ্ছে না। তিনি যা পড়াচ্ছিলেন সেখান থেকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন। কেউ সঠিক
উত্তর দিতে পারলো না তার প্রশ্নের। তাতে রেগে গিয়ে প্রফেসর হ্যারিসন বললেন, "Answer
properly, don't chatter like monkeys." (বানরের মত বকবক
না করে ঠিকমত উত্তর দাও।) ছাত্ররা এতে খুব অপমানিত বোধ করলো। স্বদেশীরা এই ইস্যুতে
ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তুললো। ছাত্ররা প্রচার করতে শুরু করলো যে ইংরেজরা ভারতীয়দের
বানর বলে অপমান করেছে। ক্লাস বর্জন করে ছাত্ররা সব বেরিয়ে এলো। ছাত্রদের বিক্ষোভের
নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন শৈলেন ঘোষ। বিপ্লবী ছাত্রনেতা হিসেবে কলেজে তিনি 'মামা' নামে
পরিচিত। তিনি দাবি করলেন প্রফেসর হ্যারিসন প্রকাশ্যে ছাত্রদের কাছে ক্ষমা না চাইলে
ছাত্ররা ক্লাসে ফিরে যাবে না। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল সারা কলেজে। কলেজ প্রশাসন বিচলিত
হয়ে উঠলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে প্রফেসর হ্যারিসন শৈলেন
ঘোষকে ডেকে তার পরামর্শ নিলেন কী করা যায়। শৈলেন পরামর্শ দিলেন ছাত্রদের কাছে
ক্ষমা চাইতে। প্রফেসর হ্যারিসন ছিলেন আসলেই ভদ্রলোক। তিনি ছাত্রদের কোন কষ্ট দিতে
চাননি। তিনি ব্যাপারটা সেখানেই মিটিয়ে ফেলার জন্য ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চাইলেন।
এরকম ছাত্রবিক্ষোভে সত্যেন বসুর সত্যিকারের ভূমিকা কেমন ছিল তা জানা যায়নি।
সত্যেন বসু সেই সময় তার কলকাতার
বন্ধুদের সাথে তুমুল আড্ডা দিয়ে বেড়িয়েছেন। ফরাসী ভাষা শিখেছেন। জার্মান ভাষা
শিখেছেন। সাহিত্যের আসরে যাচ্ছেন। আর লেখাপড়া তো আছেই। তার চশমার পাওয়ার তখন অনেক।
১৯১৩ সালে গণিতে অনার্সসহ বিএসসি পাস
করলেন সত্যেন বসু। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হলেন তিনি, মেঘনাদ সাহা দ্বিতীয়। গণিতে
প্রথম হওয়ার জন্য পেলেন 'হারসেল গোল্ড মেডেল' এবং 'হরিশচন্দ্র প্রাইজ'। বিএসসি
পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করার জন্য অর্জন করলেন 'মন্মথনাথ
ভট্টাচার্য গোল্ড মেডেল'।
এমএসসিতে সত্যেন, নিখিলরঞ্জন আর মেঘনাদ
বেছে নিলেন মিশ্রগণিত। শৈলেন ঘোষ, অমরেশ চক্রবর্তী, স্নেহময় দত্ত গেলেন ফিজিক্সে।
জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং সত্যেন বসুর সবচেয়ে কাছের বন্ধু
মানিকলাল দে ভর্তি হয়েছেন কেমিস্ট্রিতে।
স্বদেশী আন্দোলন তুমুল বেগে চলছে। ১৯১৩
সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। সারা ভারতবর্ষ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় মনযোগ দিতে শুরু করেছে। সত্যেন বসুও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
ভক্ত হয়ে গেছেন। মানিকলালের সঙ্গে গিয়ে ঠাকুরবাড়ি ঘুরেও এসেছেন কয়েকবার। এর মধ্যেই
পড়ালেখা, জটিল অংকের সমাধান খুঁজে বের করা সবই চলছে।
এদিকে ১৯১৪ সালে সত্যেন বসুর বাড়িতে
চলছে অন্য এক আয়োজন। সত্যেন বসুর বাবা সুরেন্দ্রনাথ চাকরির সূত্রে প্রায় সময়
কলকাতার বাইরে থাকেন। মা আমোদিনী দেবী ছেলেঅন্ত প্রাণ। ছেলে কৈশোর পার করে
তারুণ্যে পা দিতেই মা ঠিক করে ফেললেন ছেলের বিয়ে দেবেন। পাত্রীও ঠিক করে ফেলেছেন -
তাঁদের পারিবারিক ডাক্তার শ্যামবাজারের যোগীন্দ্রনাথ ঘোষের এগার বছর বয়সী একমাত্র
মেয়ে ঊষাবতী। সত্যেন বসুর বয়স তখন মাত্র বিশ বছর। সত্যেন বসু বিশ্বসাহিত্য পড়েছেন।
ইবসেনের নাটক ডল্স হাউজের নোরা চরিত্র তাঁর প্রিয় নারীচরিত্র। ভারতবর্ষের নারীদের
শিক্ষা ও প্রগতির পক্ষে কথা বলেন তিনি। অথচ একটি এগারো বছর বয়সী শিশুর সাথে যখন তাঁর
নিজের বিয়ে ঠিক করা হলো তিনি তার কোন প্রতিবাদ করেননি। নিজেকে উদার প্রমাণ করার
জন্য ঘোষণা দিয়েছেন কোন ধরনের যৌতুক তিনি নেবেন না, তবে বরযাত্রী হিসেবে
আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু যাবেন আরো ২০০ জন। তাদের সবাইকে সমারোহ করে আপ্যায়ন ও
ভোজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
চিত্র: বিশ বছর বয়সী বর সত্যেন বসু এবং এগার বছর বয়সী কনে ঊষাবতী |
ঊষাবতী
স্কুলের কয়েক ক্লাস পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথমে নিবেদিতা
স্কুলে, পরে মহাকালী পাঠশালায়। তারপর ১১ বছর বয়সেই সব চুকিয়ে দিয়ে তাকে বিয়ে দিয়ে
পাঠিয়ে দেয়া হলো শ্বশুরবাড়িতে। পরবর্তী বিশ বছরে দুইটি ছেলে ও সাতটি মেয়ে জন্ম নেয়
সত্যেন বসু ও ঊষাবতীর সংসারে।
১৯১৫ সালে এমএসসি পরীক্ষায় মিশ্র গণিতে
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান
অধিকার করেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। অর্জন করেন হেমচন্দ্র গোঁসাই স্বর্ণপদক ও
পুরষ্কার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি পরীক্ষায় সত্যেন বসু ১৯১৫ সালে যে নম্বরের
রেকর্ড গড়েছিলেন গত একশ বছরেও সেই রেকর্ড আর কেউ ভাঙতে পারেনি। আট বিষয়ে ৮০০
নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছিলেন ৭৩৬ নম্বর, শতকরা ৯২%।
চিত্র: সত্যেন্দ্রনাথ বসুর এমএসসি পরীক্ষার মার্কশিট |
[1] মেঘনাদ সাহা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন প্রদীপ দেবের 'মেঘনাদ সাহা বিপ্লবী
পদার্থবিজ্ঞানী', মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৮।
[2] জগদীশচন্দ্র বসু সম্পর্কে বিস্তারিত জানার
জন্য পড়ুন প্রদীপ দেবের "জগদীশচন্দ্র বসু বিশ্বের প্রথম জীবপদার্থবিজ্ঞানী",
মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৬।
[3] সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশচন্দ্র,
জ্ঞান ও বিজ্ঞান, নভেম্বর ১৯৫৮।
[4] সত্যেন্দ্রনাথ
বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র স্মরণে, জ্ঞান ও বিজ্ঞান, আগস্ট, ১৯৬১।
No comments:
Post a Comment