Saturday 3 July 2021

আহমদ ছফার 'যদ্যপি আমার গুরু'

 



বাংলাদেশের সাহিত্যের ভুবনে লেখক আহমদ ছফার স্থান অনেক বড়। তাঁর নিজের জায়গা তিনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো লেখেন, সেটা আমরা যেমন জানি – তিনি জানতেন আরো বেশি। তাই তাঁর লেখায় আত্মবিশ্বাসের সাথে অহংকারের মিশেলও আছে, নিজের মতোই – প্রবলভাবে আছে।

বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যক্তি বিজ্ঞানীর চেয়েও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনই প্রাধান্য পায় বেশি। কিন্তু সাহিত্যে অনেক সময়ই ব্যক্তিগত পরিচয় প্রাধান্য পায়, ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রাধান্য পায় সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ক্ষেত্রে। সাহিত্য নৈর্ব্যাক্তিক বিষয় নয়। এখানে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিই প্রধান। বেশিরভাগ পাঠক নিজের মতামত প্রকাশ করার ব্যাপারে সহজে আত্মনির্ভরশীল হতে পারেন না। একেক জন পাঠকের একেক রকমের লেখা ভালো লাগতে পারে। তাই একেবারে খারাপ লেখা – বা একেবারে ফাটাফাটি রকমের ভালো লেখা আমরা যাকে বলি – সেটাও কিন্তু সব পাঠকের মতামত নয়। কোন একটা বই পড়ে আমার নিজের কেমন লাগলো – তার ভিত্তিতেই আমার মতামত। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় – অন্যান্য পাঠকের মতের চাপে অনেকে ভিন্নমত প্রকাশ করতে চান না। কোন একটা বই পড়ে আমি শুধু আমার কেমন লাগলো তা বলতে পারি। অন্যের কেমন লাগবে বা লাগা উচিত তা বলা আমার পক্ষে অনুচিত, এবং অসম্ভবও বটে।

আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’ একটি বিখ্যাত বই। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারির বই মেলায়।  প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্স, প্রচ্ছদ কাইয়ুম চৌধুরী। বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন ড. আহমদ শরীফকে। ১১০ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটা বই, এক বসায় পড়ে ফেলা যায়। আমি দুই বসায় দু’বার পড়েছি বইটি।

দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় চার মাস ধরে প্রকাশিত হয়েছিল। ভূমিকা লিখতে অনুরোধ করেছিলেন ডক্টর আনিসুজ্জামানকে। পরে নিজেই লিখলেন।

সাতাশ বছর ধরে প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের সংস্পর্শে ছিলেন আহমদ ছফা। দীর্ঘদিনের পরিচয় অনেক সময় বিবর্ণ হয়ে ওঠে, একঘেয়ে হয়ে ওঠে। রাজ্জাক সাহেব একদিনের জন্যও পুরনো হননি। সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বকে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি, ধরেছেন। বলা চলে তাঁর মতো করে আর কেউ হয়তো ধরতে পারেননি।

নিজের সাথে প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের সম্পর্কের কথা, বোধের কথা, জ্ঞানের কথা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলার সময় – নিজেকে তো আলাদা করা যায় না। তাই আহমদ ছফা নিজের কথাও অনেক বলেছেন এই বইতে।

আহমদ ছফা সাহসী ছাত্র ছিলেন। ১৯৭০-এ তিনি এম এ পাস করার আগেই বাংলা একাডেমীর পিএইচডি প্রোগ্রামের স্কলারশিপের জন্য দরখাস্ত করেছিলেন। তাঁর দরখাস্ত বিবেচনার জন্য তিনি একাডেমীর সভাপতি কবীর চৌধুরীর সাথে দেখা করেছিলেন। [এগুলি কি তখন থেকেই ছিল? এবং তিনি তাতে পারদর্শী ছিলেন। একাডেমীর সদস্য মুনীর চৌধুরীর সাথেও তিনি দেখা করে অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে সুপারিশ করার জন্য। আবার মুনীর চৌধুরি যখন তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর আশ্বাস দেন- তাকে প্রত্যাখ্যান করেন এই যুক্তিতে যে তিনি যখন বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তখন শিক্ষকদের উৎসাহ পাননি। কী ধরনের উৎসাহ তিনি চেয়েছিলেন? পাস কোর্সে বিএ পাস করেন বাংলা অনার্স ছেড়ে। পরে প্রাইভেটে পলিটিক্যাল সায়েন্সে মাস্টার্স পড়েন। সেই সময় দরখাস্ত করেন পিএইচডির জন্য।]

ইন্টারভিউ বোর্ডের ডক্টর এনামুল হক ছাড়া বাকি সবাইকে চিনতেন তিনি। সবার কাছেই তিনি গিয়েছিলেন ইন্টারভিউর আগে। [এই ব্যাপারটা কি ন্যায়সঙ্গত? অন্য প্রার্থীদের হয়তো এই সুযোগ ছিল না।]

তিনি বৃত্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু পিএইচডি শেষ করতে পারেননি। এর জন্য দায়ী করছেন প্রফেসর আবদুর রাজ্জাককে। কাহিনির শুরু সেখান থেকেই।

আহমদ ছফা প্রাইভেটে এম এ পরীক্ষা পাস করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশি শিক্ষককে  চেনেন না বলেছেন। বন্ধুরা পরামর্শ দিলেন রাজ্জাক সাহেবের কাছে পিএইচডি করতে।

বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারে স্যারের বাসায় গেলেন। দেখলেন খুবই সাদামাটা জীবনযাপন তাঁর। একটি চৌকির পায়া নেই। সেখানে বই দিয়ে পায়ার কাজ করানো হয়েছে। অনেক বই স্যারের বাসায়। কিন্তু খাবারদাবারের আয়োজন এলাহি, খেতে এবং খাওয়াতে ভালোবাসেন প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক।

রাজ্জাক সাহেবের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ খুব মজার। আহমদ ছফাকে তিনি সরাসরি উপেক্ষা করেছেন। [যে মানুষ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা যথেষ্ট উৎসাহ দেননি অভিযোগ করেন, সেখানে এরকম ব্যবহারে তিনি খুশি হয়ে গেলেন।]

রাজ্জাক সাহেব ছিলেন লেকচারার। নিয়ম অনুযায়ী মিনিমাম রীডার হতে হয়। তাই থিসিস সুপারভাইজার হতে পারলেন না।

প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক আহমদ ছফাকে ডাকতেন মৌলবি আহমদ ছফা বলে। কোন কারণ ছাড়াই। এবং এর কী কারণ থাকতে পারে সে ব্যাপারে কোন কৌতূহলও প্রকাশ করা হয়নি কোথাও।

১৯৭২ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হয়ে গেছেন। পলিটিক্যাল সায়েন্সের চেয়ারম্যান হয়েছেন। কারণ তাঁর স্নেহাস্পদ ডক্টর মোজাফফর আহমদ চৌধুরি উপাচার্য হয়েছেন। [একজন লেকচারার জাতীয় অধ্যাপক। বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। কিন্তু রাজ্জাক সাহেব ছিলেন মুসলিম লীগার]

প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক অনেক বিষয় নিয়েই নিজের মত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু সবই মৌখিকভাবে। তিনি বলেছেন – কোন্‌ জাতি কী খায় কী পড়ে না জানলে সেই জাতি কোন্‌দিকে যাচ্ছে জানা যায় না। এই কথাটি কি এখন খাটে? এখন বিশ্বায়নের যুগ। খাদ্য এখন বৈশ্বিক হয়ে উঠছে।

আবদুর রাজ্জাক অনেক বিখ্যাত মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলতে পছন্দ করতেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিজনক কথাবার্তা বলতেন। বলতেন ‘মোহিতলালের জিভের মইধ্যে বিষ আছিলো’। নিয়াজ মোর্শেদকে দাবাড়ু তৈরি করতে অনেক সাহায্য করেছেন আবদুর রাজ্জাক। রাজা রামমোহন রায়কে বলেছেন – ভুয়া রাজা, ঘুষ খেতেন ইত্যাদি।

প্রফেসর রাজ্জাকের কাছে সবাই যেতেন সুবিধা আদায় করার জন্য। আবদুল মতিন চৌধুরিও গিয়েছিলেন। তিনি পিএইচডির থিসিস রেখে গিয়েছিলেন প্রফেসর রাজ্জাকের বাসায়। প্রফেসর হবার কমিটিতে যারা আছেন তাদেরকে বলে দেয়ার জন্য। [তবুও ভালো যে সেই সময় এরকম কমিটি ইত্যাদি ছিল। এখন তো আরো অনেক সহজ হয়ে গেছে।]

লেখাপড়ার ব্যাপারে প্রফেসর রাজ্জাকের উপদেশ - পড়ার সময় প্রয়োজনীয় নোট নেয়ার ব্যাপারটা – নতুন কিছু নয়। গবেষক মাত্রেই ব্যাপারটা জানেন। ‘ক্ষেত চষবার সময় জমির আইল বাইন্ধা রাখতে অয়’। কিন্তু রাজ্জাক স্যার নিজে কোনদিন কোনকিছু নোট করেছেন বলে শোনা যায় না। অন্তত বিলেত থেকে ফিরে আসার পর – তিনি যা করেছেন – তার সবকিছুই একাডেমিক স্বেচ্ছাচারিতা। শুনতে খারাপ লাগলেও – ব্যাপারটা সেরকমই।

প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক কিছুই পাবলিশ করেননি। অনেক উন্নতমানের কাজ ট্রটস্কির থিওরি অব পার্মানেন্ট রেভ্যলিউশেন এর বাংলা অনুবাদ, কিংবা অবন ঠাকুরের ইংরেজি অনুবাদ – এতো অনুবাদ করেছিলেন বলে বলেছেন তিনি। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? কেউ তো সেই পান্ডুলিপি দেখেননি। তাঁর মৌলিক লেখা কোথায়?? বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এসে একজন মনীষি কিছু না লিখে – শুধুমাত্র একতরফা কথা বলে বিখ্যাত জ্ঞানী হয়ে গেলেন কীভাবে?

প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন মুসলিম লীগের সমর্থক। তিনি মনেপ্রাণে পাকিস্তান চেয়েছিলেন। নেহেরুর চেয়ে তিনি জিন্নাহকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতেন, অনেক বেশি জ্ঞানী মনে করতেন, অনেক বেশি বড় মাপের নেতা মনে করতেন। নেহেরুকে যেভাবে পারেন ছোট করতে পছন্দ করতেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রফেসর রাজ্জাকের ভূমিকা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আহমদ ছফা বলেছেন অন্য কথা। তিনি প্রফেসর রাজ্জাকের মুসলিম লীগ করাকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রফেসর রাজ্জাকের ভূমিকা যেমন জানা যায় না, তেমনি ভাষা আন্দোলনের সময়েও তাঁর কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে তিনি সমর্থন করেননি। বইতে আছে তিনি বলেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকে নেহেরুরু উদাহরণ দেখিয়ে বলেছিলেন বিরোধী দলকে একশটি সিট ছেড়ে দিতে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সিট ছেড়ে দেয়া হয় কীভাবে? বিরোধী দল তৈরি করাও কি সরকারের দায়িত্ব? আর যে নেহেরুকে তিনি পছন্দ করেন না, সেই নেহেরুর উদাহরণকে আদর্শ মানেন কীভাবে? ১৯৭৫ এর পর প্রফেসর রাজ্জাকের ভূমিকা কী ছিল তার কোন উল্লেখ এখানে নেই। 

প্রফেসর রাজ্জাককে মাঝে মাঝে অতিনায়ক তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। সলিমুল্লাহ খান বৃত্তির জন্য কামাল হোসেন ও আবদুর রাজ্জাকের সুপারিশপত্রের জন্য গেছেন। সলিমুল্লাহ খান – রাজ্জাক সাহেবের উপর বই লিখেছিলেন। তাতে সবাই অখুশি হয়েছিলেন। রাজ্জাক সাহেব নিজে তাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমেরিকা যাবার প্লেনভাড়াও দিয়েছেন।

সেই সময়ের হিন্দু সাহিত্যিকদের উপন্যাসে মুসলমান চরিত্রের সংখ্যা কম বলেই নাকি তিনি পাকিস্তান চেয়েছিলেন? আলাদা রাষ্ট্র চেয়েছিলেন মুসলমানদের জন্য। কিন্তু মুসলমান সাহিত্যিকদের উপন্যাসে কয়টা হিন্দু চরিত্র আছে এই প্রশ্ন কি তিনি কখনো করেছিলেন?

শিল্পী সুলতানকে সাহায্য করেছেন আহমদ ছফা ও আবদুর রাজ্জাক। শিল্পী সুলতানের শৈল্পিক প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক অনেক ভূমিকা রেখেছেন।

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা আছে। ভালো স্কুল তৈরি না করে কলেজ তৈরির কুফল সম্পর্কে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তো এত ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। যাকে খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি দিতে পারতেন। তিনি নিজে কেন উদ্যোগী হননি?

সত্যেন বসুর পান্ডিত্যের কথা স্বীকার করেছেন রাজ্জাক স্যার।

বঙ্গবন্ধু বাধ্য হয়েছিলেন হেনরি কিসিঞ্জারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ করতে। হেনরি কিসিঞ্জার এসেছিলেন, ৪৫ মিনিট হোটেল কন্টিনেন্টালে ছিলেন। তার মধ্যে ২৫ মিনিট রাজ্জাক সাহেবের সাথে ছিলেন।

লেখক আহমদ ছফা সৈয়দ আলি আহসানের সাথে দেখা করেছেন ফাউস্ট অনুবাদ প্রকাশ করার ব্যাপারে সাহায্য পাবার জন্য। তিনি নাকি সৈয়দ আলি আহসানকে পছন্দ করতেন না। আবার স্বার্থের জন্য গেলেনও।

লেখকদের মধ্যে অনেক স্ববিরোধিতা থাকে। কারণ প্রফেসর রাজ্জাকই একে স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, “লেখক কবিরা যা বলে সেরকম আচরণ না করলেও চলে”। এই ব্যাপারটা আমি পাঠক হিসেবে মানতে পারি না। লেখক হলে কী করতাম জানি না।

প্রফেসর রাজ্জাককে নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে  যদ্যপি আমার গুরু – অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রফেসর রাজ্জাক সম্পর্কে নির্মোহ নিরপেক্ষ বই একে বলতে পারছি না।

এই বইতে অনেক চমৎকার কথা এবং পর্যবেক্ষণ আছে।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা বিষয়ে যে গবেষণা হয়েছে তার বেশিরভাগই চাকুরির প্রমোশনের উদ্দেশ্যে লেখা।“

“কিছু কিছু জিনিস কাউরে অন্য মাইনষের সামনে দিলে মনে কষ্ট পাইতে পারে।“

“পুষ্টিকর খাদ্যের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে মানুষ ক্ষুদ্রাকৃতির হয়ে যাচ্ছে।“

“বড়লোক আর বড় মানুষ এক নয়। বড়লোকদের মধ্যে বড় মানুষের ছায়া থাকে। বড় মানুষরা আসলেই বড় মানুষ।“

“বাংলা ভাষাটা বাঁচাইয়া রাখছে চাষাভুষা, মুটেমজুর – এরা কথা কয় দেইখ্যাইত কবি কবিতা লিখতে পারে। সংস্কৃত কিংবা ল্যাটিন ভাষায় কেউ কথা কয় না, হের লাইগ্যা এখন সংস্কৃত কিংবা ল্যাটিন ভাষায় সাহিত্য লেখা হয় না।“

“মওলানা ভাসানীর দু’রকম অসুখ ছিল। পলিটিক্যাল অসুখ ও আসল অসুখ।“

“যার মনে দয়া নেই তাকে উপরে আনা ঠিক নয়।“

“সৈয়দ আলি আহসান সত্য কথা বেশি বলতেন না।“

“তরুণ বয়সে মানুষের শরীরের কোনো অংশে চোট লাগলে যৌবনে সেটা অনুভব করা যায় না অনেক সময়। বুড়ো হলেই ব্যথাটা ফিরে আসে। মানুষের বিশ্বাস এবং সংস্কার এগুলো বেশি বয়সে নতুন করে জেগে ওঠে।“

“There are periods in history when crawling is the best means of communication.”

“এখানে প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন কাউকে সালাম দিলে সালামটা তাঁর প্রাপ্য ধরে নেন এবং যিনি সালাম দেন তাঁকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিতান্তই ছোটোলোক বলে ধরে নেয়া হয়।“


No comments:

Post a Comment

Latest Post

Dorothy Crowfoot Hodgkin

  Look closely at the fingers of the person in the picture. Her fingers had not bent in this way due to age; she had been suffering from chr...

Popular Posts