Sunday, 14 November 2021

ডিজিটাল যুগ??

 

দেখিতেই পাইতেছেন ইহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করিবার নিমিত্তে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি। যোগ্য প্রার্থীরা দরখাস্ত করিয়া নিয়ম মোতাবেক  যাহা যাহা করিতে হয় তাহা সম্পাদন করিয়া নিয়োগপত্র লাভ করিবেন। আমার জিজ্ঞাস্য সেইখানে নয়। আমার জিজ্ঞাস্য হইল - বাংলাদেশে বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতির সুবর্ণযুগ চলিতেছে বলিয়া বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হইতেছে - সেইখানে দরখাস্ত করিবার পদ্ধতি কী কারণে সেই আদিম যুগে থামিয়া রহিয়াছে? এই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক দেখা যাইতেছে চাকরিপ্রার্থীকে প্রথমে কোন ব্যাংকে উপস্থিত হইয়া ৭৫০ টাকা মূল্যের পে-অর্ডার অথবা ব্যাক-ড্রাফ্‌ট সংগ্রহ করিতে হইবে। রেজিস্ট্রারের দপ্তরে উপস্থিত হইয়া নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করিতে হইবে। সেইখানে কী পরিমাণ অর্থমূল্য দিতে হইবে তাহা জানা নাই। তাহার পর দরখাস্ত পূরণ করিয়া তাহার আটটি কপি করিতে হইবে। দরখাস্তের সহিত পরীক্ষা পাসের সনদপত্র, প্রশংসাপত্র, নম্বরপত্র, অভিজ্ঞতার সনদপত্র যোগ করিতে হইবে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর এই চারটি পরীক্ষা পাসের চারটি করিয়া মোট ষোলটি সনদপত্র লাগিবে। এই ষোলটির প্রত্যেকটির আবার আটটি করিয়া কপি লাগিবে। তাহা হইলে মোট ১২৮টি পত্র তৈরি করিয়া সেইগুলিকে আবার সত্যায়িত করিতে হইবে। যিনি ১২৮টি কাগজে দস্তখত করিয়া সত্যায়িত করিবেন এবং সিলমোহর লাগাইবেন তাঁহাকে কীভাবে রাজি করাইবেন জানি না। ইহারপর এই বিশাল কাগজের বোঝা রেজিস্ট্রারের অফিসে পৌঁছাইতে হইবে। আমার জিজ্ঞাস্য হইল - আটকপি দরখাস্ত কী কারণে পাঠাইতে হইবে? অনলাইনে দরখাস্ত এবং সনদপত্র পাঠাইলে কি কর্তৃপক্ষ যত কপি খুশি দরখাস্ত ছাপাইয়া লইতে পারিত না? না কি কম্পিউটার ব্যবহার করিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আভিজাত্য লঙ্ঘিত হইবে??

No comments:

Post a Comment

Latest Post

FLASH Radiotherapy: A New Possibility in Cancer Treatment

  Cancer is the disease before which humanity feels the most helpless. Every year, the number of cancer patients continues to rise at an ala...

Popular Posts