Sunday 5 May 2019

ইয়ারার তীরে মেলবোর্ন - ত্রয়োত্রিংশ পর্ব



০৮ আগস্ট ১৯৯৮ শনিবার

বৎসরের এগারোতম মাসের এগারোতম দিনের এগারোতম ঘন্টার এগারোতম মিনিটে এখানে সবকিছু থেমে যায়। সবাই স্থির নীরব হয়ে যান এক মিনিটের জন্য। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় নুয়ে আসে সবার মাথা। ঠিক তখনই ছাদের ছোট্ট একটা ছিদ্র দিয়ে এক টুকরো সূর্যালোক এসে পড়ে এই স্মৃতিসৌধের ঠিক মাঝখানে আয়তাকার একটা গর্তে। সূর্যের আলোতে ঝলমল করে ওঠে একটা ছোট্ট অথচ প্রচন্ড শক্তিশালী শব্দ LOVE  মাথা নিচু করে LOVE এর দিকে তাকালে দেখতে পাবে পাঁচ শব্দের একটি বাক্য “GREATER LOVE HATH NO MAN”। বাইবেলের বাণী Greater love hath no man than this, that a man lay down his life for his friends এর অংশবিশেষ। পরের জন্য যে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পারে তার চেয়ে মহৎ আর কে হতে পারে! দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের ভালবাসা সত্যিই অতুলনীয়। মেলবোর্নের স্রাইন অব রিমেম্বারেন্সে এসে মনে পড়ছে আমাদের শহীদ মিনারের কথা।
                       আমাদের যেমন স্মৃতিসৌধ বা শহীদ-মিনার, মেলবোর্নের তেমনি স্রাইন অব রিমেম্বারেন্স। তবে আমরা যে রকম যে কোন জাতীয় দিবসে, বিপ্লবে-বিদ্রোহে, শোকে-সংগ্রামে, প্রতিবাদ-প্রতিরোধে, শপথে-অনশনে, কবিতার উৎসব সহ আরো শত উপলক্ষে ছুটে যাই শহীদ মিনারে, মেলবোর্ন-বাসীরা সেরকম ভীড় জমায় না স্রাইন অব রিমেম্বারেন্সে। পর্যটকেরা আসে সারাবছর, স্থানীয়রা আসেন বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে বা বিশেষ কোন উপলক্ষে।
            ফ্লিন্ডারস্ট্রিট পার হয়ে ইয়ারার প্রিন্সেস ব্রিজ থেকে সোজা দক্ষিণে চলে গেছে সেন্ট-কিলদা রোড। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সেদিকে তাকালে দেখতে পাবে রাস্তা যেখানে বাঁক নিয়েছে সেখানে ছোট্ট পাহাড়ের ওপর পিরামিড আকৃতির স্রাইন অব রিমেম্বারেন্স- মেলবোর্নের শহীদ-মিনার।
            আজ সকালে আকাশে মেঘের আনাগোনা কম। তাই রোদের কৃপণতা নেই। তবে কতক্ষণ এরকম থাকবে জানি না। মেলবোর্নের আবহাওয়া ধনীলোকের আদুরে মেয়ের মুডের মত- বিনা নোটিশেই বদলে যেতে পারে।
            দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে সোজা ইয়ারার তীরে। প্রতিদিন নতুন নতুন পথে হাঁটার একটা সুবিধা আছে। চেনা হয়ে যাচ্ছে মেলবোর্নের অলি-গলি। অনেক শর্টকাট জানা হয়ে গেছে এর মধ্যে। প্রিন্সেস ব্রিজে এসে বামদিকের ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে ডোমেইন ট্রাম টার্মিনাল ডানে রেখে একটু এগোতেই স্রাইন অব রিমেম্বারেন্স।
            ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে স্মৃতিসৌধ তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয় ১৯২০ সালে। অবসরপ্রাপ্ত আর্মি-কমান্ডার জেনারেল স্যার জন মনাশের নেতৃত্বে কাজ শুরু হয়। ১৯২২ সালে ডিজাইন আহবান করা হয়। ১৯২৩ সালের ডিসেম্বরে মোট ৮৩টি নক্‌শার মধ্য থেকে মেলবোর্নের দুজন স্থপতি ফিলিপ হাডসন ও জেম্‌স ওয়ারড্রপের নক্‌শা গৃহীত হয়। কিন্তু অনেকের বিরোধিতার মুখে কাজ শুরু করা যায়নি পরবর্তী পাঁচ বছর। সবচেয়ে বড় বাধা এসেছিল খ্রিস্টান পাদ্রিদের কাছ থেকে। তাঁরা ভবনের নক্‌শা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। স্মৃতিভবনের কোথাও ক্রুশ বা হলি-ক্রস জাতীয় কোন ধর্মীয় চিহ্ন রাখা হয়নি- এটাই তাদের মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ। কিন্তু তাদের আপত্তি বেশিদিন টিকেনি।
            ১৯২৭ সালের ১১ নভেম্বর স্মৃতি-সৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের গভর্নর লর্ড সোমার্‌স। পরপরই কাজ শুরু হয়ে যায়। মোট আড়াই লক্ষ পাউন্ড খরচের এক লক্ষ ষাট হাজার পাউন্ড উঠে আসে জনগণের চাঁদা থেকে। ১৯৩৪ সালের সেপ্টেম্বরে কাজ সম্পূর্ণ হয়। সে-বছরই ১১ নভেম্বর বেলা এগারোটায় প্রায় তিন লাখ মানুষের সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেই থেকে প্রতি বছর নভেম্বরের এগারো তারিখ বেলা এগারোটায় রিমেম্বারেন্স-ডে উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন এখানে সবাই।
            দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্মৃতিসৌধের নকশায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। সৌধের উত্তরদিকে গ্যাস সরবরাহ দিয়ে শিখা-অনির্বাণ স্থাপন করা হয়। পাশেই স্থাপিত হয় সাড়ে বারো মিটার উচ্চতার স্মৃতিস্তম্ভ। রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন, স্রাইন অব রিমেম্বারেন্স।
            মানুষ বড় আশ্চর্য প্রাণী। মানুষ মানুষের সাথে যুদ্ধ করে। যুদ্ধ বাধানোর কতরকমের অজুহাত তাদের। যুদ্ধের সব পক্ষই দাবী করে তারা শান্তির স্থাপনের জন্য যুদ্ধ করছে। আবার যুদ্ধে শহীদদের জন্য শোক করে। শহীদ মিনারে এসে যুদ্ধ নয় শান্তি বলে স্লোগান দেয়। অথচ অস্ত্র-কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয় না। অস্ট্রেলিয়া শান্তিপ্রিয় জাতি। এদেশের রাস্তা-ঘাটে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় না কাউকেই। তবুও এরা এদের বড়ভাই আমেরিকা ও ব্রিটেনকে অনুসরণ করে যুদ্ধে সৈন্য পাঠায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়ানরা সৈন্য পাঠিয়েছে কোরিয়ার যুদ্ধে, মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার সময়ের জরুরি অবস্থায়, ভিয়েতনাম যুদ্ধে, মধ্যপ্রাচ্যে। সবই শান্তির জন্য! ভালবাসার জন্য! তাই কি ভালোবাসা শব্দটিকে আলোকিত করা হয়েছে এখানে?
            স্মৃতিসৌধের ভেতরের ঘরের মাঝখানের বেদীতে LOVE শব্দের ওপর প্রতিবছর এগারোই নভেম্বর বেলা এগারোটায় সূর্যালোক প্রবেশ করানোর কারিগরী দক্ষতা অপূর্ব। বছরের আর কোন দিন ওই ছিদ্র দিয়ে আলো প্রবেশ করে না। আজ এই আগস্টেও একটা আলোক-রশ্মি দেখতে পেলাম। তবে ওটা সূর্যালোক নয়, বৈদ্যুতিক আলো। স্মৃতিসৌধের চারপাশে ঘুরে দেখলাম। সবকিছু ঝকঝকে পরিষ্কার। এখান থেকে উত্তর দিকে তাকালে পুরো মেলবোর্ন শহর দেখা যায় একটা ভিউকার্ডের মত। 
            স্মৃতিসৌধ থেকে বেরিয়ে সিটির দিকে হাঁটতে শুরু করে ডান দিকের রাস্তায় ঢুকে গেলাম- রয়েল বোটানিক গার্ডেন। এই দুপুরেও অনেকে দৌড়াচ্ছেন পার্কের মাঝখানের বাধানো রাস্তায়। বোটানিক গার্ডেনের এক জায়গায় বোর্ডের তথ্য থেকে দেখতে পাচ্ছি ১৮৪৬ সাল থেকেই আছে তিন লাখ ষাট হাজার বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের এই বাগানটি। প্রায় দশ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ আছে এখানে। ক্যাকটাস এরিয়ায় কত বিচিত্র রকমের ক্যাকটাস যে আছে। ক্যালিফোর্নিয়া গার্ডেন, নিউজিল্যান্ড কালেকশান, চায়না কালেকশান ছাড়াও আরো অনেক দেশের ফুল আর লতা-পাতা।
            অনেক বড় বড় ইউক্যালিপ্টাস আছে বাগানের ভেতর। অস্ট্রেলিয়ায় সবখানেই ইউক্যালিপ্টাস দেখা যায়। একটা বড় ইউক্যালিপ্টাসকে বিশেষ যত্নে ঘিরে রাখা হয়েছে। এই গাছটির বয়স প্রায় তিনশ বছর। তার মানে বোটানিক গার্ডেন হবার আগে থেকেই গাছটা আছে এখানে। বোর্ডে লেখা আছে সেপারেশান ট্রি। নিউ-সাউথ ওয়েল্‌স থেকে পৃথক হবার সময়ে এর নিচে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
            একপাশে বিরাট লেক। ছোট ছোট কিছু হাঁস ভেসে বেড়াচ্ছে এদিক-ওদিক। গাছপালা আর ঘাসের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই খেয়াল করলাম রোদের গায়ে মেঘ এসে ভিড়তে শুরু করেছে। একটু পরেই আকাশের মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। শুরুতে গোমড়া হবে, তারপর গলতে শুরু করবে।
            এবার ফেরা যাক। ইয়ারা নদীর দক্ষিণ তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে ফুট-ব্রিজ পার হয়ে ফ্লিন্ডার স্ট্রিট স্টেশনের ভেতর দিয়ে ফ্লিন্ডার স্ট্রিটে আসতে না আসতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। এরকম হাল্‌কা বর্ষণকে কেউ পাত্তা দেয় না এখানে। আমিও দিলাম না। রাস্তা পেরোতে গিয়ে দেখলাম সিটি সার্কেল ট্রাম দাঁড়িয়ে আছে ট্রাম-স্টপে। উঠে পড়লাম। বিনে-পয়সায়  শহর-ঘুরে দেখার এমন আরাম ছাড়বো কেন।
                         ট্রাম চলছে ঘন্টায় খুব বেশি হলে বিশ কিলোমিটার বেগে। এক ব্লক পর পরই স্টপ। বৃষ্টির তেজ বাড়ার সাথে সাথে ট্রামের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে। বন্ধ জানালায় বৃষ্টির ঝাপটা আমাকে নষ্টালজিক করে তোলে। আজ থেকে ঠিক একমাস আগে বাংলাদেশের এই সময়ে আমি জিয়া বিমানবন্দরে। স্মৃতিজাগানিয়া বৃষ্টি দেখতে দেখতে আমি চলে যাই ভেসে যাওয়া অতীতে, কেটে যায় সিটি-সার্কেলের তিন-চার চক্কর। হঠাৎ ঘোর কাটলে নেমে পড়ি লা-ট্রোব আর এলিজাবেথ স্ট্রিটের কোণায়। এলিজাবেথ ধরে উত্তর-পূর্ব দিকে হেঁটে হেঁটে ইউনিভার্সিটি। পার্কভিল ক্যাম্পাসের অলি-গলি এখন চেনা হয়ে গেছে।
            অফিসে এসে কিছুক্ষণ পড়ালেখা করার চেষ্টা করলাম। লেসের এসাইনমেন্টের সমস্যাগুলোর মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছি না। তিন সপ্তাহ সময়ের এক সপ্তাহ চলে গেছে এখনো একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারিনি। বই-পত্র ঘেঁটেও কোন কূল-কিনারা পাচ্ছি না। ওপেন বুক এক্সামিনেশান হলেও যে তেমন কোন সুবিধা করতে পারবো না তা তো বুঝতেই পারছি।
            মনে পড়লো হারিশ দেশাই বলেছিলেন শনিবার-রবিবারের দিকে ফোন করে দেখতে। হয়তো হবে না কিছুই। কিন্তু চেষ্টা না করে ছেড়ে দিলে পরে আফসোস করতে হয় অনেক সময়। সাড়ে পাঁচটার দিকে ফোন করলাম।
            গুড ইভ্‌নিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। হাউ কেন আই হেল্প ইউ?
হারিশ দেশাইর সহকারী ভদ্রমহিলার গলা। হারিশ দেশাইর সাথে কথা বলতে চাই শুনে চুপ করে গেলেন। হয়তো দেশাই সাহেবকে ডাকতে গেছেন। রান্নাঘরের জিনিস-পত্র নাড়ার স্বাভাবিক শব্দ ভেসে আসছে। একটু পরে দেশাই সাহেবের গলা শোনা গেল- ইয়েস?
            স্যার, আমি গত বুধবার আপনার সাথে দেখা করেছিলাম। আপনি বলেছিলেন আজ ফোন করতে
            কাজের ব্যাপারে?
            হ্যাঁ স্যার
            এক-দেড়ঘন্টা পরে ফোন করো
            এখন বলতে পারবেন না স্যার?
            বললাম তো দেড়-ঘন্টা পরে ফোন করতে-ফোন রেখে দেয়ার শব্দ হলো।
            এখন বাজে ছটা। আরো দেড়-ঘন্টা পর মানে সাড়ে সাতটার দিকে ফোন করতে হবে। তখন আবার কাস্টমারের ভীড় বেড়ে গেছে বলে রাত এগারোটায় ফোন করতে বলবেন না তো?        
            দেড়-ঘন্টা কাজে লাগানো যাক। পড়াশোনায় মন দিলাম। দেড়-ঘন্টা বেশ ফলপ্রসু হলো। লেসের সমস্যাগুলোর দুটোর সমাধান পেয়ে গেলাম। মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে গেল। এবার দেখা যাক কী বলেন দেশাই সাহেব।
            ঠিক সাড়ে সাতটায় ফোন করলাম। আবারো একই টোনে একই শব্দাবলী গুড ইভ্‌নিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। হাউ কেন আই হেল্প ইউ? মনে হয় রেপিডেক্স ইংলিশ থেকে মুখস্থ করেছেন। আমার বৃত্তান্ত শুনে আবারো নিস্তব্ধতা, তারপর হারিশ দেশাইইয়েস?
            আপনি আমাকে সাড়ে সাতটায় ফোন করতে বলেছিলেন
            কাজের ব্যাপারে?
            ইয়েস স্যার
            আমার এখানে একজন কাজ করছে এখন। সে না পারলে তোমাকে খবর দেবো। তুমি দুসপ্তাহ পরে ফোন করো, আমি-
            কথাগুলো দেড়-ঘন্টা আগে বলা যেতো না? কী যেন হয়ে গেলো আমার। দেশাই সাহেবের কথা শেষ হবার আগেই লাইন কেটে দিলাম। ডায়েরির যে পাতায় হারিশ দেশাইর ঠিকানা আর ফোন নম্বর লেখা ছিল- সেই পাতাটা এক টানে ছিঁড়ে কুচিকুচি করলাম। আরো অনেক কিছু ছিঁড়তে পারলে আরো ভালো লাগতো। মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মানুষ মানুষকে কতরকম অপমান যে করে। ছোটবেলা থেকে আশেপাশে এরকম এত মানুষ দেখেছি যে কী বলবো তোমাকে। মেলবোর্নে এসেও এরকম মানুষের পাল্লায় পড়বো ভাবিনি। হারিশ দেশাইর রেস্টুরেন্টে কাজ না পেলে আমি নিশ্চয়ই মরে যাবো না।
            বাসায় যাবার জন্য নিচে নেমে অভ্যাসবশত মেইল-বক্সে উঁকি দিলাম একবার। কোয়ান্টাম থিওরি গ্রুপের বাক্সে একটা বড় হলুদ খাম দেখা যাচ্ছে। কাল বিকেলেও দেখেছিলাম ওটা ওখানে। পিটারের হলে রুমে নিয়ে গিয়ে রাখতে হবে। তিনি এলে পাবেন। তালা খুলে খামটা বের করতে গিয়েই সোনার খনি পেয়ে গেলাম। বড় খামের নিচে চাপা পড়েছিল আরো তিনটা খাম। খামের উপর হাতের লেখা দেখেই ভালো লাগছে- একটা খামে মামামের, একটাতে দিদির ও অন্যটাতে দাদার হাতে আমার ঠিকানা লেখা। পরের মুহূর্তে যেন উড়ে চলে এলাম বাসায়। 
_____________________
PART 34 (LAST)

No comments:

Post a Comment

Latest Post

নিউক্লিয়ার শক্তির আবিষ্কার ও ম্যানহ্যাটন প্রকল্প

  “পারমাণবিক বোমার ভয়ানক বিধ্বংসী ক্ষমতা জানা সত্ত্বেও আপনি কেন বোমা তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন?” ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের ‘কাইজো’ ম্য...

Popular Posts