মঙ্গল গ্রহে অভিযান ২৬ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
২৫/০৯/১৯৯২ |
আমেরিকা |
মার্স অবজারভার (Mars Observer) |
মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করা। |
মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করার আগমুহূর্তে যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মিশন ব্যর্থ। |
মার্স অবজারভার
১৯৯২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করা হলো নাসার মঙ্গল
মিশন - মার্স অবজারভার। মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল পুরো এক বছর ধরে মঙ্গল গ্রহের চারপাশে
ঘুরে ঘুরে মঙ্গল গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করে মঙ্গলের ম্যাপ তৈরি করা এবং তার সাথে
মঙ্গলের আবহাওয়ার পরিবর্তনের রেকর্ড রাখা, ও চৌম্বকক্ষেত্র খুঁজে বের করা। সবকিছুই
ঠিকমত চলছিল। ১৯৯৩ সালের ২৬ জুলাই মঙ্গলের প্রথম ছবি পাঠায়। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর
মার্স অবজারভারের সাথে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকবার চেষ্টা
করার পরেও যোগাযোগ আর ঠিকভাবে স্থাপন করা যায়নি। ১৯৯৩ সালের ২২ আগস্ট মার্স
অবজারভার মিশন ব্যর্থ ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান ২৭ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
০৭/১১/১৯৯৬ |
আমেরিকা |
মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার (MGS) |
মঙ্গলের চারপাশে প্রদক্ষিণ করা। |
মিশন সফল। ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করেছে। |
মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার
১৯৯৬ সালের ৭ নভেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয় মার্স গ্লোবাল
সার্ভেয়ার (এমজিএস)। জ্বালানীসহ স্যাটেলাইটের ভর ১,০৬২ কিলোগ্রাম। এমজিএস মিশনের
বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ডিজাইন করা হয়েছিল মঙ্গলের পুরো ভুমি জরিপ ও আবহাওয়া
পর্যবেক্ষণ করার জন্য। প্ল্যান করা ছিল মঙ্গলের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর দিকে
পোলার অরবিটে মঙ্গলের ভূমি থেকে মাত্র ৩৭৮ কিলোমিটার উপর থেকে মঙ্গলের চারপাশে
ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গলের ছবি তুলবে পুরো এক সোল (মঙ্গলের এক বছর) সময় ধরে।
চিত্র:
মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার
পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণের পর ৩০০ দিন মহাকাশ ভ্রমণ
করে ১৯৯৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের
কক্ষপথে পৌঁছে মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার। স্যাটেলাইটের মার্স অরবিটাল ক্যামেরা
প্রতিদিন ছবি তুলেছে মঙ্গলের। মার্স অরবিটার লেজার আলটিমিটার মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের
সমস্ত চড়াই-উৎরাই খাদ-পাহাড় সবকিছুর উচ্চতা মেপেছে। থার্মাল এমিসান স্পেকট্রোমিটার
মঙ্গলের ভূমির সব জায়গার তাপমাত্রা মেপেছে। ম্যাগনেটোমিটার ইলেকট্রন রিফ্লেকটোমিটার
মঙ্গলের কিছু জায়গায় চৌম্বক ক্ষেত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে। খুবই হাই রেজ্যুলেশনসম্পন্ন
২ লাখ ৪০ হাজার ছবি তুলে পাঠায় গ্লোবাল সার্ভেয়ার। এই ছবিগুলো থেকে মঙ্গল গ্রহের
অনেক অজানা তথ্য জানা যায়।
চিত্র: গ্লোবাল সার্ভেয়ারের তোলা ছবিতে মঙ্গল গ্রহের শিয়াপারেল্লি
গহ্বর।
ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার বা অবলোহিত বর্ণালীবীক্ষণ
যন্ত্র মঙ্গলের মাটিতে প্রচুর আয়রন অক্সাইডের প্রমাণ পায়, যার কারণে মঙ্গল গ্রহের
রঙ লাল। আলটিমিটার মঙ্গলের ভূমিতে যত পাহাড়-পর্বত খাদ আছে সবগুলোর উচ্চতা এবং
গভীরতা মাপতে সক্ষম হয়। পরবর্তী দশ বছর ধরে এই প্রোব কর্মক্ষম ছিল। শুধু তাই নয়,
অন্য স্যাটেলাইটের ছবিও পৃথিবীতে পাঠিয়েছে গ্লোবাল সার্ভেয়ার। ২০০৫ সালের নভেম্বরে
গ্লোবাল সার্ভেয়ার মার্স ওডিসি এবং মার্স এক্সপ্রেসের ছবি পাঠায়। ২০০৬ সালের ২
নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান ২৮ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
১৬/১১/১৯৯৬ |
রাশিয়া |
মার্স-৯৬ (Mars-96) |
মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করা, মঙ্গলে অবতরণ করা,
মঙ্গলের ভূমি খুঁড়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা। |
পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করতে পারেনি। মিশন ব্যর্থ। |
মার্স-৯৬
মার্স-৯৬ মিশন ছিল রাশিয়ার খুবই উচ্চাভিলাসী মিশন। ৬,১৮০
কিলোগ্রাম ভরের বিশালাকৃতির স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়েছিল। মঙ্গল মিশনে সোভিয়েত
ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য পায়নি। মার্স-৯৬ মিশন ছিল অতীতের সব ব্যর্থতা কাটিয়ে
উঠার মিশন। এই মিশনে একই সাথে ছিল একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং একটি সারফেস
পেনিট্রেটর। লক্ষ্য ছিল মঙ্গল গ্রহের উদ্ভবের ইতিহাস জানা, বায়ুমন্ডল পর্যবেক্ষণ
করে তার উপাদান বিশ্লেষণ করা, এবং মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ
করা। ১৯৯৬ সালের ১৬ নভেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয় মার্স-৯৬। কিন্তু উৎক্ষেপণের দ্বিতীয়
ধাপ ব্যর্থ হয়ে যাবার ফলে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করতে পারেনি মার্স-৯৬। দু'দিন পর
১৮ নভেম্বর স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ফিরে আসার সময় ধ্বংস হয়ে যায়।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান ২৯ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
০৪/১২/১৯৯৬ |
আমেরিকা |
মার্স পাথফাইন্ডার (Mars Path-finder) |
মঙ্গল গ্রহে অবতরণ এবং বিচরণ করা। |
সফলভাবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেছে। একটা ছোট রোভার
মঙ্গলের ভূমিতে বিচরণ করে ছবি পাঠিয়েছে। মিশন সফল। |
মার্স পাথ-ফাইন্ডার
মার্স পাথ-ফাইন্ডার মিশন ছিল মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করার
মিশন। এর ল্যান্ডার ছিল আকারে বেশ ছোট - মাত্র তিন ফুট উঁচু ষড়ভুজ আকৃতির। ভর ছিল
মাত্র ৪৬০ কিলোগ্রাম। পিরামিড আকৃতির ল্যান্ডার মঙ্গলের ভূমিতে অবতরণ করার পর তিন
দিকের ত্রিভুজাকৃতির পাল্লা পুরোপুরি খুলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি
উন্মুক্ত হয়। পাথ-ফাইন্ডারের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির মধ্যে ছিল দূরপাল্লার ছবি
তোলার ব্যবস্থা এবং ক্লোজ-আপ ছবি তোলার ব্যবস্থা। পাথ ফাইন্ডারে পাঠানো হয়েছিল
একটি ছয় চাকার স্বয়ংক্রিয় গাড়ি (রোভার), নাম ছিল সোজার্নার (sojourner)। এটা যেখানে নেমেছে সেখান থেকে আশেপাশের কয়েক মিটার
ঘুরে দেখতে পারে। এই রোভারে একটি ক্যামেরা এবং এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার লাগানো ছিল।
রোভারের নিজস্ব সোলার প্যানেল থেকে তার চাকার জন্য বৈদ্যুতিক শক্তি আহরণ করে।
রোভারের মূল লক্ষ্য ছিল যেখানে পাথ-ফাইন্ডার নামবে সেখানকার কয়েক মিটারের মধ্যে
মঙ্গলের পাথরগুলোর রাসায়নিক উপাদান ও ভূতাত্ত্বিক গঠন পরীক্ষা করে দেখা। তার জন্য রোভারে
ছিল আলফা-প্রোটন এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার। মঙ্গলের পাথরের উপাদান পরীক্ষা করা সম্ভব
হয়েছে এই এক্স-রে স্পেকট্রোমিটারের সাহায্যে। সোজার্নার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাথরের
কাছে গিয়ে আলফা-কণা ছুড়ে দিয়ে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ঘটায়। তারপর স্পেকট্রোমিটারের
সাহায্যে সে বিক্রিয়ার ফলাফল বিশ্লেষণ করে পাথরের গঠন ও রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে
বিস্তারিত উপাত্ত সংগ্রহ করে। সোজার্নার
এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যেন মঙ্গলগ্রহের মাটিতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ কর্মক্ষম থাকতে
পারে।
চিত্র:
মঙ্গলের মাটিতে সোজার্নার
১৯৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয় মার্স
পাথ-ফাইন্ডার। উৎক্ষেপণের সাত মাস পর ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই মঙ্গলের ভূমিতে অবতরণ করে
পাথ-ফাইন্ডার। মঙ্গলের পিঠে নামার প্রক্রিয়াটি ছিল খুবই স্বতন্ত্র। হিট-শিল্ড এবং
প্যারাসুট ছাড়াও পাথ-ফাইন্ডারকে ভূমির সাথে সংঘর্ষ থেকে বাঁচানোর জন্য ব্যবহার করা
হয় এয়ার-ব্যাগ। এয়ারব্যাগগুলো প্যারাসুট খোলার সময়েই ফুলে যায়। চারপাশে এয়ারব্যাগসহ
মঙ্গলের ভূমিতে পড়ে ৫০০ ফুট উঁচুতে লাফিয়ে উঠে। এভাবে ১৭ বার লাফালাফি করার পর
পাথ-ফাইন্ডার ভূমিতে স্থির হয়। তারপর এয়ারব্যাগের বাতাস বেরিয়ে যায়। প্রায় সাথে
সাথেই কাজ শুরু করে দেয় পাথ-ফাইন্ডার।
পাথ-ফাইন্ডার এবং সোজার্নার সাফল্যের সাথে কাজ করেছে
দীর্ঘদিন। ১৯৯৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে পাথ-ফাইন্ডার।
১৬,০০০ ছবি পাঠিয়েছে পাথ-ফাইন্ডার। রোবটিক হাতের সাহায্যে মঙ্গলের কিছু পাথর নিয়ে
তা স্পেকট্রোমিটারের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই পাথরগুলো ভূমির উপরিতলে
এসেছে আগ্নেয়গিরির ফলে। এগুলো কখনোই তরল পানির সংস্পর্শে আসেনি। সাত দিন কাজ করার
জন্য তৈরি করা হলেও সোজার্নার ৮৩ সোল (মঙ্গলের দিন) কাজ করেছে। এই ৮৩ সোলে মোট
৫৫০টি ছবি তুলেছে ১৬টি পাথরের রাসায়নিক উপাদান পরীক্ষা করেছে সোজার্নার।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান ৩০ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
০৪/০৭/১৯৯৮ |
জাপান |
নোজোমি (Nozomi) |
মঙ্গল প্রদক্ষিণ করা। |
মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। মিশন ব্যর্থ। |
নোজোমি
এশিয়ার মধ্যে জাপান সর্বপ্রথম মঙ্গলে স্যাটেলাইট পাঠানোর
চেষ্টা করেছিল ১৯৯৮ সালে। মিশনের নাম ছিল নোজোমি - যার অর্থ আশা। জ্বালানিসহ ২৮২
কিলোগ্রাম ভরের নোজোমি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ৪ জুলাই। এই
মিশনের লক্ষ্য ছিল মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়ামন্ডলের উচ্চস্তরের উপাদান ও গতিপ্রকৃতি
পর্যবেক্ষণ করা এবং তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের মিশনগুলোর জন্য দরকারি প্রযুক্তির
উদ্ভাবন করা। উৎক্ষেপণের পর নোজোমি ১৯৯৯ সালের ১১ অক্টোবর মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে
প্রবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু স্যাটেলাইটের যান্ত্রিক সমস্যার কারণে অনেক বেশি
জ্বালানি খরচ হয়ে যায়। ফলে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছাতে পারেনি নোজোমি। ২০০৩ সাল
পর্যন্ত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরেছে নোজোমি। ২০০৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গল গ্রহের কাছ
দিয়ে উড়ে গিয়ে মহাকাশে হারিয়ে যায় স্যাটেলাইট নোজোমি। জাপানের মঙ্গল মিশন ব্যর্থ
হয়।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান ৩১ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
১১/১২/১৯৯৮ |
আমেরিকা |
মার্স ক্লাইমেট অরবিটার (MCO) |
মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করা। |
কক্ষপথে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। মিশন ব্যর্থ। |
মার্স ক্লাইমেট অরবিটার
১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয় মার্স ক্লাইমেট
অরবিটার। ৬৩৮ কিলোগ্রাম ভরের এই স্যাটেলাইটটির উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গল গ্রহের চারপাশে
ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমন্ডল, আবহাওয়া এবং ভূস্তরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ।
তাছাড়া মার্স পোলার ল্যান্ডার থেকে পাঠানো ছবি ও ডাটা কমিউনিকেশানও করবে ক্লাইমেট
অরবিটার।
১৯৯৯ সালের ২৩
সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কাছে পৌঁছে যায় মার্স ক্লাইমেট অরবিটার এবং কক্ষপথে প্রবেশ
করার জন্য গতি ও দিক নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু গ্রহটিকে ছাড়িয়ে
কিছুদূর চলে যাবার পর আর কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কারণ হিসেবে দেখা যায় -
গ্রাউন্ড কন্ট্রোল থেকে যে কমান্ড পাঠানো হয়েছে সেখানে বিভিন্ন মাপের একক ছিল
মেট্রিক পদ্ধতির। স্যাটেলাইটের থ্রাস্টার নিয়ন্ত্রণ
পদ্ধতির একক ছিল মেট্রিক পদ্ধতির (মিটার, কিলোগ্রাম ইত্যাদি), কিন্তু লকিং সিস্টেম
তৈরি করার সময় ফ্যাক্টরিতে যে একক সেট করা হয়েছিল তা আমেরিকান পদ্ধতি (ফুট, পাউন্ড
ইত্যাদি)। দুই পদ্ধতির গন্ডগোলে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল থেকে স্যাটেলাইটকে নিয়ন্ত্রণ
করা সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনামতো মঙ্গল গ্রহ থেকে ১৪০ কিলোমিটার উচ্চতায় রাখা যায়নি
স্যাটেলাইটকে। ফলে স্যাটেলাইটটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান ৩২ |
||||
উৎক্ষেপণের তারিখ |
দেশ |
মিশন/ মহাকাশযান |
লক্ষ্য |
ফলাফল |
০৩/০১/১৯৯৯ |
আমেরিকা |
মার্স পোলার ল্যান্ডার (MPL) |
মঙ্গলে অবতরণ করা। |
মঙ্গলে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়। |
মার্স পোলার ল্যান্ডার
মার্স পোলার ল্যান্ডার উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ৩
জানুয়ারি। মঙ্গলের পানি খুঁজে বের করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুর
জমাট কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরীক্ষা করে দেখা, তার রাসায়নিক বিশ্লেষণ করা ছিল এর
পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রধান লক্ষ্য। প্রায় ১১ মাস ধরে উড়ে এসে ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর
মঙ্গলের ভূমিতে নামার ঠিক ছয় মিনিট আগে ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে
যায়। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল থেকে ল্যান্ডারটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment