লাল গ্রহ মঙ্গল

 


কিশোর বিজ্ঞান ৬

 

লাল গ্রহ মঙ্গল

প্রদীপ দেব

 

 

 

 

মীরা প্রকাশন

************************************************************

লাল গ্রহ মঙ্গল

প্রদীপ দেব

 

প্রকাশক

মো: হারুন অর রশীদ

মীরা প্রকাশন

রুমী মার্কেট, ৬৮-৬৯ প্যারীদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০, বাংলাদেশ

ফোন: ৯৫৮০৬৭০, মোবাইল: ০১৭১০ ৮৫৩১৫৮, ০১৬৮৩ ৮০৭৪৪৪

 

প্রকাশকাল

বইমেলা ২০২০

 

গ্রন্থস্বত্ব

ফণীন্দ্রলাল দেব পাঠাগার, নাপোড়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

 

লেখক ও প্রকাশকের লিখিত অনুমতি ছাড়া এই বইয়ের কোন অংশেরই কোন ফটোকপি, স্ক্যান, রেকর্ড কিংবা অন্য কোন তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতিতে অনুলিপি করা কিংবা ই-বুক আকারে প্রকাশ করা আইনত নিষিদ্ধ

 

প্রচ্ছদ

নাসিম আহমেদ

 

মুদ্রণে

ঢাকা প্রিন্টার্স

৩৬ শ্রীশ দাস লেন, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০, বাংলাদেশ

 

মূল্য: ২৫০ টাকা

______________________________________

RED PLANET MARS  by Dr Pradip Deb, Published by Harun Or Rashid, Meera Prokashon, 68-69 Pyridas Road, Banglabazar, Dhaka-1100, Bangladesh. Phone: 88029580670, Mobile: 8801710853158. Email: meeraprokashon@yahoo.com. Copyright: Fanindra Lal Deb Library, Napora, Banskhali, Chittagong, Bangladesh. Cover Design: Nasim Ahmed.

 

ISBN: 978-984-775-236-5

Price: BDT 250.00, US$ 8.00, AU$ 10.00

ঘরে বসে যে কোন বই কিনতে অনলাইনে যোগাযোগ করুন

http://rokomari.com/meera

www.porua.com.bd

টেলিফোনে অর্ডার দিন +880 1841 115115

 

****************************************************** 

 

 

উৎসর্গ

 

প্রমা নাথ

আমার আদরের তুলি

 

 

 *********************************************

 


আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে, 

বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে॥
গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে॥

 

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 *****************************


মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের বয়স হাজার বছরেরও বেশি। চার হাজার বছর আগে থেকেই প্রাচীন মিশরীয়রা মঙ্গল গ্রহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ব্যবিলনের মানুষ আকাশের এই রক্তরঙের পিন্ডটিকে তুলনা করেছে মৃত্যুর দেবতার সঙ্গে। রোমানরা এই গ্রহটিকে তুলনা করেছে তাদের সংস্কৃতির রক্তপিপাসু যুদ্ধের দেবতা মার্স-এর সাথে। সেখান থেকেই গ্রহটির নাম হয়েছে মার্স। বাংলায় আমরা একে যে মঙ্গল গ্রহ বলছি - সেটা এসেছে পৌরাণিক কাহিনির যুদ্ধের দেবতা মঙ্গলা থেকে।

            বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল ও জ্ঞানের পরিধি বাড়তে শুরু করেছে। টেলিস্কোপের সাহায্যে মঙ্গল গ্রহের গতিবিধি লক্ষ্য করতে করতে তৈরি হয়েছে মঙ্গলের ম্যাপ। কিন্তু অন্যদিকে কল্পবিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে মঙ্গল গ্রহে প্রাণ আছে। ১৬১০ সালে গ্যালিলিও তাঁর নিজের তৈরি করা টেলিস্কোপ দিয়ে মঙ্গল গ্রহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তারপর থেকে মঙ্গল গ্রহের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণের পর ১৮৪০ সালে প্রকাশিত হয় মঙ্গল গ্রহের প্রথম ম্যাপ। ১৮৭৮ সালে ইতালিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিওভান্নি শিয়াপারেল্লি মঙ্গল গ্রহের একটি বিস্তারিত ম্যাপ প্রকাশ করেন। মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান ও ফিচারের নামকরণও করেন তিনি। তাঁর ম্যাপে কানালি (canali) কথাটির উল্লেখ আছে দেখে ইংরজিভাষী বিজ্ঞানীরা এটাকে ভাবলেন ক্যানালস বা খাল। তার মানে মঙ্গল গ্রহে খাল আছে। অথচ ইতালিয়ান কানালি শব্দের অর্থ হচ্ছে চ্যানেল। মানুষ মঙ্গলে পানি আছে বলে বিশ্বাস করে বসলো। পৃথিবীর মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করলো যে মঙ্গল গ্রহে পৃথিবীর মতোই কিংবা তার চেয়েও উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছে। কিন্তু মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো শুরু হওয়ার পর মঙ্গল সম্পর্কে মানুষের অনেক ধারণার পরিবর্তন হতে শুরু করলো।

            ১৯৬৪ সালে ম্যারিনার-৪ স্যাটেলাইট মঙ্গল গ্রহের যেসব ছবি পাঠালো সেখানে দেখা গেলো খালের কোন চিহ্নই নেই মঙ্গলে। ১৯৬০ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক মিশন চালানো হয়েছে মঙ্গল গ্রহে। আমেরিকা, রাশিয়ার পর ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন, চীন, জাপান এবং ভারত মঙ্গল গ্রহে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এই স্যাটেলাইটগুলোর পাঠানো ডাটা থেকে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য জানা গেছে।

            মঙ্গল গ্রহের আকার পৃথিবীর আকারের প্রায় অর্ধেক। মঙ্গল গ্রহের দিন পৃথিবীর দিনের চেয়ে সামান্য কয়েক ঘন্টা বেশি লম্বা। মঙ্গলের বছর হয় ৬৮৭ দিনে। মঙ্গল গ্রহের দুইটি ছোট ছোট চাঁদ আছে। মঙ্গলের আবহাওয়ায় প্রায় ৯০% কার্বন-ডাই-অক্সাইড। মঙ্গল গ্রহের বায়ুমন্ডলের চাপ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের চাপের মাত্র ১%। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকে আশা করেন সুদূর ভবিষ্যতে মানুষ মঙ্গলে গিয়ে বসবাস করবে।

            মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে সহজবোধ্য আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। কিশোর বিজ্ঞান সিরিজের এটা ষষ্ঠ বই । আশা করি সিরিজের অন্যান্য বইগুলোর মতো এই বইটিও পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।

 

                                                  প্রদীপ দেব

 Email: pradipdeb2006@gmail.com

Blog: www.praddipdeb.org

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া

ডিসেম্বর ২০১৯


**************************


সূচিপত্র

 

প্রথম অধ্যায় || ভয়ংকর মঙ্গল

 

দ্বিতীয় অধ্যায় || সূর্যের চতুর্থ গ্রহ

 

তৃতীয় অধ্যায় || মঙ্গলে অভিযান (১ - ৮)

তৃতীয় অধ্যায় || মঙ্গলে অভিযান (৯ - ১৬)

তৃতীয় অধ্যায় || মঙ্গলে অভিযান (১৭ - ২৫)

তৃতীয় অধ্যায় || মঙ্গলে অভিযান (২৬ - ৩২)

তৃতীয় অধ্যায় || মঙ্গলে অভিযান (৩৩ - ৪০)

তৃতীয় অধ্যায় || মঙ্গলে অভিযান (৪১ - ৪৮)

 

চতুর্থ অধ্যায় || মঙ্গলের অভ্যন্তরে

 

পঞ্চম অধ্যায় || মঙ্গলের চাঁদ

 

ষষ্ঠ অধ্যায় || মঙ্গলে প্রাণ

 

সপ্তম অধ্যায় || মঙ্গলে বসতি


No comments:

Post a Comment

Latest Post

Macroscopic Quantum Tunnelling: The Science Behind the 2025 Nobel Prize in Physics

  Even though physicists do not believe in ghosts, they have no way of denying the strange, almost ghost-like behaviour of quantum mechanics...

Popular Posts