Saturday 17 June 2023

মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'আমার ডেঞ্জারাস মামী'

 



মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই মানেই হলো ধরেই পড়ে ফেলা যায়। 
ছুটিতে গিয়ে হাতের কাছে পেলাম। পড়ে ফেললাম। 

ঘটনার ঘনঘটা আছে বইতে – যা জাফর ইকবালের অনেকটাই ট্রেন্ড মার্ক এখন। বিজ্ঞানের কিছু পূর্বঘটিত বিক্রিয়ার মতোই আগে থেকে বলে দেয়া যায় কী কী ঘটতে পারে। 

যাঁকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস – তিনি মামী। মামার সাথে তাঁর ডিভোর্স হয়ে গেছে। কিন্তু মামী খুবই ভালো। যে পরিবারে তিনি বৈবাহিক সূত্রে এসেছিলেন, বিবাহ ভেঙে যাওয়ার পরেও তিনি সেখানে ঘুরেফিরেই আসেন। পরিবারের সব বাচ্চাদের আদর করেন। বাচ্চারাও তাঁকে অসম্ভব ভালোবাসে। মামী বিজ্ঞানী। একটি গবেষণা-জাহাজ নিয়ে তিনি সমুদ্রে যান গবেষণা করতে। সেখানে মামীর সহকারী হিসেবে সাথে যায় টুলু। টুলুর জবানীতেই বইটি লেখা। 

জাহাজে টুলুর সমবয়সী মেয়ে মিতির সাথে দেখা হয়। মিতি কানে শুনতে পায় না। তাই কথাও বলতে পারে না। কিন্তু অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকে। জহির নামে আরেকজন ছেলেও থাকে জাহাজে। জহির খুব পাজি টাইপের ছেলে। সে নানারকম দুষ্টুমি করে। টুলু তাকে বিভিন্নভাবে নাস্তানাবুদ করে। বিভিন্ন অভিযানও হয়। মিতি আর টুলু ঘটনাচক্রে বিশাল কিছু আবিষ্কারও করে ফেলে যা বিজ্ঞানীরা অনেকদিন থেকে খুঁজছিলেন। 

আমাদের বাড়ির শিশুরা এখন বড় হয়ে গেছে। এখন তাদের শিশুদের বড় হবার পালা চলছে। এই বইটি যে বয়সীদের জন্য লেখা সেরকম কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারিনি কেমন লাগলো। তবে আমার মনে হয় ছোটদের জন্য লেখা বই বড়দের পড়া উচিত নয়। কারণ বুদ্ধি পেকে গেলে সেই বুদ্ধি আনন্দ পাবার চেয়ে খুঁত ধরার দিকে মন দেয় বেশি। অবশ্য কিছু কিছু বই আছে যা ছোটদের জন্য লেখা হলেও সব বয়সের পাঠকেরাই চিরদিন আনন্দ পায়। ‘আমার ডেঞ্জারাস মামী’ সেরকম বই নয়। 



No comments:

Post a Comment

Latest Post

Dorothy Crowfoot Hodgkin

  Look closely at the fingers of the person in the picture. Her fingers had not bent in this way due to age; she had been suffering from chr...

Popular Posts