Sunday 18 February 2024

দারুচিনি দ্বীপের ভিতর - ৬

 


বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে ভারত মহাসাগরের তীরে ছোট্ট এই সবুজ চত্বরে – ইংরেজিতে ‘গার্লে ফেইস গ্রিন’ যার নাম। Galle-র উচ্চারণ এরা করে গার্লে। প্রচন্ড রোদ। তলোয়ার হাতে সিংহমূর্তির পাশে দন্ডায়মান ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডের মাথায় দড়িছেঁড়া তাবুর মতো ঝুলে আছে বিশাল পতাকা। উড়বার মতো বাতাস নেই। তার দুপাশে বিশাল দুটো ওলন্দাজ কামান রোদে চকচক করছে। পৌনে চারশ বছর আগে ওলন্দাজরা যখন সিলনের দখল নিয়েছিল পর্তুগিজদের হটিয়ে তখন ওরাই এই জায়গাটি বেছে নিয়েছিল বাইরের শত্রুদের ওপর নজর রাখার জন্য। সমুদ্রের পাড়ে কোন গাছপালা লাগায়নি যেন অতিদূরের কোনো সমুদ্রযানও নজর এড়িয়ে যেতে না পারে। কামান বসিয়ে রেখেছিল শত্রুদের উপর দাগার জন্য। কিন্তু ব্রিটিশরা ডাচদের পরাজিত করেছিল অতি সহজেই। সেই কামানগুলি এখন নিস্তেজ, ইতিহাসের পুরনো সাক্ষী, পর্যটকদের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড। 


এক চিলতে সৈকত


মাঠের বিভিন্ন জায়গায় বসে গেছে শিশুদের খেলনার দোকান। চোখে পড়ার মতো কোনো ভিড় নেই সেখানে। নিতান্তই সস্তা দামের চায়নিজ খেলনা, কিন্তু সেগুলি কেনার মতোও সামর্থ্য হয়তো নেই অনেকের। যেকোনো দেশেই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় শিকার হয় মধ্যবিত্তরা। মান বাঁচাতে গেলে তাঁদের পেটে টান পড়ে। এখানেও বোঝা যাচ্ছে সেরকমই ঘটেছে। মধ্যবিত্তের শিশুরা এখন একটি রঙিন বেলুনেই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হচ্ছে, খেলনা রোবট কিনে দেয়ার সামর্থ্য তাদের মা-বাবার নেই আর। 

গাড়ি চলার রাস্তা সমুদ্র থেকে অনেক উঁচুতে। মাঠ পেরিয়ে ইটের তৈরি অনেক ধাপের সিঁড়ি। রাস্তার উপর কিছু নারকেল গাছ দেখা যাচ্ছে। ছায়ায় বসে জিরিয়ে নেয়ার আশায় সিঁড়ি দিয়ে উঠছি। পাশ দিয়ে ভীড় করে নেমে গেল হাফপ্যান্ট টি-শার্ট পরা একদল তরুণ। বোঝাই যাচ্ছে পানিতে নামবে। 

হঠাৎ আমার সামনে উপর থেকে ছিটকে পড়লো আধলিটারের একটি পানির বোতল। উপরের দিকে তাকাতেই ছুটে এলো আরো দুই তিন বোতল। দেখলাম কয়েক সিঁড়ি সামনে ছোট্ট এক মেয়ে ব্যস্ত হয়ে বোতল ধরার চেষ্টা করছে। কুড়িয়ে নিলাম আমার হাতের নাগালে যে ক’টা ছিল। তার হাতে দিতে গিয়ে বুঝতে পারলাম – প্লাস্টিকের ঠোঙায় করে নিয়ে যাচ্ছিল সে অনেকগুলি পানির বোতল। পানির ভারে ছিঁড়ে গেছে ঠোঙা। এখন কী করবে বুঝতে না পেরে বোতলগুলি সিঁড়ির ধাপে রেখে অসহায়ভাবে তাকিয়ে আছে। 

কালো হাড্ডিসার বাচ্চাটিকে দেখে কেমন যেন মায়া হলো। হয়তো পানি বিক্রি করে সে। সম্ভবত নিচের দোকান থেকে পানি নিয়ে আসছিলো উপরে এসে বিক্রি করার জন্য। তার সাথে কি আর কেউ আছে? তার সামনে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। আমার কী করা উচিত বুঝে উঠার আগেই সে বিড়বিড় করে সিংহলি ভাষায় কিছু একটা বললো। পাশ দিয়ে যারা নামছিলেন, তাদের ভেতর দুজন থেমে গেলেন। একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক, অন্যজন তরুণ। বৃদ্ধ নিজের ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে বের করে আনলেন একটা পাতলা প্লাস্টিকের ঠোঙা। মেয়েটির চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। সে হাত বাড়িয়ে ঠোঙাটি নিয়ে উবু হয়ে পায়ের কাছে রাখা পানির বোতলগুলি ঠোঙায় ভরতে শুরু করলো। আমি সিঁড়ির কয়েকধাপ উপরে উঠে তাকিয়ে দেখলাম বৃদ্ধ ভদ্রলোক ততক্ষণে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেছেন অনেক দূর। আর তরুণটি নিজের হাতে যে প্লাস্টিকের ঠোঙাটি ছিল তার ভেতর থেকে একটা পুঁটলি বের করে ঠোঙাটি মেয়েটির হাতে দিয়ে দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছেন। খুবই ছোট্ট একটি ঘটনা। অথচ এই সাধারণ ঘটনাটিকেই আমার কাছে অসাধারণ মনে হচ্ছে। 

রাস্তায় উঠে এলাম। বেশ বড় ফুটপাত। ফুটপাতের পাশে বেশ দূরে দূরে কয়েকটি বড় বড় নারকেল গাছ। গাছের গোড়ার চারদিকে সিমেন্ট দিয়ে বাধানো। অনেকেই বসে আছে সেখানে। আবছা ছায়ায় একটুখানি খালি জায়গায় আমিও বসলাম। 

প্রচন্ড ভীড় সামনে। রাস্তার একটা অংশ ছেড়ে দেয়া হয়েছে মোটরসাইকেল পার্ক করার জন্য। বোঝা যাচ্ছে মোটরসাইকেল এখানে খুবই জনপ্রিয় বাহন। রাস্তার এই পাশে বেশ কিছু খাবারের আউটলেট। আইসক্রিম, পিৎজা, আর নুড়ুল্‌স-এর  আলাদা-আলাদা ট্রাক। জাঁকজমকপূর্ণ পোস্টার-প্লাকার্ডে মোড়া এসব  খাদ্য-গাড়ির সামনে প্রচন্ড ভীড়। নিচে সমুদ্রের ধারের সাদামাটা দোকানের খদ্দের আর এখানকার জৌলুসপূর্ণ খাবারের ট্রাকের সামনের খদ্দেরের মধ্যে পার্থক্য সামর্থ্যের। 

গাছের ছায়ায় আরাম লাগছে। মনে হচ্ছে ছায়ার সাথে কিছুটা বাতাসও পাচ্ছি। দূরে সমুদ্রের পানিতে রোদের ঝিকিমিকি। আকাশ ঝকঝকে নীল, এখানে ওখানে ভেসে বেড়াচ্ছে কয়েক টুকরো সাদা মেঘ। বাতাস পেয়ে পুরোটাই খুলেছে পতাকার জমিন। 


শ্রীলংকার পতাকা


আমাদের পতাকার মতো সহজ-সরল নয় শ্রীলংকার পতাকা। পৃথিবীর সহজতম পতাকাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশের পতাকা। সবচেয়ে সহজ জাপানের পতাকা, তারপরই সবুজ জমিনের উপর লাল বৃত্তের বাংলাদেশ। সে হিসেবে শ্রীলংকার পতাকা খুবই জটিল পতাকা। হাতে তলোয়ার নিয়ে যে হলুদ সিংহটি আছে পতাকায় তা আঁকতে বা সেলাই করতে অনেক সময় লাগবে। সাথে আরো অনেক রঙ আর ফিচার আছে পতাকায়। শ্রীলংকার পতাকায় সিংহের অবস্থান প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের অনুধারাপুরার রাজত্বকাল থেকে। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফিচারের পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সিংহ রয়ে গেছে পতাকাজুড়ে; যদিও শ্রীলংকার কোন জঙ্গলেই কোন সিংহ নেই। পতাকার সিংহ মূলত সিংহলি জনগোষ্ঠীর প্রতীক। সিংহের হাতে যে তলোয়ার – তা স্বাধীনতার প্রতীক। সিংহের লেজে আটটি চুল স্পষ্ট দেখা যায় – যা বৌদ্ধধর্মের অষ্টশীলের প্রতীক। হলুদ সিং হের ব্যাকগ্রাউন্ডের মেরুন রঙ সিংহলি জাতির রঙ। এর চারপাশে হলুদ রঙের বর্ডার বৌদ্ধধর্মের প্রতীক। বর্ডারের ভেতর চার কোণায় চারটি মন্দিরের চূড়ার প্রতীক সন্নিবিষ্ট। ১৭৯৮ থেকে ১৮১৫ পর্যন্ত এরকম পতাকা চালু ছিল। ১৮১৫ থেকে ১৮৭৫ পর্যন্ত ছিল সরাসরি ব্রিটিশ পতাকা। ১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ পতাকার নীল ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর হলুদ বৃত্তের মাঝখানে একটি মন্দির ও হাতির মনোগ্রাম লাগিয়ে ব্রিটিশরা সিলন জাতির মন জয় করার চেষ্টা চালায়। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরা সিলন থেকে চলে যাওয়ার আগপর্যন্ত এই পরিবর্তিত ব্রিটিশ পতাকাই চালু ছিল। ১৯৪৮ সালে আবার ফিরে আসে সেই ১৮১৫ সালের সিংহ-পতাকা। কিন্তু স্বাধীন সিলনে বৌদ্ধ ছাড়াও অন্যান্য জাতিসত্ত্বা অধিকারসচেতন হতে শুরু করেছে। শুধুমাত্র বৌদ্ধধর্মের হলুদ রঙ দেশের সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই ১৯৫১ সালে পতাকার সাথে আরো দুটো রঙ যুক্ত হয়। হলুদ বর্ডারের ভেতর সবুজ রঙ যুক্ত হয় মুসলমান নাগরিকদের জন্য এবং গোলাপী রঙের আয়তক্ষেত্র যুক্ত হয় তামিল হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য। ১৯৭২ সালে সিলন ডোমিনিয়ন থেকে যখন দেশটি পুরোপুরি স্বাধীন শ্রীলংকা হয় – তখন পতাকার হ্লুদ বর্ডারের ভেতর চার কোণায় মন্দিরের চুড়ার মতো ফিচার বদলে দিয়ে তার বদলে চার কোণায় চারটি হলুদ রঙের অশ্বত্থ পাতা যোগ করে দেয়া হয় – যা বৌদ্ধধর্মের প্রতীক। দেখা যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হলেও শ্রীলংকার পতাকায় বৌদ্ধধর্মীয় প্রতীক অনেক বেশি। 

রাস্তার ওপারে বিখ্যাত সাংগ্রিলা হোটেল। তার পাশে গড়ে উঠেছে বিশাল অভিজাত সুপারমার্কেট ওয়ান গার্লে ফেইস মল। ক্রিস্টমাস উপলক্ষে বিরাট মূল্যহ্রাসের ঢেউয়ে নাচছে উচ্চবিত্তরা। রাস্তায় প্রচন্ড ভীড়। অনেক নতুন নতুন গাড়ি দেখা যাচ্ছে। বিএমডাব্লিউ, মার্সিডিজও আছে। এই এলাকাটি যে উচ্চবিত্তের এলাকা তা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। অবশ্য পুরো এলাকা নয় - রাস্তার ওপারের হোটেল, মার্কেট, জৌলুশ বড়লোকদের, এপারে্র সাগর সৈকত ফুটপাত – সবার। 

করোনার সময়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ। ফলে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে আশংকাজনক হারে। জিনিসপত্রের দাম গেছে বেড়ে, মুদ্রার মান গেছে কমে। শ্রীলংকা মূল্যস্ফীতি কীভাবে সামলাচ্ছে জানি না। আমি চোখের সামনে যেসব জিনিস দেখছি সেগুলির দাম ডলারে কনভার্ট করলে তো বটেই, বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করলেও মনে হচ্ছে বাংলাদেশের চেয়ে সস্তা। অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটলে তৃতীয় বিশ্বে ভিক্ষাবৃত্তি বেড়ে যায়। বৌদ্ধধর্মে ভিক্ষাবৃত্তিকে ধর্ম পালনের অংশ বলে মনে করা হলেও এখানে কোন ভিক্ষুকের দেখা আমি এখনো পাইনি। অন্যের কাছে হাত পাতার মতো আত্মগ্লানিকর কাজ কেউ করছেন না দেখে ভালো লাগছে। 

নারকেল পাতার ফাঁক গলে গড়িয়ে পড়ছে জোরালো রোদ। গাছের ছায়া সরে গেছে কয়েক ফুট। আমিও সরলাম ছায়ার দিকে। সরতেই পাশে এসে বসলেন একজন। হাতে গাড়ির চাবি, মুখে নাতিদীর্ঘ দাড়ি, কানে কানের দুলের মতো লেগে আছে সাদা ইয়ার বাড। সিংহলি ভাষায় গো গো করে কথা বলছেন। আমি সব কথাই শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু একটা শব্দও বুঝতে পারছি না। 

“ইন্ডিয়ান?” 

এই শব্দটি বুঝতে পারলাম। কিন্তু বুঝতে না দেয়ার জন্য বক্তার দিকে একটুও তাকাচ্ছি না।

“হ্যালো, আর ইউ ইন্ডিয়ান?”

ফিরে তাকালাম। হাতে ফোন ছাড়া ফোনে কথা বললে ঠিক বোঝা যায় না কার সাথে কথা বলছে, সামনে যে আছে তার সাথে, নাকি ফোনের ওপ্রান্তে যে আছে তার সাথে। 

“তামিল?”

মনে হচ্ছে আমাকেই জিজ্ঞেস করছে।

“আর ইউ টকিং টু মি?” রবার্ট ডি নিরোর টোনে বলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু বিদেশ বিঁভুই-এ রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না ভেবে বাঙালি টোনেই জিজ্ঞেস করলাম। 

“ইয়েস। আর ইউ ইন্ডিয়ান?”

“সরি নো। ইফ ইউ আর লুকিং ফর অ্যান ইন্ডিয়ান, আই অ্যাম নট দ্যাট পার্সন।“ 

“হোয়ার ইউ ফ্রম?”

ছেলেটির ইংরেজি বেশ ভালো। বেশভুষায় বড়লোকি উপচে পড়ছে। অ্যাডিডাসের টি-শার্ট, নাইকির জুতা। হাফপ্যান্টের ব্রান্ড দেখা যাচ্ছে না। তার তো রাস্তার ওপারে থাকার কথা। এখানে ফুটপাতের গাছতলায় এসে কেন বসেছে কে জানে। চুপ করে থাকতে পারে না বলেই হয়তো কথা বলতে চাচ্ছে। বললাম, “বাংলাদেশ। কেন জিজ্ঞেস করছেন?”

“এমনিই। আমি ভেবেছিলাম আপনি শ্রীলংকান। তাই তো সিংহলি বলছিলাম।“

“আপনি কি শুরু থেকেই আমার সাথে কথা বলছিলেন?”

“হ্যাঁ”

“কী জিজ্ঞেস করছিলেন?”

“এখানে আমার এক ফ্রেন্ডের আসার কথা। তাকে দেখেছেন কিনা জানতে চাইছিলাম।“

“ফ্রেন্ডের ফোন নেই?”

“ফোন আছে। চার্জ নেই।“

ছেলেটি অস্থির। একবার বসছে, একবার উঠে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। মনে হচ্ছে জিমে যাবার বদলে এখানে চলে আসতে হয়েছে বলে রুটিন উঠবস এখানেই করে নিচ্ছে। 

“এখানে বেড়াতে, নাকি কাজে?” সময় কাটানোর জন্য প্রশ্ন করছে ছেলেটি। উত্তর না দিলেও চলে। 

সামনেই ফুটপাতের এক ধারে ছোট্ট একটা প্লাস্টিকের টুলে বসে ডাব বিক্রি করছেন একজন বৃদ্ধ। মুখে খোচা খোচা সাদা দাড়ি। মাথাভর্তি টাক। তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তের আসল চেহারার মতো চেহারা। একটু পর পর অনেকটা স্বগতোক্তির মতো করে বলছেন, “থাম্বুলি, থাম্বুলি।”

“হোয়াট ইজ থাম্বুলি?” আমিও স্বগতোক্তির মতোই মৃদুস্বরে জিজ্ঞেস করলাম। কানে ইয়ার বাড থাকা সত্ত্বেও শুনতে পেলো যুবক। উত্তর দিলো, “কোকোনাট। গুড ফর হেল্‌থ। বেটার দ্যান ওয়াটার। পিওর। বেস্ট কোকোনাট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড।“

ওয়ার্ল্ডের বেস্ট কোকোনাট একটু আগে একটা খেয়েছি, আরেকটি খাবো কি না ভাবছি। আধলিটার পানির একটি বোতলের দাম আর একটি ডাবের দাম সমান। পানির দামে বিকোচ্ছে বলে কি পানির বদলে ডাব খেলে চলবে? দিনে কয়টা ডাব খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত? বেশি খেলে আবার পটাশিয়াম বেড়ে গিয়ে ঝামেলা বাড়াবে না তো? 

অস্থির যুবক হঠাৎ হাত তুলে চিৎকার করে লাফাতে শুরু করলো। তার চার্জ-চলে-যাওয়া ফ্রেন্ডকে দেখতে পেয়েছে হয়তো। আমিও উঠে হাঁটতে শুরু করলাম প্রেসিডেন্টের অফিসের দিকে। 


No comments:

Post a Comment

Latest Post

Dorothy Crowfoot Hodgkin

  Look closely at the fingers of the person in the picture. Her fingers had not bent in this way due to age; she had been suffering from chr...

Popular Posts