ছবির উৎস: Shutterstock || UNESCO |
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক বই এবং সিনেমায় আমরা অনেকবার দেখেছি – যান্ত্রিক রোবটরা মানুষের মতো চিন্তা করছে, মানুষেরই মতো আগ্রাসী হয়ে আক্রমণ করছে মানুষদের এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীই দখল করে ফেলার চেষ্টা করছে। কল্পকাহিনিতে অনেককিছু অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশ করা হলেও দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এমন অনেক জিনিস উদ্ভাবন করেছেন যেগুলি একসময় শুধুমাত্র কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানীরা এমন সব যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যাদেরকে কল্পবিজ্ঞানের যন্ত্রমানবের সাথে তুলনা করা যায়, যেগুলি এখন বিভিন্ন আকার ও আয়তনে পৃথিবীর মানুষের কাজ করে দিচ্ছে অবিরাম। ছোট আকারের একটা ক্যালকুলেটরের কয়েকটা বোতাম টিপে যেমন আমরা নিমেষেই করে ফেলতে পারছি জটিল গাণিতিক হিসাব, তেমনি বিশালাকার বিমান চালনার দায়িত্বও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করছে ‘অটোপাইলট’ নামে যান্ত্রিক কম্পিউটার সিস্টেম। এই কম্পিউটার সিস্টেম শুধুমাত্র যে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলছে তা নয়, প্রয়োজনে অনেকগুলি সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত বাছাই করে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করছে। যন্ত্র যখন বুদ্ধিমান প্রাণির মতো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হচ্ছে তখন সেই বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা বলা যায় না। সেই বুদ্ধিমত্তা তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
আর্টিফিসিয়েল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দযুগল প্রথম প্রয়োগ করেন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাককার্থি। ১৯৫৬ সালে তিনি অ্যালান টুরিং, মারভিন মিনস্কি, অ্যালেন নিউয়েল, হারবার্ট সাইমন প্রমুখ কম্পিউটার বিজ্ঞানের পথিকৃৎদের একত্র করেছিলেন ডার্টমাউথ সামার রিসার্চ প্রজেক্ট নামে একটি কনফারেন্সে। সেই কনফারেন্সে ‘আর্টিফিসিয়েল ইন্টেলিজেন্স’ – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি স্বতন্ত্র নতুন বিশেষায়িত গবেষণাক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। আজ থেকে ৬৫ বছর আগে জন ম্যাককার্থি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে ঘরে ঘরে যেভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় – সেরকমভাবে একদিন ঘরে ঘরে কম্পিউটার সার্ভিসের সংযোগ দেয়া হবে। সেই সময় ইন্টারনেট কিংবা ওয়াই-ফাই এর ধারণাও ছিল না কারো কাছে। কিন্তু আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং যান্ত্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
আমাদের আধুনিক যানবাহনের প্রায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে অনেকগুলি মাইক্রোকম্পিউটার। স্বয়ংক্রিয় চালকবিহীন গাড়ি এখন চলছে পৃথিবীর অনেক জায়গায়। পৃথিবীর অনেকগুলি আধুনিক এয়ারপোর্টের এক টার্মিনাল থেকে অন্য টার্মিনালে সংযোগকারী ট্রেন চলছে চালকবিহীন, পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিয়েছে স্বয়ংক্রিয় রোবট, ইমিগ্রেশন সামলাচ্ছে আধুনিক মেশিন। আধুনিক অফিস, ব্যাংক, হাসপাতাল, ব্যবসাবাণিজ্য, খেলাধুলা সবখানেই এখন কম্পিউটার প্রোগ্রাম ও নানারকম অ্যাপস্ এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার চলছে। মহাকাশে ভাসমান স্যাটেলাইটগুলির সবগুলিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। স্যাটেলাইট নেভিগেশন জিপিএস, গুগল আর্থ, গুগল ম্যাপ, গুগল সার্চইঞ্জিন – সবগুলিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আশ্চর্য প্রয়োগ। আধুনিক স্মার্টফোনের বেশিরভাগ কার্যকলাপই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্ত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক উদ্দেশ্য প্রধানত দুপ্রকার - একটি হলো প্রযুক্তিগত, অন্যটি বৈজ্ঞানিক। প্রযুক্তিগত উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটার ব্যবহার করে খুব কম সময়ে নির্ভুলভাবে কাজ করিয়ে নেয়া। দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এখন প্রযুক্তিগত ব্যবহার চলছে। ব্যাংকের এক একটা এটিএম মেশিন পুরো একটি ব্যাংকের শাখার কাজ নির্ভুলভাবে করতে সক্ষম। অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হচ্ছে – তা হচ্ছে মূলত গবেষণার ক্ষেত্রে। যেখানে মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিতে যেসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, কিংবা দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ, সেক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার অত্যন্ত উপযোগী।
কম্পিউটার কত দ্রুত এবং কতটা নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে তা নির্ভর করে তার যান্ত্রিক গঠন এবং তার জন্য যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অর্থাৎ যে প্রোগ্রাম লেখা হয়েছে তা কতটা দক্ষতার সাথে করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। তাতে কম্পিউটার দক্ষতা লাভ করে, কিন্তু বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য ছিল কম্পিউটারকে দক্ষতার সাথে সাথে বুদ্ধিমান হিসেবেও তৈরি করতে। বিজ্ঞানীদের সেই লক্ষ্য প্রথম পূরণ হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। এমআইটির প্রফেসর জোসেফ ওয়েইজেনবাম যখন কম্পিউটার প্রোগ্রাম এলিজা (ELIZA) উদ্ভাবন করলেন। এলিজা প্রোগ্রামে কোন একটি বাক্য টাইপ করা হলে এলিজা নিজে নিজে এর সম্পর্কে প্রশ্ন করে। যেমন যদি বলা হয়, “আমার ভালো লাগছে না।“ এলিজা জানতে চাইবে, “কেন ভালো লাগছে না?” যন্ত্রের সাথে মানুষের অর্থপূর্ণ কথোপকথন চালিয়ে যাবার এই প্রোগ্রামটি থেকে পরবর্তীতে অনেকগুলি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে যেগুলি যান্ত্রিক মনোবিজ্ঞানীর হিসেবে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে।
প্রথম ইলেকট্রনিক পার্সন শেইকি (Shakey) তৈরি হয় ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। এই রোবটকে বলা চলে প্রথম বুদ্ধিমান কর্মী রোবট। একে কমান্ড দিলে ভারী ভারী জিনিস এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারতো। যাওয়ার গতিপথে যদি কোন বাধা পড়তো, তাহলেও শেইকি বিকল্প পথ খুঁজে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতো। সেই সময় কম্পিউটারের একেবারে প্রাথমিক যুগে শেইকি ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটের ক্ষেত্রে আশাজাগানিয়া উদ্ভাবন।
ইন্টারনেট প্রথম চালু হয়েছে ১৯৬৯ সালে আমেরিকান মিলিটারির ডিফেন্স এডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (DARPA)র একটি প্রকল্পের আওতায় তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শহরের তিনটি কম্পিউটারের সাথে ফোন লাইন সংযোগের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কের নাম ছিল আরপানেট (ARPANET – Advanced Research Project Agency Network)। এরপর আমেরিকান প্রতিরক্ষা দপ্তরের নেটওয়ার্ক আরো অনেক বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৮০র দশকের শেষের দিকে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব (www) চালু হয়েছে।
ইতোমধ্যে স্টিভ জবস এবং বিল গেটস যখন পার্সোনাল কম্পিউটারের জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেললেন, পৃথিবীটাই বদলে গেল। গুগল শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং – এর মাধ্যমে তথ্য খোঁজার ব্যাপারটা এখন এতটাই সহজ করে দিয়েছে যে আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারছি না যে আমাদের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর অর্থনীতি এখন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা। প্রতিদিন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার লেনদেন হচ্ছে অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে। ব্যবসা-বাণিজ্য এখন বেশিরভাগই ই-কমার্সের নিয়ন্ত্রণে। অনলাইন শপিং এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। সবচেয়ে বড় অনলাইন শপ – আমাজনের গুদাম নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট দ্বারা। ব্যবসাবাণিজ্য এবং অন্যান্য সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির জনসংযোগ এখন বেশিরভাগই স্বয়ংক্রিয় রোবট নিয়ন্ত্রিত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে প্রয়োগটা আমাদের সবচেয়ে বেশি কাজে লাগছে এবং লাগবে সেটা হলো রোগনির্ণয় ও চিকিৎসায়। মেডিক্যাল টেকনোলজি বা চিকিৎসা-প্রযুক্তিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ সংক্রান্ত এলগরিদম এখন আমেরিকাসহ উন্নতদেশগুলির নিয়ন্ত্রকসংস্থাগুলির স্বীকৃতি পেয়েছে। পৃথিবীতে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। ২০২২ সালে প্রায় দুই কোটি মানুষ মারা গেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। হৃৎপিন্ডের অনিয়মিত স্পন্দন, হার্টবিট অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া অনেকসময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্লিনিকে গিয়ে ইসিজি করানো অনেক সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল বলে অনেকের পক্ষেই হৃৎপিন্ডের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয় না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন স্মার্টফোনভিত্তিক ইসিজি মনিটরিং এর মাধ্যমে জীবন বাঁচানো সম্ভব। স্মার্টওয়াচ শরীরের রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, শর্করার পরিমাণসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রাণরাসায়নিকের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারে। রোগীর শারীরিক অবস্থা, শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণ ইত্যাদির রেকর্ড নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কম্পিউটার। এই যান্ত্রিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে হার্ট ফেইলিওর কিংবা একিউট করোনারি সিন্ড্রোম এর পূর্বাভাস ডাক্তারদের প্রচলিত পদ্ধতির চেয়েও যে নির্ভুলভাবে দেয়া সম্ভব তার প্রমাণ পাওয়া গেছে অনেকবার।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের হিসেব মতে পৃথিবীর প্রায় ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। নিয়মিত গ্লুকোজ মনিটরিং না করলে ডায়াবেটিক রোগীর প্রাণসংশয় দেখা দিতে পারে। আইবিএম কোম্পানি রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাপস তৈরি করেছে। কিডনির রোগে আক্রান্তদের জিএফআর (glomerular filtration rate) বিশ্লেষণ করে নেফ্রোপ্যাথির ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রাম।
মৃগীরোগীদের খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ করা সহজসাধ্য নয়। খিঁচুনির পূর্বাভাসও সহজে দেয়া যায় না। তবে এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। রোগীর হাতে ছোট্ট একটি ইলেকট্রনিক মনিটর পরানো হয়, যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করে রোগীর খিঁচুনি উঠার পূর্বাভাস দেয়া যায়। মনিটরের সাথে সংকেত পাঠানোর ব্যবস্থা থাকে – যা রোগীর আত্মীয়স্বজন বা রক্ষণাবেক্ষণ যিনি করেন তাঁর সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করা হয়।
ক্যান্সার এই শতাব্দীতেও সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে রয়ে গেছে। ক্যান্সার শনাক্ত করতে দেরি হয়ে গেলে চিকিৎসায় অনেকসময় সুফল পাওয়া যায় না। যত দ্রুত এই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তত দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। শুধুমাত্র এক্স-রে কিংবা কম্পিউটেড টমোগ্রাফি কিংবা ম্যামোগ্রাফিতে ক্যান্সারের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। হিস্টোপ্যাথোলজির মাধ্যমে কোষ-বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হতে হয় – ক্যান্সার হয়েছে কি না। মানুষের চোখ অনেকসময় বিভ্রান্ত হয় আণুবীক্ষণিক কোষগুলির মধ্য থেকে ক্যান্সারকোষ শনাক্ত করতে গিয়ে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুবই দক্ষতার সাথে ক্যান্সার কোষ শনাক্ত করতে পারে। শুধু ক্যান্সার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে নয়, মেডিক্যাল ইমেজিং – রেডিওগ্রাফি, ম্যামোগ্রাফি, সিটি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন – প্রতিটি ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রোগনির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে।
ক্যান্সার চিকিৎসায়, সার্জারিতে, ব্রাকিথেরাপিতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বসাতে এখন রোবটিক হাত ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এসব রোবটিক হাত কম্পিউটার প্রোগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে।
অদূর ভবিষ্যতে মানুষের শরীর রোগমুক্ত রাখার জন্য জিনোম বিশ্লেষণ করে ত্রুটিযুক্ত জিন সংশোধন করা হবে। সেক্ষেত্রে কোটি কোটি ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিযুক্ত কোন স্মার্ট রোবট।
২০৫০ সালের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্ট (এজিআই) চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তা এবং মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যে পার্থক্য এখন আছে, তখন হয়তো সেই পার্থক্য আরো কমে যাবে।
তথ্যসূত্র
১। Michael C Harris, Artificial Intelligence, Marshall Cavendish Benchmark, New York, 2011.
2. Margaret A Boden, Artificial Intelligence a very short introduction, Oxford University Press, UK, 2018
3. Mariusz Flasinski, Introduction to Artificial Intelligence, Springer, Switzerland, 2016
4. Kevin Warwick, Artificial Intelligence the basics, Routledge, Canada, 2012
5. Pranav Rajpurkar, Emma Chen, Oishi Banerjee, and Eric J Topol, AI in health and medicine, Nature Medicine, Vol 28, January 2022, pp 31-38.
No comments:
Post a Comment